একটি ১০ লেন রাস্তা পাল্টে দিতে পারে পুরো ময়মনসিংহ নগরী

ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়

মোঃ কামাল:: সরকারি জমি উদ্ধারে জোড়ালো পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার, সারা দেশের মতো ময়মনসিংহেও এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বাড়ছে মানুষ সেই সাথে বাড়ছে যানবাহন, সেই তুলনায় ভালো রাস্তা নির্মাণ না হওয়ার কারণে ময়মনসিংহের মতো সারা দেশে যানযট সর্বত্রই লেগে আছে।

রাস্তা নির্মাণের জমি আছে কিন্তু সেগুলো বিভিন্ন সিন্ডিকেট অবৈধভাবে দখল করে বছর এর বছর যুগের পর যুগ ভাড়া দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আর সরকার পড়ছে সমালোচনায়।

সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়েছে। ময়মনসিংহেও রেলওয়ের জমি উচ্ছেদের পর এবার ব্রহ্মপুত্র নদের পাড় অবৈধ দখলদারদেরকে উচ্ছেদ করতে শুরু করেছে।

ময়মনসিংহের সর্বস্তরের জনতার আবেদন এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার শেষে কেওয়াটখালী বাইপাস হয়ে রহমতপুর বাইপাস পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র পাড় ঘেঁষে যদি ১০ লেনের একটি রাস্তা নির্মাণ করা হয় তাহলে নগরীর ভিতরে থাকবে না কোন যানযট, কমে আসবে জন ভোগান্তী, বাড়বে নগরীর সৌন্দর্য্য।

যেহেতু নগরীর ভেতর দিয়ে বাসা-বাড়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙ্গে নতুন রাস্তা সংস্কার করা যাবে না সেহেতু নদের পাড় ঘেঁষে এই রাস্তাটি নির্মাণ হলে নগরীর ভিতরে যানবাহনের চাপ যেমন কমে আসবে তেমনি ভাবে আন্ত:বাহী গাড়ীগুলো নগরীর ভিতর দিয়ে আর চলাচল করবে না। রহমতপুর থেকে খাগডহড়, কাঠগোলা, পুলিশ লাইন, কাচিঝুলি, কাচারীঘাট, থানার ঘাট, পাটগুদাম ব্রীজ, কেওয়াটখালি এলাকার মানুষ গুলো নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারবে।

এখনই সময় ব্রহ্মপুত্র নদ খনন করে যে বালু উত্তোলন হচ্ছে সেগুলো এই ১০ লেন রাস্তা নির্মার্ণের জন্য বিশাল একটি ভূমিকা রাখবে সেই সাথে কমে যাবে রাস্তা তৈরির খরচ। গাঙ্গিনারপাড় আর কাচারীঘাটের রাস্তাটি প্রসস্ত করার কোন ব্যবস্থা নেই তাই বিষয়টি কর্তৃপক্ষের বিবেচনায় নিলে নগরবাসী দীর্ঘদিনের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে।