ভারতকে নিজ দেশে মিশিয়ে দিল অস্ট্রেলিয়া নিয়ে গেল বিশ্বকাপ

ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্কঃ বিশ্বকে তাক লাগিয়ে ভারতকে কাদিয়ে জিতে গেল অস্ট্রেলিয়া।ট্রেভিস হেডের শতরান আর মার্নাস লাবুশেনের ৫৮ রানের ইনিংসে ভারতকে ছয় উইকেটে হারিয়ে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বকাপ ক্রিকেটের স্বাদ গ্রহণ করেছে অস্ট্রেলিয়া। হেডের ১২০ বলে ১৩৭ রানের দুর্ধর্ষ ম্যাচ-জেতানো ইনিংস।

 

ভারতের আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে রবিবার রাতে লক্ষাধিক সমর্থককে হতাশায় ডুবিয়ে শেষ পর্যন্ত ট্রফি উঠল প্যাট কামিন্স ও তার দলের হাতেই।জয়ের লক্ষ্যে ২৪১ রান করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া চার উইকেট হারিয়েই পুরো সাত ওভার বাকি থাকতেই সেই টার্গেটে পৌঁছে যায়।

 

সাত ওভারে মাত্র ৪৭ রানের ভেতর প্রথম তিন উইকেট হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া বিপাকে পড়ে গেলেও সেখান থেকে টেনে তোলে হেড আর লাবুশেনের জুটি। তাদের চতুর্থ উইকেট জুটিতে ওঠে ১৯২ রান, দলকে পৌঁছে দেয় নিশ্চিত জয়ের দ্বারপ্রান্তে।গোটা টুর্নামেন্টে অপরাজিত থাকার পর ভারত শেষ পর্যন্ত ফাইনালে এসেই মুখ থুবড়ে পড়ল – এদিনের ম্যাচে তাদের ব্যাটিং ও বোলিং দুইই ছিল চরম নিষ্প্রভ।

 

ব্যাটিং যেমন গোড়া থেকেই চাপের মুখে পড়েছিল, তেমনি বোলিং ইউনিটও শুরুতে অস্ট্রেলিয়ার ওপর তৈরি করা চাপ ধরে রাখতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়া ডেভিড ওয়ার্নার (৭), মিচেল মার্শ (১৫) ও স্টিভ স্মিথকে (৪) খুব অল্প রানের মধ্যে হারালেও সেখান থেকে ধীরে ধীরে দলকে অনায়াসে জয়ের লক্ষ্যে নিয়ে যান হেড ও লাবুশেন।

 

সেমিফাইনালে ভারতের জয়ের নায়ক মহম্মদ শামি এদিনও ওয়ার্নারকে তুলে নিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে প্রথম ঝটকা দিলেও পরে আর কোনও উইকেট পাননি। যশপ্রীত বুমরাও পর পর দুটো ওভারে মার্শ ও স্মিথকে আউট করেন – কিন্তু ভারতের বোলিং এর পর আর দাগ কাটতে পারেনি। উইকেটে রবীন্দ্র জাডেজা ও কুলদীপ যাদবও ভাল টার্ন পাচ্ছিলেন, কিন্তু তারাও কোনও উইকেট পাননি।ম্যাচের একেবারে শেষে ট্রেভিস হেডের উইকেট পান মহম্মদ সিরাজ – কিন্তু তখন অস্ট্রেলিয়ার জয় মাত্রই দু’রান দূরে।

 

এর আগে ফাইনালে ভারত প্রথমে ব্যাট করে অস্ট্রেলিয়াকে জেতার জন্য ২৪১ রানের টার্গেট দিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়া টসে জিতে ভারতকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠালে স্বাগতিকরা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৪০ রানে অল আউট হয়ে যায়, যেটাকে বিশেষজ্ঞরা ‘বিলো পার’ স্কোর, অর্থাৎ প্রয়োজনের তুলনায় বেশ কম বলেই মনে করছিলেন।

অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে মিচেল স্টার্ক ৫৫ রান দিয়ে ৩টি, হ্যাজেলউড ও প্যাট কামিন্স ২টি করে এবং জাম্পা ও ম্যাক্সওয়েল ১টি করে উইকেট পান।