জামাল উমর নামের দশ বছরের ছোট্ট মেয়েটি নিজ শহর পাঙ্গাবের সারগোধার আবর্জনা দেখে এর প্রক্রিয়া করন করে হয়ে গেছে পুরো দেশের মধ্য সর্বকনিষ্ঠ উদ্যোক্তা। প্রথমে আমাদের চোখের সামনে সুন্দর প্লাস্টিকের ব্যাগ, বোতল, আরো কত কি, কিন্তু ফেলে দেবার পর এর জায়গা কোথায়, যদি পুড়িয়ে ফেলাও হয় তাহলে হবে পরিবেশ দূশ্ন।পাকিস্তানের সরকারি তথ্য মতে, প্রতি বছর ২০মেঃটন বর্জ্য ফেলা হয় যা বছরে ২.৪% করে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
“এটি এমন একটি পরিস্থিতি যা আপনি পাকিস্তান জুড়ে খুঁজে পেতে পারেন – ব্যাগগুলি পচনযোগ্য নয় এবং লোকেরা যেখানে সেখানে ফেলে দেয়। তারা সত্যিই এর পুনর্ব্যবহার সম্পর্কে চিন্তা করে না,” জামাল বলেন।
যথাযথ কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা দেশে চালু হয়নি; উৎপাদিত আবর্জনা থেকে মাত্র অর্ধেক সরকার সংগ্রহ করে এবং এর জন্য জমির ও অভাব রয়েছে।
ডাম্পিং এবং জ্বালিয়ে ফেলা সবচেয়ে সাধারণ পদ্ধতি কিন্ত এই প্রক্রিয়া স্বাস্থ্যর জন্য ক্ষতিকর।
দূষণ কমিয়ে পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করার চেষ্টায় জামাল তৈরি করেছে জীব্যাগ। পুরনো খবরের কাগজ দিয়ে সুন্দর ও চমৎকার নকশার এক এক ব্যাগ। উজ্জ্বল এবং সুন্দর সজ্জিত উপহার ব্যাগ যা পরে পরিবারের এবং বন্ধুদের বিক্রি হয় এবং বিভিন্ন স্থানীয় প্রতিষ্ঠানেও বিক্রি হয়।মাত্র তিন বছরে তিনি বিক্রি করেছেন ৪-৫০০০ইউ এস ডলার সমমূল্যের ব্যাগ।তার এই টাকার বেশীর ভাগই যায় এস ও এস নামের একটি দাতব্য প্রতিষ্ঠানে, যা এতীম শিশুদের নিয়ে কাজ করে।
এমনকি তার এই জীব্যাগ ধারণার জন্য জমেছে জাতীয় সহ ইউএসএ সৌদি আরব সহ অন্যান্য দেশের আন্তর্জাতিক পুরষ্কার।