স্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভার নওধার আকন্দ বাড়ি মৃত আব্দুল কাদিরের ছোট ছেলে হামিদ বুখার(৩০) মৃত্যুতে শোকাহত মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ। হামিদ বুখারী সত্যতা, নিষ্ঠা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বেড়ে উঠা সামাজিক বন্ধনে পরিচিতি লাভ করে, অকালে চলে গেলেন সবাইকে ছেড়ে। তার জীবন চলার পথে পৌরসভার মেয়র আনিছুজ্জামানকে অভিভাবক হিসেবে সম্যান ও ভালবাসা দিয়েছিল তেমনি মেয়র আনিছুজ্জামানের খুবই আস্থাভাজন ছিল সে।
বুখারীর এই ছোট জীবনে ত্রিশাল উপজেলা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন ও ছাত্রলীগের কর্মী ছিলেন।অল্প বয়সে পিতৃহীন হয়ে, বৃদ্ধ মায়ের সংসার চালাতে ও জীবনকে প্রতিষ্ঠিত করতে শুরু করেছিলেন ব্যবসা। টকবগে তরুণ হামিদ বুখারী হাসি-খুশি জীবনে কারো সাথে ঝগড়া বিবাদ করেননি।
আপন ভূবনে সুন্দর হাস্যোজ্জল মুখে বন্ধুত্বের বন্ধনে সমাজে এক ফুটন্ত গোলাপের মত ফুটে উঠছিলেন । ২১জুলাই বিকেলে ভালুকায় তার নানার বাড়িতে মোটরসাইকেল যোগে যাওয়ার পথে হঠাৎ একটি লড়িতে ধাক্কা লাগে বদলে যায় গন্তব্য।রক্তাত্য অবস্থায় ভর্তি করা হয় ময়মনসিংহ মেডিকেলে ।সেখান থেকে ২৩জুলাই ঢাকার উত্তরায় আর,এম,সি হাসপাতালে নেয়া হয় ।আটকে যায় তার পথযাত্রা সকাল ০৭টায় কাউকে কিছু না বলে না ফেরার দেশে পাড়ি জমায় হামিদ বুখারী। মূহুর্ত্যেই পরিবারে নেমে আসে শোকের ছায়া। বিশেষ করে মেয়র পরিবারেও শোকের মাতন প্রিয় কর্মীকে হারিয়ে ছটফট করতে দেখা গেছে মেয়র আনিছকে। অবশেষে নিথর দেহ আসার খবর পেয়েই মেয়র ছুটে চলেন তার বাড়িতে অশ্রু নয়নে ব্যথিত হৃদয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন তিনি।
তিনি শোক বার্তায় বলেন, ছেলেটার ভিতর খুবই সততা ছিল। আমার একান্ত আস্থাভাজন ছিল, আমার রাজনৈতিক জীবনে ওদের মত কর্মী কম পেয়েছি। ওকে সব সময় আমার পরিবারের একজন মনে করেছি। তাকে হারিয়ে আমার এক অপূরণীয় জায়গা শূন্য হয়েছে। ওকে হারানোর কষ্ট কখনোই মুছা যাবে না। আমি তার আত্মার প্রতি শান্তি কামনা করছি এবং শোকসম্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই।