নিজস্ব প্রতিনিধি, ত্রিশাল প্রতিদিন:: ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি শাহ কামাল আকন্দ জেলায় আবারো শ্রেষ্টত্বের পরিচয় দিতে সক্ষম হয়েছেন। এ নিয়ে গত দেড় বছরে জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার্স ইনচার্জ হিসাবে ১৫ বার পুরুস্কার পেলেন।
শ্রেষ্ঠ উদ্ধারকারী ইউনিট এবং গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উৎঘাটনে দায়িত্বশীল, দক্ষ ও নিষ্ঠাবান ওসি এবং টিম লিডার হিসাবে তিনি পুরস্কার লাভ করেছেন। মঙ্গলবার ময়মনসিংহ পুলিশ লাইন্স কনফারেন্স হলে মাসিক কল্যাণ সভায় তিনি এই পুরস্কার প্রাপ্ত হন। পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আহমার উজ্জামান এ পুস্কার প্রদান করেন। অনুষ্ঠানে এছাড়াও চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ভাল কাজের জন্য নিষ্ঠাবান ও পরিশ্রমী অফিসারদের উত্তম পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।
সভায় অতিরিক্ত জেলা পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত এসপি) হুমায়ুুন কবির, জয়িতা শিল্পী, আল আমিন, হাফিজুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন ।
ডিবি পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, দায়িত্বশীল ওসি শাহ কামালের সঠিক নির্দেশনা ও কর্মপরিকল্পনায় ডিবি পুলিশ মুক্তাগাছায় গনধর্ষণ মামলা দায়েরের কম সময়ের মধ্যেই চারজনকে গ্রেফতার করে মামলার রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হন। এদের মধ্যে কয়েকজন গণধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। বিভাগীয় শহরের রহমতপুরে (কোতোয়ালী থানার) জোড়া খুন মামলার একমাত্র ঘাতককে গ্রেফতার এবং রহস্য উদঘাটন। কোতোয়ালী থানার দুটি দুঃসাহিসক চুরি মামলায় চারজনকে গ্রেফতারের মধ্য দিয়ে রহস্য উদঘাটন,নান্দাইল থানার ডিজিটাল নিরাপত্ত মামলায় একজনকে গ্রেফতার ও রহস্য উদঘাটন, বিভাগীয় শহরের (কোতোয়ালী থানার) ক্যালকাটা জুয়েলার্সের অভিযোগের রহস্য উৎঘাটন ছিল অন্যতম।
এছাড়াও ভালুকা থানায় ইউডি মামলার ভিকটিম সোহাগের গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যার মূল রহস্য উৎঘাটনে ডিবি পুলিশ কারিগরী সহায়তা করে। ফুলপুর থানার হত্যা মামলার অন্যতম আসামীকে গ্রেফতারের সহায়তা এবং কোতোয়ালী থানায় রুজুকৃত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলার অন্যতম আসামীকে ধোবাউড়া হতে গ্রেফতারে ডিবি পুলিশ কারিগরি এবং বিভিন্ন ধরণের সহায়তা করে। এছাড়া ডিবি পুলিশ জানুয়ারী মাসে ৪ হাজার ৮৫০ পিচি ইয়াবা, ২২৫ গ্রাম হেরোইন, ৭ কেজি ১২৫ গ্রাম গাঁজা, ২৫ বোতল ফেনসিডিল, একশত লিটার চোলাই মদ ও ৫বোতল বিদেশী মদ উদ্ধার এবং ৮ জুয়াড়িকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়। এছাড়া জিডি মূলে চার ভিকটিম ও ৩৫ মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। একই সাথে ৫৬টি মামলা রুজু, ৪৪ মামলা নিষ্পত্তি করে। এ সময় ৮টি পাবলিক পিটিশন নিষ্পত্তি করা হয়। ১১জনকে নিবারণ মূলক গ্রেফতার করে।
ডিবির ওসি শাহ কামাল আকন্দ ত্রিশাল প্রতিদিনকে বলেন, ডিবি পুলিশের বার বার সফলতা তার একার কৃতিত্ব নয়। পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামানের নির্দেশনা ও পরিকল্পনায় ডিবি একটি টিম ওয়ার্ক কাজ করছে। সকলে মিলেমিশে একটি জোট হয়ে কাজ করে আসছে বলেই এই সফলতা আসছে। এ জন্য তিনি পুলিশ সুপারসহ ডিবির প্রত্যেক সদস্যদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য ওসি শাহ কামাল আকন্দ এর আগে ১৪ বার জেলা ও রেঞ্জে শ্রেষ্ট ওসি হিসাবে পুরস্কারপ্রাপ্ত হয়েছেন।