ত্রিশালে বিকল আ্যাম্বুলেন্স , দুর্ভোগের শেষ নেই

খায়রুল আলম রফিক : ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটিমাত্র আ্যাম্বুলেন্স। যা অচল পড়ে আছে হাসপাতালে। এ কারণে গুরুতর অসুস্থ রোগীদের স্থানান্তরের ক্ষেত্রে রোগী ও তাদের স্বজনদের ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের এপ্রিল মাসে ময়মনসিংহ থেকে রোগী আনার পথে কানহর এলাকায় আ্যাম্বুলেন্সটি দুর্ঘটনার শিকার হয় । দুর্ঘটনায় আ্যাম্বুলেন্সের ড্রাইভার জাহাঙ্গীর আলম মারাত্বকভাবে আহত হন । এরপর আ্যাম্বুলেন্সটি ৫ মাস ত্রিশাল থানায় ছিল । রোগী ও তাদের স্বজনদের ব্যাপক দুর্ভোগের বিষয়টি চিন্তা করে ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি) মাইন উদ্দিন আ্যাম্বুলেন্সটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে ।

আ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার জাহাঙ্গীর আলম জানান, সড়ক দুর্ঘটনার পর এ্যাম্বুলেন্সটি অকেজো হয়ে গেছে । সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ দেখে আমারও খারাপ লাগে ।

সরেজমিনে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, কাপড় মোড়ানো অবস্থায় আ্যাম্বুলেন্সটি পড়ে আছে । জরুরী বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, জাবেদা খাতুন নামের এক নারী তার অসুস্থ্য স্বামীকে নিয়ে কান্নাকাটি করছেন । তার স্বামী অসুস্থ্য । তার স্বামীকে হাসপাতালের কর্মরত ডাক্তার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন । হত দরিদ্র জাবেদা খাতুন প্রতিবেদককে বলেন, হাসপাতালের আ্যাম্বুলেন্স চেয়েছি । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আ্যাম্বুলেন্সটি বিকল জানিয়েছেন । আমার কাছে টাকা নেই । এখন রোগী নিয়ে কিভাবে ময়মনসিংহ হাসপাতালে কিভাবে যাবো । জাবেদা খাতুনের মত অনেকেই প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছেন ।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সহকারি পরিচালক জসিম উদ্দিন জানান, ময়মনসিংহ- ঢাকা মহাসড়কের বিশাল অংশ ত্রিশাল হাইওয়ে । এই হাইওয়ে দিয়ে সিএনজিসহ ছোট- বড় যানবাহন চালাচল করে । গত ৯ মাসে এই হাইওয়ে রোডে কমপক্ষে ৬০ জন মানুষ নিহত হয়েছেন ।

ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য হাফেজ রুহুল আমিন মাদানি মহোদয়ের ডিও লেটারের মাধ্যমে নতুন এ্য্যাম্বুলেন্স চেয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রাণলয়ে আবেদন জানানো হয়েছে।