মুক্তাগাছায় বিচারকের চ্যালেঞ্জ,মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিক কে তলব

 মুক্তাগাছায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশে সাংবাদিককে তলব করেছেন  ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক। এবং সংবাদের সত্যতা প্রমাণ করতে বলেছেন ঐ সাংবাদিককে। গত ০৮/১০/২০২১ইং আব্দুল জলিল কর্তৃক সরকারের ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত খাল দখল করে বাড়ি নির্মাণের অভিযোগ পেয়ে সহকারী কমিশনার(ভূমি)র কার্যালয়ের ০১ জন সার্ভেয়ার, ০১ জন চেইনম্যান ও ০১ জন কনটিনজেন্সি স্টাফ প্রেরণ করা হয়। সরেজমিন পরিদর্শণ করে অভিযোগের সত্যতা উদঘাটন করার জন্যই মূলত তাদের পাঠানো হয়।

সাার্ভেয়ার তার টিমসহ সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দেন আব্দুল জলিল সরকারি খাল দখল করেছেন এবং পুরো খালটি দখলের চেষ্টা করছেন। তাকে ০৩ দিন সময় দেয়া হয়েছে নিজের জমিতে চলে যাওয়ার জন্য।

আব্দুল জলিল সরকারি কর্মচারীর নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে খাল দখল করে স্থাপনা নির্মাণ চালু রাখলেন। গত ১২/১০/২০২১ ইং ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় সার্ভেয়ার, চেইনম্যান, পুলিশ সদস্য আদালতকে সহায়তা করেন। সার্ভেয়ার কর্তৃক সরকারি খালের সীমানা চিহ্নিত করা হয়।  দৃশ্যমান খাল উন্মুক্ত করে দেয়া হয় উচ্ছেদের মাধ্যমে এবং  অপরাধীকে ০১ মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেয়া হয় ভ্রাম্যমান আদালতে।

 কিন্তু কথিত সাংবাদিক সাহেব নিউজ করলেন তার উল্টো।তিনি লিখলেন ব্যাক্তিগত জমিতে উচ্ছেদ হয়েছে, সরকারি সার্ভেয়ার ভুল মেপেছে। পরের দিন ভ্রাম্যমান আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করায় সাংবাদিককে তলব করা হল। সাংবাদিক জমি নিয়ে কিছু না জেনেই সংবাদ করেছেন কি না জানতে চাওয়া হলে,সাংবাদিক জমির তফসিল, মৌজা ও দাগ সম্পর্কিত কিছুই জানেন না বলে স্বীকার করেন। তাকে দায়িত্ব দেয়া হয় জমির সত্যিকারের মালিকানা কে তা প্রমাণ করবেন। প্রয়োজনে তাকে আবার সার্ভেয়ার দেয়া হবে। সে প্রমাণ করতে পারেনি এখনো।

আদালতের রায় নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করা আদালত অবমাননার সামিল বলে দাবী করে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।তিনি জানান-ভ্রাম্যমান আদালত বা রাজস্ব আদালত কিংবা জুডিশিয়াল আদালতের রায়ে সংক্ষুব্ধ ব্যাক্তির একমাত্র সমাধান হল উচ্চতর আদালত। সংবাদপত্র নয়। সাংবাদিকদেরও জানতে হবে।  নিজেদেরকে বিক্রয় করা যাবে না।

১০০% নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারবো একটি রায়ও পক্ষপাতদুষ্ট দেইনি। হাজারের উপর মামলার রায় দিয়েছি( ভ্রাম্যমান আদালতে ও রাজস্ব আদালতে)। Media Censorship Act না হলে এদেশে মানসম্মত সাংবাদিকের মহাসংকটে পড়বে দেশ। লিখতে হলে আগে জানতে হবে। আদালত অবমাননা কি তাও জানতে হবে।তিনি গণমাধ্যমের চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম শক্তিশালী বলে উল্লেখ করে সৎ, নির্ভীক সাংবাদিকদের  ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।