প্রাকৃতিক নৈসর্গের লীলাভূমি, বাংলাদেশের বৃহত্তম বাণিজ্য নগরী চট্টগ্রাম। বৃষ্টির মৌসুমে, মহানগরীর বহু এলাকা তলিয়ে যায় পানির নীচে। কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমর পর্যন্ত পানি। জলাবদ্ধতায় স্থবির হয়ে পড়ছে নগরের জীবন যাত্রা। ইদানিং কর্ণফুলী নদীতে চলমান বাহারী সাম্পানকে মানুষ ফেরী করতে দেখা যাচ্ছে শহরের রাজপথে! শুধু কি তাই? বৃষ্টি না থাকলেও, জোয়ারের পানিতে সকাল–সন্ধ্যা ডুবে যাচ্ছে শহরের দক্ষিণ–পশ্চিম এলাকা। যে শহর পর্যটকদের কাছে একসময় প্রাচ্যের রানী নামে খ্যাতি পেয়েছিল, জলবন্দি মানুষের কাছে সেই শহর এখন যেনো দুঃস্বপ্নের নগরী।
জলাবদ্ধতার কারণে শহরের সবচেয়ে ক্ষত্রিগ্রস্ত এলাকাগুলো হচ্ছে প্রবর্তক মোড়, ষোলশহর, বাকলিয়া, বহদ্দারহাট, মুরাদপুর, জিইসি মোড়, চকবাজার, কাপাসগোলা, বাদুরতলা, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, নাসিরাবাদ, আগ্রাবাদ, পতেঙ্গা, হালিশহর, ইত্যাদি। এছাড়া প্রতিবছরই শহরের নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। জোয়ারের পানির সাথে নিত্য ব্যবহার্য পানি মিশে গিয়ে শহরের দক্ষিণ–পশ্চিমে বিশেষ করে হালিশহর ও আগ্রাবাদ এলাকার জলাবদ্ধতা দীর্ঘস্থায়ী আকার ধারন করছে। প্রায় সব খালেরই তলদেশ ভরাট হয়ে গেছে। হাতে গোনা রিটেইনিং ওয়াল দেয়া কয়েকটি ছাড়া অধিকাংশ কাঁচা খালের দুই পাশে অবৈধ দখলের কারণে দ্রুত জমে থাকা পানি নিষ্কাশিত হতে পারছেনা।
নদী, নালা, খাল–বিল হচ্ছে সমুদ্রে পানি নির্গমনের প্র্রাকৃতিক পথ। আর এসবের গতিপথ কোনো কারণে রুদ্ধ হয়ে গেলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ১৯৬৯ সালের মাস্টার প্ল্যানে চট্টগ্রাম শহরে ৭০টি খাল চিহ্নিত করা হয়। পলি, বর্জ্য পদার্থ জমে এবং দখলের কবলে পড়ে এই খালগুলো অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। খালের সংখ্যা কমে যাওয়ায় এবং অধিকাংশ খালের নাব্যতা চরমভাবে হ্রাস পাওয়ায় বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি নদী ও সমুদ্রে যেতে নিচ্ছে বহু সময়। ১৯৯১ সালে ফিসারীজ কর্তৃপক্ষের জরীপে চট্টগ্রাম শহরে উনিশ হাজারেরও বেশী পুকুর–জলাশয়ের সন্ধান পাওয়া যায়। অথচ চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) হিসাবে দেখা যায়, তা কমে এখন চার হাজারেরও নিচে চলে এসেছে। এছাড়া নগরীতে পাঁচ শতাধিক কূয়ার মধ্যে এখন একটিরও অবশিষ্ট নেই। উল্লেখ্য, বৃষ্টির পানি ধরে রাখার জন্য শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এসব জলাশয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
চট্টগ্রাম শহরের পািন নিষ্কাশনের প্রধান দুইটি ধারা হচ্ছে, মির্জা–নোয়া–চাক্তাই ও নাসির–মহেশখাল ড্রেইনেজ সিস্টেম। এর সাথে বেশ কিছু সেকন্ডোরী ও টারশিয়ারী খালও সংযুক্ত। এছাড়া বেশ কয়েকটি স্বতন্ত্র খাল, হালদা, কর্ণফুলী এবং বঙ্গোপসাগরে মিশেছে। প্রথমে চাক্তাই খালের কথাই ধরা যাক। চাক্তাই খালের দু’পাশে রয়েছে ভোগ্যপণ্যের অন্যতম বৃহত্তম পাইকারী বাজার, চাক্তাই ও খাতুনগঞ্জ। খালের মধ্যে বিভিন্ন স্থানে চোখে পড়ে জমে থাকা ময়লা–আবর্জনা ও মাটির স্তূপ। এছাড়া অনেক সংযোগ স্থলে শাখা–প্রশাখার তলদেশ চাক্তাই খালের চেয়ে নীচে হওয়ায় পানি নদী ও সমুুদ্রে নির্গমন হতে পারেনা, ফলে আশেপাশের এলাকা প্লাবিত হয়। খালের গভীরতা মারাত্মকভাবে কমে যাওয়ায় ছোটখাট নৌযানও চলাচল করতে পারেনা।
অন্যদিকে নগরীর দক্ষিণ–পশ্চিমে মহেশ খালের অবস্থাও শোচনীয়। এই খাল দিয়ে বঙ্গোপসাগর ও কর্র্ণফুলী থেকে জোয়ারের পানি ঢুকে প্লাবিত করছে নগরীর বিশাল এলাকা। আগ্রাবাদ এঙেস রোড, পোর্ট কানেক্টিং রোড, বন্দর লিঙ্ক রোড (টোল রোড), বেড়ি বাধ ও সাম্প্রতিক সময়ে ফৌজদার হাট থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত কোস্টাল রোড নির্মাণের ফলে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর বেড়ি বাধে নির্মিত স্লুইচ গেইটগুলো অত্যন্ত সরু হওয়ায়, আগ্রাবাদ ও হালিশহর এলাকায় বৃষ্টির পানি নিষ্কাশিত হতে পারছেনা।
জলাবদ্ধতা প্রাকৃতিক এবং মনুষ্যসৃষ্ট কারণে হতে পারে। জলাবদ্ধতার প্রাকৃতিক কারণের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, বৃষ্টিপাত ও সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, এবং শহরের অভ্যন্তরে উঁচু জোয়ারের পানির আগমন ইত্যাদি। প্রথমে বৃষ্টিপাতের কথাই ধরা যাক। চট্টগ্রাম শহরে বার্ষিক মোট বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ২১০০ থেকে সর্বোচ্চ ৩৮০০ মিলিমিটারের মধ্যে ওঠানামা করে। আর বাৎসরিক মোট বৃষ্টিপাতের প্রায় ৮০ শতাংশ বর্ষা মৌসুমে (জুন থেকে আগস্ট) হয় বলে বিশেষ করে ওই সময়টাতে চট্টগ্রাম নগরী পানির নীচে তলিয়ে যায়। তবে উদ্বেগের কথা হল, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ক্রমশঃ বৃদ্ধি পাচ্ছে যা আগামীতে জলাবদ্ধতার পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ করে তুলতে পারে।
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত আন্তঃ সরকার পরিষদের (আইপিসিসি) বিশ্ব জলবায়ুর বর্তমান পরিস্থিতি এবং ভবিষ্যতের পূর্বাভাষ নিয়ে পঞ্চম মূল্যায়ন রিপোর্ট (এআর–৫)। বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীদের জলবায়ু সংক্রান্ত প্রায় ৯০০০ গবেষণালব্ধ ফলাফলের সঙ্কলন হচ্ছে এআর–৫। এই রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের তাপমাত্রা ১.৫ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। তাপামাত্র বৃদ্ধি পেলে সমুদ্রতলের উচ্চতাও বেড়ে যায়। বিশ্ব ব্যাংকের রিপোর্ট মতে সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধির জন্য ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ১৭ ভাগ ভূমি সাগর জলে তলিয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে আইপিসিসি উদ্ভাবিত জলবায়ু মডেল নির্দেশ করছে যে, বাংলাদেশে ২০৩০ সালের মধ্যে ১০–১৫ শতাংশ অধিক বৃষ্টিপাত হবে এবং বৃষ্টিপাতের তীব্রতাও বৃদ্ধি পাবে। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের বৃষ্টিপাত নিয়ে একটি গবেষণায় এই পূর্বাভাসেরই প্রতিফলন ঘটেছে।
চট্টগ্রামের গত পাঁচ দশকের বৃষ্টিপাত নিরীক্ষা করে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম শহরের বাৎসরিক বৃষ্টিপাত বছরে গড়ে প্রায় ৭ মিলিমিটার হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া অন্য এক গবেষণায় দেখা গেছে, ড্রেন, নদী–নালা, খাল–বিলের সীমিত ধারণ ক্ষমতার কারণে মাত্র ১০ মিলিমিটারের বেশী বৃষ্টি হলেই চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। এটা নগর পরিকল্পনাবিদ এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জন্য দুঃসংবাদই বটে।
তবে প্রাকৃতিক কারণ যাই হোক না কেন, আজকের জলাবদ্ধতা মূলতঃ মানব সৃষ্ট। যেমন উন্নয়ন ও আবাসন নির্মাণের দোহাই দিয়ে অপরিকল্পিত পাহাড় কাটা, জলাশয় ভরাট, খাল–নালা অপ দখল, যত্র–তত্র ময়া ফেলা, সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাব, ইত্যাদি। অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে উজাড় হচ্ছে কৃষিযোগ্য জমি, শ্যামল বনভূমি। চুয়েটের একটি গবেষণায় দেখা যায়, ১৯৯০ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম শহরে প্রতিবছর ৯ শতাংশ হারে বনাঞ্চলের সবুজ আচ্ছাদন হারিয়ে গেছে। ফলে বৃষ্টিপাত হলেই পাহাড়ে ঢল নামে যা কৃত্রিম বন্যার সৃষ্টি করে এবং বালি, মাটিতে নালা, নর্দমা, ডোবা, পুকুর ও খাল ভরাট হয়ে যাচ্ছে। আর তখন নগরীর রাস্তা দিয়ে বৃষ্টির পানি প্রবাহিত হতে থাকে। পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষার জন্য দেশের মোট আয়তনের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকা প্রয়োজন। অথচ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের হিসাব মতে, বাংলাদেশে বর্তমান বনভূমির পরিমাণ মাত্র ১১.২ শতাংশ। মালয়েশিয়া এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মত শিল্পোন্নত দেশে বনাঞ্চলের পরিমাণ দেশের মোট আয়তনের প্রায় ৭০ শতাংশ।
জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবার জন্য ত্বরিৎ ও স্বল্পমেয়াদী প্রচষ্টো হিসাবে প্রতিবছরই রাস্তা–ঘাট উঁচু করা হচ্ছে। ফলে রাস্তার আশে পাশের দোকান–পাট ও ঘরবাড়ি পানিতে ডুবে যাচ্ছে। শুধু কি তাই? বাড়ি–ঘরের ভিত্তিও রাস্তার সাথে পাল্লা দিয়ে ক্রমান্বয়ে উঁচু করে তৈরি করা হচ্ছে। বন্যার পানির সর্বোচ্চ উচ্চতা বিবেচনা করে কর্তৃপক্ষকে প্রতিটি এলাকার জন্য প্লিন্থ লেভেল নির্দিষ্ট করে দিতে হবে। উন্নত দেশে, বাড়ি–ঘর সহ যেকোনো অবকাঠামো প্রকল্পের নিজ সীমানার মধ্যে জলাধার নির্মাণ করে বাধ্যতামূলকভাবে বৃষ্টির পানি ধরে রাখতে হয়। বৃষ্টি চলাকালীন সরাসরি ড্রেইনেজ লাইনে পানি নিষ্কাশন করা যায়না। বৃষ্টিপাত শেষ হবার পর সেই জলাধার থেকে ধীরে ধীরে পানি ছাড়তে হয় যাতে ড্রেইনেজ সিস্টেমের ধারণ ক্ষমতাকে ছাড়িয়ে না যায়। এছাড়া নকশায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ এবং উপযুক্ত পানি নির্গমনের ব্যবস্থা না থাকলে কোনো প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়না। চউককে এ বিষয়ে কঠোর হতে হবে।
চট্টগ্রামের ড্রেইনেজ ও স্যুয়ারেজ ব্যবস্থাকে উন্নত করে অল্প সময়ে পানি নিষ্কাশন ত্বরান্বিত করার জন্য ১৯৬৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত পাঁচটি মাস্টারপ্ল্যান/সম্ভাব্যতা স্টাডি সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে চউক–এর ১৯৯৪ সালের ড্রেইনেজ ও স্যুয়ারেজ মাস্টারপ্ল্যান অন্যতম। গত বছরের জুলাই মাসে সমাপ্ত হয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াটার সাপ্লাই এন্ড সুয়ারেজ অথরিটির “ড্রেইনেজ মাস্টার প্ল্যান – ২০১৭”। প্রকৌশলগত কিছু ঘাটতি থাকলেও এই মাস্টার প্ল্যান মোটামুটি মান সম্পন্ন বলেই মনে হয়েছে। এখন মাঠ পর্যায়ে মাস্টারপ্ল্যানের রূপায়ন করতে হবে যাতে জলাবদ্ধতার নিরসন হয়।
পাঁচ দশক আগেও চট্টগ্রাম শহরের বুক চিরে বয়ে যেতো অসংখ্য খাল। বৃষ্টি এবং জোয়ারের পানি নিঃসরণের এগুলোই ছিল প্রধান পথ। কিন্তু খালের আশেপাশে বসবাসকারীরা খাল দখল করেই থেমে থাকেননি, খালগুলোকে পরিণত করেছেন আবর্জনার ভাগাড়ে। ক্রমশঃ ভরাট হয়ে চাক্তাই খালসহ অনেক খাল এখন ছোটো নালায় রূপান্তরিত হয়েছে। ফলে অল্পবৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। নালা, নর্দমা, খাল সহ যত্রতত্র যাতে মানুষ আবর্জনা না ফেলে সেজন্য সবাইকে সচেতন করতে হবে। খাল দখল করে বাড়ি কিংবা ব্যবসায়িক স্থাপনা নির্মাণ করে বাড়ির আয়তন হয়তো কিছুটা বাড়ানো যাবে কিন্তু বর্ষার মওসুমে সেই খালের পানিই যে নিজের বাড়ীই জলমগ্ন করতে পারে এই বিষয়টি সবার মনে রাখতে হবে।
জলাবদ্ধতা সমস্যার মূলে রয়েছে জনগণের নাগরিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতার অভাব। চসিক, চউক, কিংবা বিদেশী কনসাল্ট্যান্ট, কারো কাছেই আলাদিনের চেরাগ নেই যে চাইলেই পরদিন জলাবদ্ধতা দূর করে দেবেন। তাই প্রযুক্তিগত সমাধানের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে একজন সুনাগরিকের দায়িত্ব পালন করার জন্য জনগণকে সচেতন এবং উদ্বুুদ্ধ করতে হবে। মহল্লার সর্দার, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, রাজনীতিবিদ, পরিকল্পিত চট্টগ্রাম ফোরাম, আঁরার চট্টগ্রাম, চাক্তাই খাল খনন সংগ্রাম কমিটির মতো সামাজিক সংগঠনগুলো এই আন্দোলনের নেতৃত্ব দিতে পারে।
অতি সম্প্রতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ আগ্রহে, চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ সেনাবাহিনীকে সম্পৃক্ত করে মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে। এই নতুন প্রকল্পের কাজ চট্টগ্রামবাসীদের আশার আলো দেখাচ্ছে। আসুন এই সংকট উত্তরণে আমরা সবাই হাত বাড়িয়ে দেই।
লেখক : আব্দুল্লাহ আল মামুন–আন্তর্জাতিক ড্রেইনেজ বিশেষজ্ঞ ও জলবায়ু গবেষক ও শাহরিয়ার খালেদ –শিল্পী , পরিবেশ ও ড্রেইনেজ বিশেষজ্ঞ।