প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ এমপি বলেন, অতিভারী বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের কারণে আকস্মিক ও স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় বড় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সিলেট ও সুনামগঞ্জ। সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি এক সপ্তাহ ধরে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রাবহিত হচ্ছে। বিপুল সংখ্যক রাস্তা বাড়িঘর এবং ফসলি জমি প্লাবিত হয়েছে। মানুষ বন্যার পানিতে আটকা পড়েছে। খাদ্য এবং অন্যান্য মৌলিক প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অভাব তৈরি হয়েছে। এলাকার স্কুলগুলোগুলো বন্ধ করে আশ্রয়কেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হয়েছে। অনেক বন্যা কবলিত এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। এই পরিস্থিতিতে মানুষ অবর্ণনীয় কষ্টে আছেন।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের মাননীয় বিরোধী দলীয় নেতার সহকারী একান্ত সচিব মামুন হাসান প্রেরিত এক বিবৃতিতে বিরোধী দলীয় নেতা বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারকে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বন্যার পানি দ্রুত কমে যাবে বলে আশা করাই যথেষ্ট নয়। আমাদের যা দরকার তা হলো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ, যাতে করে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে অবিলম্বে সাহায্য পৌঁছানো যায়। ত্রাণ ও চিকিৎসা দলগুলোর জন্য পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিত করে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পাঠানো এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিদ্যুৎ চালু করা প্রয়োজন। দীর্ঘমেয়াদে বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্যও সরকারের ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বিরোধীদলীয় নেতা আরও বলেন, যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগে মানবিক বিপর্যয়ের দিকগুলোর প্রতি গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। এ জন্য বন্যাকবলিত এলাকার অসহায় মানুষ যাতে পর্যাপ্ত পরিমানে খাদ্য, পানীয় ও আশ্রয় পায় সে ব্যাপারে বিশেষ যত্নবান হওয়ার পাশাপাশি তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়েও নজর দেওয়া উচিত। বন্যার্ত মানুষের জন্য সরকারি সহায়তার পাশাপাশি সবাইকে যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী এগিয়ে আসার আহ্বান জানান বিরোধীদলীয় নেতা।