শেরপুরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের উপর সন্ত্রাসী হামলা

মোঃজিয়াউল হক,  শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের ভালুকা গ্রামে নির্মাণাধীন মুজিব বর্ষের আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর তদারকি করতে গিয়ে সন্ত্রাসী আকরাম বাহিনী কর্তৃক হামলার শিকার হলেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মো. মজনু মিয়া(৫০)। সন্ত্রাসীদের অতর্কিত হামলায় গুরুতর ভাবে আহত হয়ে বর্তমানে ঝিনাইগাতী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।  ১৮ মে বৃহস্পতিবার বিকাল আনুমানিক ৫ ঘটিকার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মজনু মিয়া বাদী হয়ে ৪ ব্যক্তির নামে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

 অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,  মুক্তিযোদ্ধার সন্তান মজনু মিয়া নলকুড়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান থাকাকালীন সময়ে উপজেলা প্রশাসন ভালুকা গ্রামের জৈনক আকরাম হোসেনের দখলে থাকা খাস জমি উদ্ধার করে সেখানে প্রধানমন্ত্রীর উপহার মুজিব বর্ষের আশ্রাণ প্রকল্পের ৭টি ঘর নির্মাণ করেন।  তখন থেকেই আকরাম ও তার পরিবারের লোকজন মজনু মিয়ার উপর ক্ষেপে উঠার পাশাপাশি তাকে একাধিকবার লাঞ্চিতের চেষ্টা করেন।  আকরাম বাহিনীর ধারণা, তাদের দখলীয় খাস জমি উদ্ধারের ব্যাপারে মজনু চেয়ারম্যানের সক্রিয় ভূমিকায় ছিল। পরবর্তীতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারুক আল মাসুদ ভালুকায় নির্মিত ঘরগুলো দেখভাল সহ আনুষঙ্গিক কাজ করার দ্বায়িত্ব দেন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মজনু মিয়াকে। ইউএনও’র নির্দেশে মজনু মিয়া ওই ঘরগুলো তদারকি সহ শ্রমিক দিয়ে অবশিষ্ট কাজগুলো দ্রুতগতিতে করাচ্ছিলেন। ঘটনার দিন মজনু মিয়া তার নিজ বাড়ী ফুলহারি থেকে ভালুকা আশ্রয়ন প্রকল্পে শ্রমিকদের বেতন দিতে আসেন। আকরামের নির্দেশে পরিকল্পিতভাবে  মজনু মিয়ার ওপর আক্রমন চালিয়ে তাকে মারাক্তক ভাবে আহত করে।  তার সাথে থাকা শ্রমিকদের ৮০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়ার পাশাপাশি মজনু মিয়ার মোটরসাইকেলটি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়।

খবর পেয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট  ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল কবির ঘটনাস্থলে গিয়ে মজনু মিয়াকে উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মো. মজনু মিয়া জানান, এই আকরাম বাহিনীর অত্যাচারে পুরো ভালুকা গ্রামবাসী অতিষ্ট। তাদের নামে ইতিপূর্বেও গরুচুরি থেকে একাধিক মামলায় জেল খেটেছে। তারা আমাকে একাধিকবার প্রাণনা শের হুমকি দেয়ায় আমি উপজেলা প্রশাসন, জেলা প্রশাসন, এসপি ও ওসি মহোদয়কে লিখিত ভাবে জানিয়ে ছিলাম। আজও তার কোন প্রতিকার আমি পাইনি। আজ মুক্তিযোদ্ধা স্বপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকা সত্বেও আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয়েই নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছি। আমি আকরাম বাহিনীর এমন ঘৃণ্যতম কাজের দৃষ্টান্তমুলক বিচার চাই।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনিরুল আলম ভুইয়া এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত  করে জানান, আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।