ময়মনসিংহে মহাসড়কে বালুর স্তুপ ইউএনও’র অভিযানে জরিমানা,বালু জব্দ

ষ্টাপ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহ মহাসড়কের  পাশে অবৈধভাবে বালুর স্তুপ রেখে যানযট আর যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটানোর  অপরাধে ২ বালু ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ১০টির মত বালুর স্তুপ জব্দ করা হয়েছে।

রবিবার (৩০ জুলাই) সাড়ে ১০টায়  ময়মনসিংহের দিঘারকান্দা ঢাকা বাইপাস মোড়ে থেকে চুড়খাই বাজার চৌরাস্তা মোড় পর্যন্ত জেলা প্রশাসক মোস্তাফিজার রহমানের নির্দেশে মহাসড়কে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে এ জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।

ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে,  বালুর স্তূপের কারণে মহাসড়কের দুই পাশে বালু ছড়িয়ে থাকে। এতে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে মোটরসাইকেল চলাচল। দুই চাকার যান হওয়ার কারণে যেকোনো সময় মোটরসাইকেল সড়কে উল্টে যেতে পারে।

আদালত আরো জানান, কয়েক বছর ধরেই এভাবে মহাসড়কের পাশে বালু রেখে ব্যবসা শুরু হয়েছে। তবে মাঝে মাঝে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে সতর্ক  করা হলেও  বালু ব্যবসায়ীরা তা না মেনে এভাবেই  এ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।  এতে মহাসড়কে প্রায়ই ছোট–বড় দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই জেলা প্রশাসনের নির্দেশে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সড়ক ও জনপদ বিভাগের সহযোগীতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে  সড়ক ও জনপদ আইনে বালু জব্দ করাসহ ২মামলায় ২০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

 এসময় সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোফাখখারুল ইসলাম,কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহ কামাল আকন্দ,সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ বিভাগীয় সার্ভেয়ার  ইউনুস আলী মিঠু, সদর উপজেলা সার্ভেয়ার মতিউর রহমান,ভূমি সহকারী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম,কোতোয়ালী মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর এসআই  আরিফ,উপজেলা প্রশাসনের অফিস সহকারী জাকির হোসাইনসহ পুলিশ ও আনসারসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম  বলেন, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে মহাসড়কে মহাসড়কে দুইপাশে পাথর,বালু স্তুপ করে রাখাসহ অস্থায়ী স্থাপনা নির্মাণ করার দায়ে ২জন বালু ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং একই সাথে কিছু বালুর স্তুপ জব্দ করা হয়েছে। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করণে  এ ধরনের অভিযান চলমান থাকবে বলেও জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম।