মিশরে ৭৫ মুসলিম ব্রাদারহুড নেতার মৃত্যুদণ্ড

ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক:: মিশরে ২০১৩ সালের ক্ষমতাচ্যুত ব্রাদারহুড নেতা মুরসির সমর্থকরা সেনা সমর্থিত সিসি সরকারে বিরুদ্ধে আন্দোলনে সহিংসতার দায়ে ৭৫ জন মুসলিম ব্রাদারহুড নেতার মৃত্যুদণ্ড ও ৪৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। এছাড়াও সহিংসতার ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে প্রায় সাতশ জনের সাজার রায় দিয়েছে। রায়ে বলা হয়, সাজা প্রাপ্তরা নিরাপত্তার বিঘ্ন ঘটিয়ে সহিংসতা ছড়ানোসহ হত্যা এবং অবৈধভাবে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা করে।

বার্তা সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, ২০১৩ সালের ওই ঘটনায় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে শত শত বিক্ষোভকারী প্রাণ হারালেও শনিবার দেয়া আদালতের রায়ে নিরাপত্তাবাহিনীর কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষিত হয়নি। সেজন্য মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারনেশনালের পক্ষ থেকে এ রায়কে বিচারের নামে ’প্রহসন’ বলে আখ্যা দেয়া হয়েছে। এ বিচারকে মিশরের সংবিধানের সাথে সাংঘর্ষিক বলেও দাবি করেন ওই সংস্থা।

ওই আন্দোলনে প্রায় ৮০০ আন্দোলনকারী প্রাণ হারিয়েছিল। এমন অবস্থায় উল্টো বিক্ষোভকারীদের সাতশ জনের বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে দেশটির আদালত।

জেনারেল আব্দুল ফাত্তাহ আল সিসি মিসরের ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকে বিরোধী মতের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে রূঢ় পদক্ষেপ নিয়ে চলছেন। নিষিদ্ধ সংগঠনের সদস্য হওয়া বা হামলার পরিকল্পনা করার মত অভিযোগে দেশটিতে বহু নাগরিকের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে।

এর আগে ২০১৫ সালে মিশরের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট ও মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা মুহাম্মদ মুরসিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিলেন দেশটির একটি আদালত। ২০১১ সালে হোসনি মুবারকবিরোধী আন্দোলনের সময় জেল ভেঙ্গে গণহারে কয়েদি পালানোর ঘটনায় নেতৃত্ব দেয়ার অভিযোগে আদালত মুরসিকে মৃত্যুদণ্ড দেন।

নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে গণআন্দোলনের মুখে এক সামরিক অভ্যুথানে তাকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সেনাবাহিনী। এরপর থেকে মুরসি ও তার ব্রাদারহুড নেতাদের বিচার চলছে।

ক্ষমতায় থাকার সময় আন্দোলনকারীদের গ্রেফতার এবং নির্যাতনের নির্দেশ দেয়ায় এর আগে তাকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত।