ভালুকায় গার্মেন্টসে চাকুরীর আড়ালে ব্লাকমেইলিং ও প্রতারণা

নিজস্ব প্রতিবেদক  : ভালুকা স্কয়ার মাস্টার বাড়ি এসকিউ সেলসিয়াস ইউনিট ২ তে কিউসি পদে চাকুরী করেন মোঃ সাদিক মিয়া।  সাদিকের বাড়ি জামালপুরের কোন এক এলাকায়। সাদিক এসকিউ সেলসিয়াস ইউনিট ২ তে চাকুরী করলেও মূলত ব্লাকমেইলিং ও প্রতারণা করার মাধ্যমে একাধিক সুন্দরী নারীদের জীবন নষ্টসহ হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। শুধু সাদিক নয় তার সাথে রয়েছে একটি সংবদ্ধ চক্র। এই চক্রের সদস্য হিসেবে যাদের নাম অনুসন্ধানে উঠে এসেছে তা রীতিমত অবাক করার মত। এই তালিকায়,অফিসিয়াল বস, প্রোডাকশন ম্যানেজার, স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতা, কর্মী/ সমর্থক, ব্যবসায়ী এমনকি গার্মেন্টস শ্রমিক রয়েছে। সাদিক গংয়ের ব্লাকমেইলিং এর স্বীকার হওয়া ভালুকার মেদুয়ারী ইউনিয়ন এলাকার ইভা (ছদ্ননাম) দম্পত্তির সংসারে ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে।

 অনুসন্ধানে জানাযায়, সাদিক মিয়া এসকিউ সেলসিয়াস ইউনিট ২ তে কিউসি পদে চাকুরী করেন। ২০২৩ সালের  প্রথম দিকে ইভা( ছদ্ননাম) নামে একজন চাকুরী প্রত্যাশী হয়ে এসকিউ সেলসিয়াস লিমিটেড এর গেইটে যান। এসময় সাদিককে প্রথম পরিচয় হয় ইভার সাথে(ছদ্ননাম)। নিয়োগ প্রার্থীদের কোন প্রকার ইন্টারভিউ না নিয়ে ভিতর থেকে লিখে আনা নাম ধরে ধরে চাকুরী দেওয়ার ঘটনায় হতবাক হয়ে বাসায় ফিরে আসছিলেন। তাদের বাসার পাশে জিল্লুর রহমান নামে একজন মুদি দোকানি ( যার দোকান থেকে বাজার করতেন ইভা দম্পত্তি) তাকে জিজ্ঞেস করেন চাকুরী হয়েছে কিনা? জবাবে চাকুরী হয়নি বলে জানান ইভা।

 এমন সময় দোকানদার জিল্লুর রহমান বলেন এভাবে চাকুরী হয় না। টাকা দিলে ইন্টারভিউ নেয়না। সরাসরি চাকুরী দিবে। ১০ হাজার টাকা লাগবে। তাহলে চাকুরী হবে। জিল্লুরের কথামত পরের দিন উক্ত টাকা তুলে দেন দোকানীর হাতে। যেই কথা সেই কাজ। টাকা দেওয়ার পরের পূনরায় গার্মেন্সের গেইটে যান ইভা। কথামত একিউসিতে নিয়োগ পান ইভা। চাকুরী হওয়ার পর মাস খানেক তাদের সংসার ভালই চলছিল। এরপরই বিপত্তি ঘটে। সাদিকের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে ইভা। এরপর থেকে মাসিক বেতনের টাকার হিসাব তার স্বামীকে না দিয়ে উল্টো স্বামীর কাছ থেকে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা এনে সাদিকের হাতে তুলে দিচ্ছিলেন।

একপর্যায়ে ইভার ব্যবহৃত মুঠোফোন থেকে তার স্বামী দেখতে পান সাদিক, জিল্লুর, পিএম  এমদাদুল হক নয়নের সাথে নিয়মিত কথা বলা ও চ্যাটিং এর হিস্ট্রি। পরবর্তীতে ইভার এক বান্ধবীর মাধ্যমে তার স্বামী এসব বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন। এরপর থেকে শুরু লঙ্কাকান্ড। স্বামীর সাথে দুরত্ব বাড়তে থাকে ইভার।  এরই মধ্যে ইভা ও সাদিককে অনৈতিক কাজে হাতে নাতে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা। সেখানে দুজনকে অবরুদ্ধ করে রেখে ইভার স্বামী ও সাদিকের কাছে টাকা দাবী করে স্থানীয় কিছু বখাটে যুবক। ইভার স্বামী তাদের দাবীকৃত টাকা পরিশোধ করে ইভাকে বাসায় নিয়ে আসেন। আর সাদিককে পিএম এর জিম্মায় ছেড়ে দেন বখাটে যুবকরা।

আর এই বখাটে যুবক( যাদের মধ্যে রাজনৈতিক দলের কর্মী/ সমর্থক, ব্যবসায়ী ও অফিসিয়াল বসও রয়েছে)গুলো সাদিক গ্রুপের সদস্য। আর এই চক্রের  প্রধান হিসেবে পিএম( প্রোডাকশন ম্যানেজার)এমদাদুল হক নয়নের নাম উঠে এসেছে এবং সাথে কিউ.সি সুপারভাইজার রিপনের সম্পৃক্ততার তথ্য পাওয়া যায় । বখাটে যুবকগুলোও এই চক্রের সদস্য।  এমদাদুল হক নয়ন এসকিউ সেলসিয়াস ইউনিট ২ তে পিএম (প্রোডাকশন ম্যানেজার) হিসেবে যোগদান করার পর সাদিক ও তার সহযোগীদের নিয়ে একটি সিন্ডিকেট গড়ে তুলেন। যারা সুন্দরী নারীদের খুঁজে খুঁজে বের করে টাকার বিনিময়ে প্রথমে চাকুরী  ও পরবর্তীতে চাকুরী থেকে বাদ দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করেন। ঘনিষ্ঠতা তৈরির পর কৌশলে তাদের সাথে অন্তরঙ্গ মূহুর্তের ছবি বা ভিডিও ধারণ করে রাখতেন এবং মোবাইলে ঐসমস্ত ছবি ভিডিও পাঠিয়ে ব্লাকমেইলিং এর মাধ্যমে দিনের পর দিন তাদের ভোগ করেন এই গ্রুপের সদস্যরা।

তাদের ব্লাকমেইলিং এর স্বীকার হওয়াদের অধিকাংশ নারীর সংসার ভেঙ্গে যায় । আবার অনেকেই আত্নহত্যার পথ বেছে নেন। ভালুকায় এমন অসংখ্য সাদিক রয়েছে যারা গ্রামগঞ্জ থেকে এসে চাকুরী নেওয়ার পর এসব চক্রের সদস্যদের ব্লাকমেইলিং এর স্বীকার হয়ে অনেকেই আত্মহত্যা করেছেন। আবার তাদের কথা রাজি না হওয়ায় অনেককে ধর্ষণের পর খুনের ঘটনাও ঘটে। ভালুকায় নারী শ্রমিকদের আত্নহত্যা ও হত্যার ঘটনাও অহরহ। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়।

সংবাদপত্র সমূহ থেকে পাওয়া তথ্যমতে,(আংশিক) ২০২৩ সালের জানুয়ারীতে নেত্রকোনা ভালুকায় গার্মেন্টসে চাকরি করতে আসা বিথী আক্তার, ১৩ মার্চ বাদশা টেক্সটাইল মিলের শ্রমিক নাসিমা আত্মহত্যা করেন, ৫ এপ্রিল এমসি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীর সামনে তানিয়া নামের এক শ্রমিককে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এছাড়াও আত্নহত্যা করেন নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জের বাহার উল্লাহর কন্যা সোনিয়া, পাওনিয়ার গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে কর্মরত ইমা (২০)। তার স্বামীর নাম মোঃ আবু সালেহ। ৩রা জুলাই আত্মহত্যা করেন সিনথিয়া আক্তার, মেদুয়ারী এলাকার হাসনা হেনা।

হত্যা স্বীকার হয় গৌরিপুরের বলারভিটা এলাকার শাহ আলম,ঈশ্বরগঞ্জের বাল্লুকবেড় এলাকার সোহেলের মেয়ে তানিয়া, ত্রিশালের সিংরাইল এলাকার খাইরুল ইসলামের ছেলে মাসুদ মিয়াসহ আরো অনেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়ে অকালেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন । যা আইনী জটিলতা এবং সম্মানের ভয়ে প্রকাশ্যে আসেনি অনেকের ক্ষেত্রে।

এবিষয়ে ইভার সহকর্মীদের সাথে কথা বলে জানাযায় , ইভা ও সাদিক হাতেনাতে ধরা পড়ার পর যখন সবকিছু প্রকাশ্যে আসে ঠিক তখন ডিগভাজি মারেন ইভা।  তার স্বামীকেই অস্বীকার করে বসেন। এমনকি সাদিক তার সাঙ্গপাঙ্গদের নিয়ে রাসেলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। তৈরি হোটেল এ্যান্ড রেস্টুরেন্টে অবরুদ্ধ করে রাখা হয় রাসেল ও তার সাথে থাকা ইভার বোনের জামাতা আতিক এবং কামাল হোসেনকে। সেখান থেকে হোটেল মালিক স্থানীয়রা কৌশলে তাদেরকে উদ্ধার করেন এবং বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ইভার এক বান্ধবী বলেন, ইভা ও রাসেল ভাই গত ১৯  আগষ্ট ২০২২ সালে কোর্ট মেরিজের মাধ্যমে কাউকে না জানিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের সুখের সংসার ছিল। যতদূর ইভার কাছ থেকে জানতে পেরেছি তার স্বামী একজন ব্যবসায়ী এবং তাদের আর্থিক কোন সমস্যা ছিলনা। তার আলাদা সংসার রয়েছে বলে আমাকে জানিয়েছিল ইভাই। ইভার যাতে কোন সমস্যা না হয় তাই বিকাশ একাউন্টের সবসময় টাকা রাখতেন। এছাড়াও একটি ব্যাংকে একাউন্ট করে দিয়েছিলেন। তাদের সংসারের সকল বাজার, পোশাক পরিচ্ছদ, বাসা ভাড়া, মার্কেটসহ সবকিছু তার স্বামীই করে দিতেন বলে আমাদের কাছে প্রশংসা করতেন। মাঝে মাঝে আসতে না পারলে বিকাশ একাউন্ট থেকে টাকা বের করে প্রয়োজনীয় কার্যাদি সম্পন্ন করতেন। তবে শেষদিকে বেপরোয়া হয়ে ওঠেছিলেন ইভা। স্বামীর কাছ থেকে  বার বার টাকা আনতেন।  কিন্তু টাকা দিয়ে কি করতেন তা আমরা কেউ জানতামনা। আর সাদিক আমাকেও বাজে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমার চাকরী পর্যন্ত চলে গিয়েছিল।

রাসেলের স্ত্রী ইভার কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে, তিনি এবিষয়ে কথা বলতে অসীকৃতি জানান।এবিষয়ে ইভার স্বামী রাসেল বলেন, ইভাকে বিয়ে করার পর সুখেই দিন কাটছিল। নিঝুরী এলাকায় প্রথম বাসা নেই। সেখানে কোন সমস্যা ছিলনা। যখন তার আবদারে ভালুকায় বাসা নিলাম এরপর তাদের অফিসের কোয়ালিটি কন্টোলার সাদিকের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়লে আমাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটতে থাকে ।

এনিয়ে আমি নিজে এবং লোক মারফত একাধিকবার সাদিককে অনুরোধ করা হয় যাতে ইভার সাথে সম্পর্ক না রাখে। এত অনুরোধের পরও সাদিক ইভার সাথে যোগাযোগ বন্ধ না করায় বাধ্য হয়ে আমাদের বিয়ের  বিষয়টি তার বাবা, মা, ভাই ও বোনদের জানাই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে আমাকে স্বামী হিসেবে অস্বীকার করে তার পরিবারের লোকজনের সামনে। এর আগে ইভা আমাকে বলেছিল বিয়ের বিষয়টি গোপন রাখতে। যদি আমাদের  বিয়ের কথা তার পরিবারের সদস্যদের জানাই তাহলে সে আত্নহত্যা করবে বলে জানিয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে সংসার টিকাতে বিয়ের বিষয়টি আমার প্রকাশ্যে আনতে হয়েছে। কিন্তু বিয়ের কথা প্রকাশ করায় সবকিছু অস্বীকার করেন আমার স্ত্রী ইভা। যেখানে বিয়ের কাবিন রয়েছে , তার সংসার করা এবং যেসমস্ত বাসায় ভাড়া ছিলাম এসব অস্বীকার করবে কিভাবে?

এছাড়াও বিভিন্ন সময়ে ইভা ও তার পরিবারের লোকজন মিলে প্রায় ৬-৭ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। এছাড়াও তার জেদের কারণে প্রায় ২০ লক্ষ টাকার প্রজেক্ট বা কাজ হাত ছাড়া হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে আমাকে। সবশেষে আমাকে তার বড় দুই বোন ও বোন জামাতা আতিকুলের উপস্থিতিতেই হত্যার পরিকল্পনা করে ইভা আর সাদিক।  সেখান থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় আমি বাড়িতে আসি। আমি তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণা, অর্থ আত্নসাৎ, হত্যার পরিকল্পনার অভিযোগ এনে বিজ্ঞ আদালতে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।

এবিষয়ে জানতে সাদিকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে, সাদিক প্রতিবেদককে হুমকি প্রদান করাসহ যা করতে পারেন করেন বলেই ফোন রেখে দেন। পরবর্তীতে ভালুকা স্কয়ার মাস্টার বাড়ি মাহাদীন সোয়েটার সামনে গিয়ে আবার তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সাদিক নিজে না এসে বখাটে প্রকৃতির ২০-২৫ জন লোক পাঠান। কিন্তু সাংবাদিক পরিচয় জানার পর তারা একে একে বিভিন্ন অজুহাতে সেখান থেকে সটকে পড়েন।

উল্লেখ্য, সাইবার অপরাধ এবং প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহার নিয়ে মানুষকে সচেতন করার কাজে নিয়োজিত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সাইবার ক্রাইম অ্যাওয়ারনেস ফাউন্ডেশন দেশের সাইবার অপরাধ নিয়ে প্রকাশিত একটি গবেষণা মূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে। গবেষণা মূলক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, শতকরা প্রায় ৫২ ভাগ অভিযোগই আসে নারীদের থেকে৷ সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী মেয়েরা। শতাংশের হিসাবে যা প্রায় ৭৪ শতাংশ। অভিযোগের একটি বড় অংশের অভিযোগ ফেসবুক সংক্রান্ত৷ যার মধ্যে আইডি হ্যাক থেকে শুরু করে সুপার ইম্পোজ ছবি এবং পর্নোগ্রাফির মতো ভয়াবহ অভিযোগও রয়েছে৷

 হয়রানির শিকার হলেও ভুক্তভোগীদের ৩০ শতাংশই এর বিরুদ্ধে কীভাবে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয় সে বিষয়ে জানেন না। বাকীদের মধ্যে ২৫ শতাংশ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে অভিযোগ করেও কোনো লাভ হবে না ভেবে অভিযোগ করেন না বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এক্ষেত্রে প্রতিকারের উপায় নিয়ে স্বচ্ছ ধারণার অভাব এবং লোকলজ্জা ও ভয়-ভীতিকে প্রধান কারণ হিসেবে দায়ী করা হয়েছে। এতে একদিকে যেমন নারীরা প্রতারণার শিকার হচ্ছেন, তেমনি ব্ল্যাক-মেইল ও হুমকির কারণে তাদের ব্যক্তিগত জীবন দুর্বিষহ হয়ে পড়ছে৷ এতে জীবনের অসহ্য দুর্বিষহ যন্ত্রনা থেকে মুক্তির পথ হিসেবে কেউ কেউ আত্নহত্যা করলেও আবার কেউ কেউ হত্যার স্বীকার হচ্ছেন এসব চক্রের হাতে। যেমন রাসেল কেউ হত্যার পরিকল্পনা করা হয়। সে যাত্রায় হয়তো বেঁচে গেছেন।

তবে এখনি যদি এসব চক্রকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয়, তাহলে ধর্ষণের মত ঘটনার পাশাপাশি হত্যা ও আত্নহত্যা বেড়েই যাবে। সচেতন মহল মনে স্থানীয় প্রশাসন এসব ঘৃনিত চক্রকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করবেন। এসব চক্রকে আইনের আওতায় আনা হলেই গার্মেন্টস শ্রমিকরা নিরাপদে কাজ করতে পারবেন। এতে করে গার্মেন্টস সেক্টরে কর্মরত নারী শ্রমিকরা আত্মহত্যা, হত্যার মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবেনা।  নিরাপদে কাজ করতে পারবেন শ্রমিকরা। এতে বিবাহ বিচ্ছেদের হারও কমে আসবে বলে মনে করেন সচেতন মহল।

চলবে… পরবর্তী পর্বে থাকছে সাদিক ও তার সহযোগিদের কর্মকান্ড নিয়ে বিস্তারিত………..