এক জন দক্ষ মানুষ বনাম সুবিধাবাদী সমালোচক

ড. মোঃ হুমায়ুন কবির একাধারে উনি বিশিষ্ট কলামিস্ট, লেখক, প্রাবন্ধিক ও ঔপন্যাসিক। কৃষি প্রধান বাংলাদেশের সম্ভবনা সংকট নিয়ে গনমাধ্যমে বিগত দুই দশক ধরে সরব থাকার স্বীকৃতীস্বরুপ কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ কর্তৃক পদত্ত  ‘কৃষি পদক ২০১৮’ পুরুস্কার পেয়েছেন।

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ফার্মগেটে অবস্থিত কেআইবি মিলতায়নে তাঁর হাতে এই পদক তুলে দেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। দেশের কৃষি খাত নিয়ে তাঁর বিরামহীন লেখনী সরকারের নীতিনির্ধারণী পযার্য়ে কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

ড. মো. হুমায়ুন কবীর গত ১৬ জুলাই ২০১৭ তারিখে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট হতে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২২’ গ্রহণ করেছেন।

বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই মেধাবী শিক্ষার্থী বিভিন্ন সময়ে অসংখ্য মর্যাদাপূর্ণ পদক ও পুরস্কারে ভূষিত হন। সেইসাথে তাঁর এ পুরস্কারটি তিনি প্রয়াত একজন কৃষি বিজ্ঞানী ও কৃষি সাংবাদিক, হাওর ভূমিপুত্র কৃষি প্রকৌশলী ড. মো. নিয়াজ উদ্দিন পাশাকে উৎসর্গ করেছেন।

কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার এ কৃতি সন্তান কৃষি ও পরিবেশ বিষয়ক লেখালেখির জন্য ‘পাক্ষিক কৃষি প্রযুক্তি সম্মননা-২০১৫’ তে ভূষিত হয়েছিলেন। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই মেধাবী শিক্ষার্থী বিভিন্ন সময়ে অসংখ্য মর্যাদাপূর্ণ পদক ও পুরস্কারে ভূষিত হন। ড. হুমায়ুন কবীর ইতোমধ্যে চারটি বইসহ দেড় হাজার নিবন্ধ লিখেছেন যা বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে।

এই বার আসি ড. মো. হুমায়ুন কবীরের কর্মক্ষেত্রে, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) রেজিস্ট্রার হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

সকাল ৯ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত তিনি করেন অফিস। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের সকল কাজ দক্ষতার সাথে পরিচালনা করেন তিনি। বন্ধুসুলভ এই কর্মকতা থাকেন সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে। সর্বদা চেষ্টা করেন সকল সমালোচনার বাইরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে তার উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের সদস্য সচিব, দায়িত্ব অনেক। সকল প্রশাসনিক দায়িত্ব শেষে তিনি এক জন মানবিক কর্মকতা। নিজের অবস্থান থেকে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে নিরলস ভাবে কাজ করে যান সব সময়। এই কর্মকতার উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা একটি এনজিও পক্ষ থেকে দিচ্ছেন শিক্ষা বৃত্তি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন কে নিজের জায়গা থেকে যত টুকু সম্বব সহযোগিতা করেন, পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা-কর্মচারী , শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে সু-সম্পর্ক রয়েছে।

ড. মো. হুমায়ুন কবীর তার আদর্শের জায়গায় অটল আর তাতেই হয়েছে বিপত্তি। সবার্থের জন্য এক দল সুবিধাবাদী সমালোচক উঠেপড়ে লেগেছেন উনার বিপক্ষে। মিথ্যা, যুক্তিহীন সমালোচনা, আর নানা উপায়ে উনার ক্ষতি সাধনে চেষ্টা করে যাচ্ছেন। কিন্তু তাদের চোখের পাতায় একটা স্তর জমে আছে। সেই জন্য তারা দেখতে পারেন না ড. মো. হুমায়ুন কবীরের অর্জন, সাফল্য । মাননীয় রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেখানে এক জন হুমায়ূন কবির কে মূল্যায়ন করে। সেখানে আমরা উনাকে নিয়ে করি সমালোচনা। মিথ্যা অপবাদ দিয়ে এক জন সাদা মনের মানুষকে নিজের সবার্থে করি অসম্মান।এখনো সময় আছে, আসুন পরিবর্তন হই। নিজের সবার্থ না ভেবে বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়ে ভাবি। একটা প্রশাসন কে সুন্দর সাবলীল ভাবে চলতে দেই। অনেকের চোখের কাটা এখন হয়ত আমি হয়ে উঠব। অনেকে আমাকে তেলবাজের তকমাটুকুও দিবেন। কিন্তু সেই তকমাটুকু দেওয়ার আগে এক বার আপনার মন কে জিজ্ঞাসা করুন আমি যা লিখেছি, বিন্দুমাত্র ভুল কিংবা অসত্য লিখেছি কিনা।

আমি ব্যাক্তি হুমায়ুন কবীর, এক জন কর্মকতা হুমায়ুন কবীর, বিশিষ্ট কলামিস্ট, লেখক, প্রাবন্ধিক ও উপন্যাসিক হুমায়ুন কবীর, দেশ ও সমাজসেবক হুমায়ুন কবীরকে পছন্দ ও ভালোবাসি ।

লেখকঃ
মেহেদি জামান লিজন
শিক্ষার্থী , সাংবাদিক
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় 
ত্রিশাল , ময়মনসিংহ ।