ত্রিশালে ত্যাগী নেতাদের চাওয়া থেকেই উপজেলায় প্রার্থী হলেন আব্দুল মতিন সরকার

মোমিন তালুকদার::ময়মনসিংহ দক্ষিণ আওয়ামীলীগের সিংহ পুরুষ, ত্রিশাল উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি, ত্রিশাল নজরুল ডিগ্রী কলেজের সাবেক ভিপি, ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি , সাবেক এমপি, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান , ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা আব্দুল মতিন সরকার ত্রিশালের সকল স্তরের ত্যাগী নেতাদের চাওয়া থেকেই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন ।

এ নেতা স্বাধীনতার পূর্ব থেকেই ছাত্র রাজনীতিতে পাকিস্তান বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র নেতা হিসেবে রাজপথে পা রাখেন। পরবর্তীতে স্বাধীনতা যোদ্ধে অংশ গ্রহন করেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশে যখন আওয়ামীলীগের রাজনীতি সবচেয়ে খারাপ সময় যাচ্ছিল ঠিক এ সময় আব্দুল মতিন সরকার মামলা হামলাকে অপেক্ষা করে আওয়ামীলীগকে সু-সংগঠিত করে রাখতে গ্রাম থেকে গ্রামে ছুটে চলেছেন। জনতার ভালোবাসা পেয়ে উপজেলা পরিষদ সৃষ্টি হওয়ার পর দ্বিতীয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।

৯১ সালে বিএনপি সরকার গঠন করে উপজেলা পরিষদ বাতিল করলেও আওয়ামীলীগকে সু-সংগটিত করে রাখতে ত্রিশাল থানা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। এ নেতা ১৯৯১ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত বিএনপি সরকারের পতনের বিরুদ্ধে রাজপথ উত্তপ্ত করে রাখতেন। ঐসময় তাঁর নেতৃত্বকে কোণঠাসা করতে এক মিথ্যা হত্য মামলায় জড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল ।

ঐ মিথ্যা হত্যা মামলার দায়ে দীর্ঘদিন কারাবাস করেন তিনি। এরপরও রাজনীতি থেকে এক পাও পিছু হঠেননি তিনি। দলের প্রয়োজনে তাকে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে হয়েছিল। ২০০১ সালে জনগনের ভালোবাসায় ত্রিশালে জনপ্রিয়তা যখন শীর্ষে ঠিক এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ত্রিশাল আসনে এমপি হওয়ার জন্য নৌকার মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হন। পাশা-পাশি ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব নিজের কাঁদে তুলে নেন। ভয়াবহ বিএনপি জামাত সরকারের কঠিন শাসনের পুরো সময় দু’টি বিশাল দায়িত্ব মাথায় নিয়ে যেন বাঘের খাঁচায় বসবাস করছিলেন এ নেতা। কখনো বিএনপি পুলিশ অফিসার কোহিনুরের বন্দুকের নলের হুংকার, কখনো জামাত বিএনপি সরকারের নির্যাতনের আতংকিত কারাগার তালিকায় ছিলেন আব্দুর মতিন সরকার ।

হাল ছাড়েননি দলের এই সাবেক এমপি। জেলা আওয়ামীলীগেরর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনে ময়মনসিংহের জেলা আওয়ামীলীগকে সু-সংগঠিত রাখতে ও শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে ২০০৮ ও ২০১৪ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহের সবকটি উপজেলায় দলীয় প্রার্থীকে জয়ী করতে একনিষ্ঠ ভ’মিকা পালন করে বিশাল অবদান রেখেছেন । একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ত্রিশাল আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থীকে জয়ী করতে ত্রিশালের প্রতিটি অঞ্চলে দিন-রাত পরিশ্রম করে মানুষের কাছে ভোট চেয়ে বিশাল ব্যবধানে বিজয়ের সহযোগীতা করেছেন।

এ নেতা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে না চাইলেও ত্রিশালের ত্যাগী নেতা কর্মী ও জনসাধারনের অনুরোধে প্রথমে দল থেকে নৌকার মনোনয়ন চান। দল যখন মনোনয়ন অন্য কাউকে দিয়েছে তখন ত্রিশালের প্রবীণ ও ত্যাগী নেতাকর্মী এবং জনসাধারণ তাদের অভিভাবক ও যোগ্য নেতা হিসেবে আব্দুল মতিন সরকারকে স্বতন্ত্র থেকে চেয়ারম্যান বানানোর জন্য মাঠে নামিয়েছেন। অপর পক্ষে আওয়ামীলীগ থেকে নৌকা নিয়ে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন আব্দুল মতিন সরকারের হাতে লেখা নাম ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ইকবাল হোসেন। ত্রিশাল উপজেলায় বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় ছোট বড় সকলের প্রিয় প্রার্থী আব্দুল মতিন সরকার।