খায়রুল আলম রফিক : ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুবাইয়ে ভাল চাকরি নামে প্রতারণা করে লোক পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে রফিকুজ্জামান রফিক নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ।
অভিযোগ উঠেছে, রফিকুজ্জামান রফিক ও তার চক্রের বিদেশে লোক পাঠানোর কোনো লাইসেন্স বা বৈধ কাগজপত্র নেই । দীর্ঘ ১৯ বছর আগে ভাঙ্গা উপজেলার আবুল কাশেম(২৫) কে রফিকুজ্জামান রফিক ও তার সহযোগীরা দুবাই পাঠানোর কথা বলে ঢাকাস্থ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে নিয়ে যায় । এরপর থেকে আবুল কাশেম নিখোঁজ বলে জানান তার মা জহুরা খাতুন ।
ভাঙ্গা উপজেলার মৃত করিম বেপারীর স্ত্রী জহুরা খাতুন (৭৪) কান্নায় ভেঙে পড়ে সাংবাদিকদের অভিযোগ করেন, ভূক্তভাগী আবুল কাশেম আমার পুত্র । ২০০২ সালে দুবাই নেয়ার কথা বলে রফিকের একটি দালাল চক্র আড়াই লক্ষ টাকা নেয় । ১৫ দিনের মধ্যে দুবাই নিয়ে যাবে বলে জানায়। কথামত আবুল কাশেমকে সাথে করে নিয়ে যায় ঢাকাস্থ আন্তর্জাতিক বিনামবন্দরে । এরপর থেকে আমার পুত্র আবুল কাশেম নিখোঁজ । সে এখন দুবাই আছে নাকি তাকে মেরে ফেলা হয়েছে তা জানতে পারেনি ।
জহুরা খাতুন আরো অভিযোগ করে বলেন, আমার আদরেরর সন্তান আবুল কাশেমকে ভাঙ্গা উপজেলার দেওড়া গ্রামের হাশেম মুনশীর ছেলে রফিুজ্জামান রফিক বিদেশ পাঠানোর কথা বলে নিয়ে যায় । সে এখন জীবিত না মৃত তা আমরা জানতে পারি নাই । পুত্র শোকে পাথর হয়ে ইতিমধ্যে আমার স্বামী মারা গেছেন । সংসার চলার মত সামান্য জমিজমা ছিল । সেই জমিও বিক্রি করে করে দিয়েছি । জমি বিক্রি করে ছেলেকে খুঁজতে খরচ হয়ে গেছে । ভাঙ্গা থানায় গিয়ে কয়েকবার বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করেছি । তারা ব্যবস্থা নেয়নি ।
প্রতারক রফিকের সাথে রয়েছে পুলিশের সখ্যাতা । কয়েকদিন আগে আবুল কাশেমকে উদ্ধার করতে এবং রফিককে গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধনও করেছে এলাকাবাসী । রফিককে গ্রেপ্তার করলেই আবুল কাশেমকে উদ্ধার এবং তার বিষয়ে জানা সম্ভব বলে জানান আন্দোলনকারী এলাকাবাসী। এবিষয়ে রফিকুজ্জামান রফিক কে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বার বার ফোন দিলেও পাওয়া যায়নি।