হাজার হতাশা আর অভিযোগ কে পেছনে ফেলে আনন্দে বর্ষবরণ

হাজার হতাশা আর অভিযোগ কে পেছনে ফেলে আনন্দে বর্ষবরণ করে নিল বিশ্ব। মধ্য রাতে ঘড়ির কাঁটা ১২টা বাজার অপেক্ষায় ছিল বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। নতুন বছরকে আতশবাজির আলোয় রাঙিয়ে তুলেছে বহু দেশ। বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে নতুন ইংরেজি বর্ষ ২০১৯-কে স্বাগত জানিয়েছে প্রশান্ত মহাসগারীয় দ্বীপপুঞ্জ সামোয়া। ঘড়ির কাঁটা ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় আতশবাজির ছড়াছড়ি। এরপর নতুন বছরকে বরণ করে নিয়েছে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড। খবর দ্য গার্ডিয়ান ও এএফপির। আন্তর্জাতিক মান সময়ের তারতম্যের কারণে নতুন বছরকে আগে বরণ করার সুযোগ পাওয়া দেশগুলোর একটি নিউজিল্যান্ড।

নতুন বছরের উৎসবে মেতে ওঠার ক্ষেত্রে বড় শহরগুলোর মধ্যে অকল্যান্ডের সুযোগ আসে সবার আগে। ৫০০ কেজির আতশবাজি পুড়িয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাল অকল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের এক ঘণ্টা আগে সামোয়াতে নতুন বছরের আগমন হয়। সামোয়া সরকার ফেসবুকে একটি বার্তায় দেশটির ও বিশ্ব নাগরিকদের নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়েছে। একই সঙ্গে আতশবাজির একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে।

অকল্যান্ডের কেন্দ্রস্থলের এক হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতার স্কাই টাওয়ারে ঝুলন্ত একটি বিশাল ঘড়িতে রাত ১২টা বাজার অপেক্ষায় সেখানে জড়ো হন মানুষ। শুরু হয় কাউন্টডাউন। আর ১২টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে আকাশে দেখা যায় আতশবাজির বর্ণিল ছটা। নিউজিল্যান্ডের পর অস্ট্রেলিয়ায় স্বাগত জানানো হয় নতুন বছরকে। সিডনি হারবারে আতশবাজি দেখার জন্য জড়ো হয় হাজার হাজার মানুষ। আতশবাজির ঝিলিক আলোয় ফুটে ওঠে অপেরা হাউসের বর্ণিল চিত্র। আর তার পাশে বয়ে চলা সিডিনি হার্বারের গোলাপি পানি দেখে মুগ্ধ হয় সবাই। ফ্রান্সের নাগরিকরা ঐতিহ্য হিসেবে নারী-পুরুষ উলঙ্গ হয়ে সাগরে গোসল করেন।