ময়মনসিংহে সিএনজি চালক হত্যায় ত্রিশালের জিয়াউল হাসান(সবুজ) সহ তিনজনের মৃত্যুদণ্ড

ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক::ময়মনসিংহের ভালুকায় শফিকুল ইসলাম (৩৫) নামে এক সিএনজি চালককে হত্যার দায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার দুপুরে ময়মনসিংহের ১ম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ত্রিশাল (পৌরসভার ২নং ওয়ার্ড) উজানপাড়া গ্রামের আব্দুল হালিম মাষ্টারের ছেলে জিয়াউল হাসান সবুজ (২৫), ভালুকা উপজেলার ছোটকাশর গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে ইসমাইল হোসেন (২৪) ও গাজীপুরের শ্রীপুর থানার গলদা গ্রামের সিরাজ উদ্দিনের ছেলে সুরুজ মিয়া (২৫)। এদের মধ্যে জিয়াউল হাসান সবুজ ও ইসমাইল হোসেন কারাগারে এবং সুরুজ পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১১ সালের ১২ মার্চ বিকেলে যাত্রীবেশে ভালুকা উপজেলার কাঁচিনা বাজারের আবুল হোসেনের ছেলে শফিকুল ইসলামের সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া নেন তিন যাত্রী। এরপর উপজেলার জামিদিয়া মাস্টারবাড়ি এলাকার বিলাইজুড়া খালে নিয়ে রাতে তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে কুপিয়ে ও শ্বাসরোধ করে মৃত্যু নিশ্চিত করে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায় ওই তিন যাত্রী। পরদিন স্থানীয়রা শফিকুল ইসলামের মরদেহ খালের পানিতে ভাসতে দেখে পরিবারের লোকজন ও পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। এ ঘটনার পরদিন ১৩ মার্চ শফিকুলের বাবা আবুল হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

এরপর পুলিশ অন্য একটি মামলায় ইসমাইল হোসেনকে গ্রেফতার করলে সিএনজি চালক শফিকুল হত্যার রহস্য বেরিয়ে আসে এবং আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন ইসমাইল। এরপর পুলিশ জিয়াউল হাসান সবুজকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করলে তিনিও হত্যার ঘটনা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। এরপর পুলিশ গ্রেফতারকৃত দুইজন ও পলাতক একজনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করে। আদালত দীর্ঘ সাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ শেষে আজ এই রায় দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে এবিএম নুরুজ্জামান খোকন এবং আসামিপক্ষে বিশ্বনাথ পাল মামলাটি পরিচালনা করেন।