ময়মনসিংহে কর্মগুণে প্রশংসিত যারা

ষ্টাফ রিপোর্টার-ময়মনসিংহঃ ২০২১-২২অর্থবছরে সকল প্রকল্পে স্বচ্ছতার সাফল্য পরিলক্ষিত। সরকারি সেবা জনগণের দোড়গড়ায় পৌছে দিতে নিজ দ্বায়িত্বে অনড় ময়মনসিংহ সদর আসন এলাকার জাতীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক ফারুক রেজা । সেই সাথে দূর্ণীতি ও অনিয়মমুক্ত উন্নত উপজেলা গড়তে বিশেষ ভুমিকা রাখার দাবিদারও তারা। তাদের যৌথ শ্রম আর মেধায় সদর উপজেলায় অনিয়মের বেড়াজাল ভাঙতে শুদ্ধি অভিযান দীর্ঘদিনের পুঞ্জিভূত অনিয়ম ও দুর্নীতি দূর করার মিশনে ফলপ্রসু সাফল্য এসেছে। উপজেলা প্রশাসন শতভাগ জনবান্ধব ও বিপদগ্রস্থ মানুষের আশার আশ্রয়স্থল হিসাবে রুপপেয়েছে। নিরলস দ্বায়িত্ব পালনে শক্তহাতে টেনে ধরেন দুর্ণীতিবাজ, ভূমি দস্যু, বালু খেকো ও অবৈধ দখলদারদের লাগাম। তাঁদের সৎভাব ও কর্মদক্ষতায় পাল্টে যাচ্ছে উপজেলা পরিষদের প্রশাসনিক কার্যক্রমের সার্বিক চিত্র । প্রতিটি দপ্তরের কর্মকান্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও সচ্ছতা। সেই সাথে কমেছে জনভোগান্তি,বেড়েছে জনসেবার মান।

প্রতিটি দুর্যোগ মোকাবেলা দারিদ্রপীড়িত মানুষকে সরকারী অনুদান সঠিক বন্টনে সহযোগীতা করে উপজেলার সকল শ্রেণীপেশার মানুষের প্রশংসা গুণজনের মূলে রয়েছেন সদরের এমপি, চেয়ারম্যান, ইউএনও এবং পি আই ও। গণমাধ্যম, ফেইসবুক, মুঠোফোন ও ই-মেইলের যে কোন অভিযোগ, সমস্যার সংবাদ পাওয়া মাত্রই দ্রুত সমাধানে ও তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়ার নজির রয়েছে বিগত দিনের। প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মনিরুল হক রেজার বিচক্ষণতার প্রমাণ মিলেছে উপজেলার প্রতিটি উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে তার দুর্গমী প্রচেষ্টায় উপজেলা পরিষদের নিয়ন্ত্রনাধীন প্রতিটি দপ্তরের কাজে গতিশীলতা ও সচ্ছতা আদায়ে তিনি দক্ষ কর্মকর্তা হিসেবে উপজেলাবাসীর হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তার কর্মস্পৃহায় উপজেলার সরকারি-বেসরকারি দফতরের কর্মকান্ডে ফিরে এসেছে গতিশীলতা ও জবাবদিহীতা। প্রশাসনিক কাঠামো হয়েছে অত্যন্ত শক্তিশালী। সরকারের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ নিয়ে কাজ করছেন তিনি।

গত ২০২১-২২ অর্থ বছরের ময়মনসিংহ সদরের কাবিখা, কাবিটা,টি আর,অতি দরিদ্রদের জন্য কমসংস্থান কমসুচি,ভি জি এফ,ছোট সেতু কালভাট,শীত বস্ত্র ,ঢেউটিন ,জি আর ক্যাশ ,জি আর এবং ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ প্রকল্পের কাজ যথারীতি ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।উল্লেখ্য যে ময়মনসিংহ সদর আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার নিয়মিত তদারকিতে সম্পুর্ণ অনিয়ম দুর্ণিতিমুক্ত পরিবেশে স্বচ্ছতার সহিত এসব প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে বলে দাবী করছে এলাকাবাসী। প্রকল্পকাজে সিডিউল অনুযায়ী শতভাগ কাজ বাস্তবায়ন করতে প্রকল্প গুলো সরেজমিনে ঘুরে দেখেছেন সদরের এমপি, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, নির্বাহী কর্মকর্তা এবং পিআইও মনিরুল হক ফারুক রেজা । সাক্ষাৎকারে পিআইও বলেন- সকল প্রকল্প চেয়ারম্যান উর্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ মোতাবেক কাজের গুনগত মান যাচাই বাছাই করে কাজের গুণগতমান সঠিক হয়েছে কি না তা নিশ্চিত হয়ে তাদের প্রাপ্য বিল প্রদান করা হয়।

তাছাড়া ২০২২-২৩ অর্থ বছরে গরীব অসহায় মানুষের জন্য বরাদ্ধকৃত প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য ঘর নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। যেগুলো নির্মাণ কাজের স্বচ্ছতা যাচাই বাছাইয়ে নিয়মিত পরিদর্শন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবছর আরো ৩৫০ টি ভূমিহীন গৃহহীন পরিবারের হাতে তোলে দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রীর উপহার তাদের স্বপ্নের ঠিকানার ঘর।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) শফিকুল ইসলাম বলেন, সংসদ সদস্য বেগম রওশন এরশাদ এমপি ও জেলা প্রশাসক স্যারের দিকনির্দেশনা মোতাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন ও সদর উপজেলা কে একটি আধুনিক উন্নত উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ করছি। কারণ সরকারী কর্মকর্তারা জনগনের সেবক। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মুলধারার গণমাধ্যমকর্মী এবং সমাজের বিশিষ্টজনরা আমার কাজে সহযোগিতা করছেন। কে কি বলল আর কে কি লিখল সেটা নিয়ে কখনো ভাবিনা। দেশ ও জাতি আমাকে যে দ্বায়িত্ব পালনে ন্যাস্ত করেছে তা শতভাগ পালনকরার জন্য কি করতে পারলাম সেটাই বড় বিষয়। আমি হয়তো একদিন এই উপজেলায় থাকব না, চাকরির সুবাদে অন্যত্র চলেযেতে হবে কিন্তু আমার কর্ম আমার আদর্শ আমার নৈতিকতাবোধ থেকে যাবে আজীবন। এই মূল্যবোধ চিন্তা চেতনায় লালন করে নিজেকে নিয়জিত করছি আমার কর্মে।