নিয়ন্ত্রনহীন ময়মনসিংহের পেঁয়াজের বাজার

ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক:: ময়মনসিংহ অঞ্চলের পেঁয়াজের বাজার এখনও অস্থির। কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রন রাখা যাচ্ছেনা। ময়মনসিংহের পাইকারী মেছুয়া বাজারে বিভিন্ন দেশিয় পেঁয়াজের দাম আবারও বেড়েছে। ফলে এর প্রভাব পড়েছে স্থানীয় খুঁচরা বাজারে। বর্তমান খুচরা বাজারে এক কেজি পেঁয়াজের মূল্য দাড়িয়েছে ২ শ’র উপরে। পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। এছাড়া অন্যান্য দেশের পেঁয়াজের দামও বেড়েছে কিছুটা।

ময়মনসিংহের বিভিন্ন উপজেলার বাজারগুলোতে সরেজমিনে দেখা যায়, পাইকারি বাজার গুলিতে দেশি পেঁয়াজের আমদানি কম। তাই পুরনো ও ভালো মানের দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে গিয়েছে। অপর দিকে সরকারি ভাবে পেঁয়াজ বিতরন করা হচ্ছে ৪৫ টাকা কেজি। সরকারি ভাবে পেঁয়াজ বিক্রয়ের ব্যবস্থা নাজুক থাকায় ও পন্যবাহী গাড়ি কম বের হওয়ার কারনে কিছুতেই পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রনে আসছেনা।

ময়মনসিংহ শহরে পাইকারি বাজারে বিপুল পরিমান পেঁয়াজ দেখা গেলেও চড়া দাম ছাড়া আরতদারগন বিক্রী করছেন না। অনেক ব্যবসায়ী জানান, সুযোগ সব সময় আসেনা। বাজারের ব্যবসায়ীদের সাথে জেলা প্রশাসনের মিটিং হয়েছে। তবু পেয়াজের দামের কোন হেরফের হয়নি।

ময়মনসিংহ জেলা শহরের নতুন বাজার,ছোট বাজার,কাঠগোলা বাজার,কেওয়াট খালী বাজার, চর পাড়া বাজার, খাগডহর বাজার, শম্ভুগঞ্জ বাজার সব খানেই পেঁয়াজের দাম প্রতি কেজি ২ শত টাকার উপরে। এ ছাড়াও জেলার মুক্তাগাছা, ফুলবাড়িয়া, ত্রিশাল, ভালুকা, গফরগাও, নান্দাইল, ঈশ্বরগঞ্জ, গৌরীপুর, তারাকান্দা, ফুলপুর, হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলার হাটবাজার গুলোতে পেঁয়াজের মূল্য প্রতি কেজি ২শত টাকা বা তার বেশী মুল্যেও কোথাও কোথাও বিক্রী হচ্ছে।

পেঁয়াজ কিনতে আসা এক ক্রেতা জানান, পাকিস্তান থেকে ৮১ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হলেও আমরা সাধারণ ভোক্তারা সেটার কোন সুফল পাচ্ছিনা। এখনও আমাদের সেই ২০০ থেকে ২২০ টাকা দরেই পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে। তিনি পেঁয়াজের বাজারে প্রশাসনের নজরদারী বৃদ্ধি করার জন্য জোর দাবী জানান।