ভালুকার বিরুনীয়াকে দৃশ্যমান উন্নয়নে এগিয়ে নিতে চান স্বতন্ত্র প্রার্থী  সুব্রত ভৌমিক

আরিফ রববানী ময়মনসিংহ: ভালুকা উপজেলার বিরুনীয়া  ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হয়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও অবহলিত গ্রামীন অবকাঠামোর উন্নয়ন করতে চান তরুন সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী সুব্রত ভোমিক বাবু।

এজন্য তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে সাধারন মানুষের কাছে ভোট, দোয়া সহযোগিতা  প্রত্যাশা করে ভোটারদের দ্বারেদ্বারে ঘুরছেন। সুব্রত ভৌমিক বাবু  বিরুনীয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিরুনীয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী ও আওয়ামী লীগের  কর্মী, পাশাপাশি তিনি ব্যক্তিগত ভাবেও বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কাজে অংশগ্রহন করে আসছেন।

তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ব হয়ে তরুন প্রজন্মকে সু-সংগঠিত করে বিরুনীয়া ইউপি’তে চেয়ারম্যান পদে তার বিজয় সুনিশ্চত করতে বিরুনীয়া ইউপি নির্বাচনী এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দ্বারে দ্বারে গিয়ে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন বার্তা পৌছে দেওয়ার জন্য এলাকায় সার্বক্ষনিক কাজ করছেন।

কৃষক পরিবারের সন্তান  এলাকায় শুধু দলের ভিতরে নয় সাধারন মানুষের মন জয় করেছেন এই তরুন সমাজ সেবক। তার বিশ্বাস বিরুনীয়া  ইউপি’র উন্নয়নের স্বার্থে ভোটাররা অবশ্যই তাকে বিজয়ী করতে সাথে থাকবেন।

তরুন এই ব্যবসায়ী নানামুখী প্রচারে নির্বাচনী শোডাউন, উঠোন বৈঠক, গণসংযোগ, ব্যানার, পোষ্টার, শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের লিফলেট ও নানা রংয়ের বিলর্বোড এর মাধ্যমে নিজের শক্ত অবস্থানের জানান দিয়েছেন। করোনাকালীন ও বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুযোগের সময় তিনি নিজস্ব অর্থায়নে দুঃস্থ ও অসহায়  মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করেছেন।

শিক্ষিত ও ক্লীন ইমেজের করণে ইতিমধ্যেই তিনি এলাকায় ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেছেন। বিশেষ করে তাঁর বিনয়ী আচরণ দ্বারা স্থানীয় বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর ব্যক্তিবর্গসহ সর্ব সাধারনকে তিনি কাছে টানতে সক্ষম হয়েছেন। তাই এলাকার মানুষ তার উপরে দৃঢ় আস্থা ও বিশ্বাস রাখতে শুরু করছেন এবং এ ইউপ’তে চেয়ারম্যান পদে  তার বিজয় সুনিশ্চি করার মাধ্যমে  তাকেই  ইউনিয়নের উন্নয়নের কান্ডারী হিসেবে নির্বাচিত করবেন বলে তিনি আশাবাদী।

শনিবার (৮ই জানুয়ারি) দিনভর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গণসংযোগ শেষে সাংবাদিকদের সাথে এক সৌজন্য সাক্ষাত কালে বলেন, আমি এলাকার উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে প্রার্থী হয়েছি।যদিও আমি আওয়ামী লীগ সমর্থন করি তবে দল থেকে মনোনয়ন চাইনি,যেহেতু আমি নির্বাচন করবো তাই দলীয়  মনোনয়ন চেয়ে না পেয়ে নির্বাচনে আসলে  জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত অমান্য করা হবে। তাই আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছি। জনগণের মনোনীত প্রার্থী হিসাবে তারা যদি আমাকে নির্বাচিত করেন তাহলে আমি স্বচ্ছ ও দুর্ণীতি মুক্ত জনপ্রশাসন কে জনগণের দোরগোড়ায় জনকল্যাণে পৌছে দেওয়ার পাশাপাশি  ইউনিয়নের ব্যাপক উন্নয়ন ও এলাকাবাসির ভাগ্য উন্নয়নের জন্য কাজ করবো, মাদক-বাল্যবিবাহ নির্মুল করবো। সেই সাথে ইউনিয়ন থেকে দুর্নীতির কালিমা মোচন করে জনগনের সমস্যা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করব।

আমার এলাকার জনসাধারন আমাকে ব্যাপক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন, নির্বাচন পরিবেশ সুষ্ঠু হলে আশা করি জনগণের ভোটে আমি নির্বাচিত হবো। আমি যদি  জয়লাভ করি তাহলে আমার এলাকার প্রতিটি ক্ষেত্রে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে গড়ে তুলবো। তরুন এই প্রার্থী ইতিমধ্যে তার নির্বাচনী এলাকার সাধারণ মানুষের সুখে-দু:খে পাশে থেকে এক অন্যরকম সাড়া জাগিয়েছেন।