বাংলা তাকিয়ে আছে মন্ত্রিসভায়

সবকিছু ঠিক থাকলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী সংসদ সদস্যদের শপথ আগামীকাল বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হবে। সংসদ সচিবালয় সূত্র এবং তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে বিএনপির এখন পর্যন্ত সিদ্ধান্ত তাদের এমপি পদে বিজয়ীরা শপথ নেবেন না। এছাড়া আগামী ৫ জানুয়ারি নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠানের সম্ভাব্য সময় ধরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে শপথের দিনক্ষণ দু-একদিন হেরফের হতে পারে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, আগামী ১০ জানুয়ারির আগেই নতুন মন্ত্রিসভার শপথ অনুষ্ঠিত হবে।

একাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (জাপা), ১৪ দলীয় জোট, যুক্তফ্রন্ট মহাজোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেয়। পক্ষান্তরে প্রধান প্রতিপক্ষ বিএনপি ঐক্যফ্রন্ট নামে নির্বাচনে অংশ নেয়। মহাজোট ২৮৮ আসনে এবং ঐক্যফ্রন্ট ৭ আসনে জয়লাভ করে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ এককভাবে ২৫৯, জাপা ২২, আওয়ামী লীগ ছাড়া জাতীয় পার্টি-জেপিসহ ১৪ দলের অন্য শরীকরা ৯টি আসনে বিজয়ী হয়। জাপা নিজস্ব প্রতীক লাঙ্গল এবং জেপি নিজস্ব প্রতীক বাই সাইকেল নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেয়। অন্যরা নৌকা প্রতীক নিয়েই ভোট করে।

এদিকে নতুন মন্ত্রিসভার আকার কেমন হবে সেই প্রশ্নে যে আভাস মিলছে তাতে গতবারের তুলনায় নতুন মন্ত্রিসভার আকার কিছুটা বাড়ানো হতে পারে। ২২টি আসনে নির্বাচিত জাপার কাউকে মন্ত্রিসভায় নেয়া হবে কি হবে না সে বিষয়টি এখনও নিশ্চিত নয় জানিয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মন্ত্রিসভায় মহাজোটের অন্য শরিকদের প্রতিনিধি থাকছে। নির্বাচনে অংশ না নেয়া ১৪ দলীয় জোটের শরীক কোনো কোনো দলের প্রতিনিধিকেও মন্ত্রিসভায় স্থান দেয়া হতে পারে। মন্ত্রিসভায় গতবারের তুলনায় নারীর সংখ্যাও বাড়ানো হতে পারে এমন আলোচনাও রয়েছে। তবে সুশাসন প্রতিষ্ঠার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার মতো মেধাবী ও দক্ষদের বিষয়টি এবার মন্ত্রিসভায় গুরুত্ব পেতে পারে। স্বচ্ছভাবমূর্তির ব্যক্তিদের মন্ত্রিসভায় গুরুত্ব দেওয়া হতে পারে।

নিয়মানুযায়ী নির্বাচিত সদস্যদের নাম নির্বাচন কমিশন কর্তৃক গেজেট আকারে প্রকাশের পরবর্তী তিনদিনের মধ্যে তাদের শপথ অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. হেলালুদ্দীন আহমেদ গতরাতে জানান, আজ বুধবার গেজেট প্রকাশের সম্ভাবনা আছে। এ লক্ষ্যে তারা কাজ করছেন।

গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। তফসিল ঘোষণার পর একজন প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় এবং নির্বাচনের দিন আরেকটি আসনে নির্বাচন স্থগিত করায় সরকারিভাবে ২৯৮ জন সংসদ সদস্যকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। এই ২৯৮ জনের নামের তালিকা এখন গেজেট আকারে প্রকাশ হবে।