বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় নতুন আইন বদলে দিতে পারে সমাজ

ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্কঃ যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনার স্তুপ ড্রেন ও খোলা জায়গায় বর্জ্য ফেলাতে পরিবেশ যেমন হুমকির মুখে তেমনি জলবায়ু পরিবর্তনে বিশেষ ভূমিকা রাখছে। এই অনিয়ম ও অসচেতনতার ফলে মানুষ যেমন নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে তেমনি দেশ ও সমাজের সৌন্দর্য্য নষ্ট করছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশ গুলাতে এ বিষয়ের উপর বিশেষ আইন রয়েছে।যার ফলে মানুষ শৃঙ্খলার ভিতর বসবাস করে থাকে।আর তারই ফলশ্রুতিতে সেখানকার মানুষ উন্নত জীবন যাপন করে থাকে।

জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ রক্ষায়  ড্রেন ও খোলা স্থানে বর্জ্য ফেলা বন্ধে ‘কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২১’করেছে সরকার। এতে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান যত্রতত্র বর্জ্য ফেললে ২ বছরের কারাদণ্ড বা দুই লাখ টাকা জরিমানাসহ উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। ড্রেন ও খেলা স্থানে বর্জ্য ফেলা বন্ধে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে বিধিমালার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।

এ বিষয়ে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ অনুবিভাগ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কেয়া খান বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজটি মূলত স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি করপোরেশনের। তবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় বিধিমালা করা হয়েছে। এই বিধিমালা বাস্তবায়ন করা গেলে বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নতি হবে। বিশ্বের সব দেশেই প্লাস্টিকসহ অপচনশীল বর্জ্য রয়েছে। আমাদের সমস্যা হলো আমরা সেটা ম্যানেজ করতে পারি না। সেই বিষয় সামনে রেখেই বিধিমালা করেছি। বিধিমালার গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে- এক্সটেন্ডেড প্রডিউসার রেসপন্সিবিলিটি (ইআরপি)। যাদের পণ্য থেকে বর্জ্যের সৃষ্টি হচ্ছে তাদের দায়-দায়িত্বে মধ্যে আনা হয়েছে। বর্জ্য রিসাইক্লিং ও ডিসপোজালের ক্ষেত্রে তাদের দায়-দায়িত্ব ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। ইপিআরের মাধ্যমে এটা করা হবে। বিধিমালায় বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ড্রেন ও রাস্তায় বর্জ্য ফেললে দুই বছরের কারাদণ্ডের বিষয়ে কেয়া খান বলেন, মানুষকে শৃঙ্খলায় আনতে এটি করা হয়েছে, সচেতন করার প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছে।