ফুলবাড়িয়া এনায়েতপুরের সম্রাট যুবলীগ নেতা সুমন!

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ৯নং এনায়েতপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক সারোয়ার জাহান সুমন। ইতিমধ্যেই এনায়েতপুরের মাদক সেবীদের কাছে মাদক সম্রাট হিসেবে পরিচিত যুবলীগের এই নেতা। সম্রাটের মতই তার বিচরণ।
যুবলীগের আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর পরই দখল করেন সিপি এবং সিপির বিষ্ঠা বহনকারী গাড়ী থেকে চাঁদা উত্তোলন। এছাড়াও ভূমি দখল ও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন যুবলীগ আহবায়ক সুমন।রাতারাতি চাঁদাবাজি, ভূমি দখল,মাদক ব্যবসা করে কোটিপতি বনে যান।মটরসাইকেলে চলাফেরা করা সুমন এখন ১৪ লক্ষ টাকা দামের গাড়িতে চলাফেরা করেন।
যুবলীগের আহবায়ক হওয়ার পূর্বেই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়েন সুমন।সে সময় তার সহযোগী পার্টনার ছিলেন মান্নান।মান্নানকে দিয়ে তার মাদক সাম্রাজ্য পরিচালনা করতেন সুমন।মান্নান একাধিকবার মাদক সহ আটক হলেও ধরাছোয়ার বাইরে থাকে সারোয়ার জাহান সুমন। এরপর যুবলীগের আহবায়ক কমিটি আনার জন্য উর্ধতন নেতৃবৃন্দদেরকে ৮ লক্ষ টাকা উপটোকন দিয়ে কমিটি আনেন বলে জানান সুমনের ঘনিষ্ঠজনরা। এমনকি ঐসময় মুলদল আ’লীগের ইউনিয়ন সভাপতি সহ স্হানীয় নেতৃবৃন্দ তার বিরোধিতা করলেও টাকার বিনিময়ে ঠিকই ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক পদ নিয়ে আসেন সারোয়ার জাহান সুমন।
কিছুদিন পর মান্নান বিদেশ চলে যায় এবং পুরো ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ করতে থাকেন সুমন নিজে।এখন অত্রাঞ্চলের সকল মাদক ব্যবসায়ীদের একত্রিত করে একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন, যে সিন্ডিকেটের নাম মাদক।আর এই সিন্ডিকেটের প্রধান সুমন।সিন্ডিকেটের সদস্যদের কাজ হলো সুমনের কাছ থেকে ইয়াবা ট্যাবলেট নিয়ে মাদক সেবীদের কাছে বিক্রি করা, আর বিক্রি শেষে তারা, বিক্রিত ইয়াবা ট্যাবলেটের টাকা সুমনকে বুঝিয়ে দেন এবং পরের দিন বিক্রির জন্য আবার হিসেব করে ইয়াবা নিয়ে যান। আর বেশিরভাগ সময় তিনি রাত ৩:৩০- ৪:০০ টার মধ্যে তার প্রাইভেটকার নিয়ে বেরিয়ে যান ইয়াবা সাপ্লাই এবং আগের টাকা উত্তলোন করেন বলে জানাযায়।বিশ্বস্ত সূত্রের পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সুমন তার প্রাভেটকার নিয়ে রঙ্গেরদারা হয়ে প্রবেশ করেন এর পর মোলভী বাড়ি মোড় হয়ে কাহালগাঁও পশ্চিম বাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের মোড় দিয়ে আবার কাহালগাঁও বাজারে প্রবেশ করেন এবং তার তৈরি নাইট ক্লাবে এসে শেষ করেন।কাহালগাঁও বাজার কমিটির একাধিক সদস্য এর সত্যতা স্বীকার করেন এবং তার নাইট ক্লাব বন্ধে প্রশাসনের প্রতি দৃষ্টি কামনা করেন।কেননা সুমনের এই নাইট ক্লাবে যারা ইয়াবা ট্যাবলেটের ব্যবসা করে তারা ছাড়া আর অন্য কাউকে আসতে দেখা যায়না বলে জানান স্হানীয়রা। তাই নাইট ক্লাব বন্ধ নাহলে এলাকার যুব সমাজ নেশা গ্রস্হসহ বিভিন্ন অপরাধ মূলক কাজে জড়িয়ে পড়ার আশংকা করেন তারা।কারণ যুবলীগের এই অফিস শুধু মাত্রই নামে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি টানিয়ে নির্ভিগ্নে ইয়াবার ব্যবসা করে যাচ্ছেন সুমন।তার মানে এই অফিসটি খুলা হয় রাত ১২টার পর এবং বন্ধ হয় রাত ৪ টায়। অফিসটি সাড়া দিন বন্ধ থাকে। এতরাতে এই অফিসের ভিতর কি কাজ হয় তা এলাকাবাসী এমনকি বাজারের সিকিউরিটি গার্ডরাও জানেনা। অফিসের ভিতরে চিন্হিত মাদক ব্যবসায়ীদেরকেই আসতে এবং যেতে দেখা যায় বলে জানান সিকিউরিটি গার্ডগন।
বাজার কমিটির সদস্য, এলাকাবাসী এবং একজন মাদক সেবীর সাথে কথা বলে জানাযায় – স্হানীয় সাংসদ আলহাজ্ব এডভেকেট মোসলেম উদ্দিন এমপি এবং তার পুত্র আলহাজ্ব এডভোকেট এমদাদুল হক সেলিম এর নাম ব্যবহার করেই জমি দখল,চাঁদাবাজি ও মাদকের ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন সুমন।এনায়েতপুর / কাহালগাঁও বাজারের আশপাশের এলাকা মাদক মুক্ত করতে প্রশাসনিক সাহায্য কামনা করেন সচেতন সমাজ এবং এলাকাবাসী। পাশাপাশি স্হানীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এডভোকেট মোসলেম উদ্দিন এমপি মহোদয়েরও দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।