নিস্তব্ধ ভৌতিক দ্বীপ হাশিমা বা গুনকাজিমা

প্রকৃতি ও পরিবেশঃঃ পরিত্যক্ত ভবন, চারদিকে ধ্বংসাবশেষ আর নিস্তব্ধ ভৌতিক পরিবেশ এমন অনেক স্থানের দৃশ্য আমরা দেখে থাকি হলিউড এর বিভিন্ন মুভিতে। আমরা ধরেই নেই যে এগুলো তৈরীকরা বা গ্রাফিক্সের কারসাজি।কিন্তু এমন অনেক ভৌতিক পরিবেশ এখনো সত্যই বিদ্যমান পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে।তার মধ্যে জাপানী উপকূল থেকে নয় মাইল দূরে পূর্ব চীন সাগরে অবস্থান হাশিমা দ্বীপ বা গুনকাজিমা (অর্থ যুদ্ধজাহাজ) দ্বীপ নামে পরিচিত একটি স্থান। দ্বীপটি  সত্যিই উপরে বর্নিত পরিবেশের মত ।

dxthm1000

একটা সময় এ দ্বীপের নিচে কয়লার মজুদ বা কয়লাখনি ছিল। সে সময় কয়লা উঠানোর দায়িত্ব পেয়েছিল বিশ্ববিখ্যাত মিৎসুবিশি কোম্পানি এবং এরা নাগাসাকি থেকে মাইনার বা শ্রমিক নিয়ে যেত সেখানে। কিছুদিন অতিবাহিত হওয়ার পর কোম্পানি দেখে দ্বীপে পরিবারসহ শ্রমিকদের  বাসস্থান তৈরি করা হলে তা বেশি লাভজনক। তাই কোম্পানিটা সেখানে  বহুতল ভবন সহ একটি ছোট শহরে পরিবর্তন করে ফেলে । ঐ ছোট দ্বীপের  স্কুল, মন্দির, রেস্তোরাঁ, বাজার, এমনকি কবরস্থানও গড়ে তোলা হয়। সময়ের সাথে দ্বীপের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৫,০০০ উপনিত হলে তখন এটি পৃথিবীর সবচেয়ে ঘনবসতিপূর্ণ স্থানে পরিণত হয়। তার মধ্যে কয়লার মজুদ শেষ হয়ে আসে।

 

offbeatjapan.org/gunkanjima.

১৯৭৪ সালে কয়লার মজুদ শেষ হয় এবং মিৎসুবিশি কোম্পানি শ্রমিকদের নতুন কাজের জন্য প্রস্তাব করে এবং বলা হয় যে আগে আসবে সে আগে পাবে। নতুন কাজের স্থানটি ছিল মূল ভূখন্ডে। প্রস্তাব দেয়ার সাথে সাথে শ্রমিকরা তাড়াহুড়ো করে দ্বীপ ত্যাগ করে মূল ভূখন্ডে চলে আসে । আসার সময় তারা এতটাই দ্রুত আসে তাতে টেবিলে আধা খাওয়া কফির কাপ এবং সাইকেল স্ট্যান্ডে সাইকেল রেখেই তারা দ্বীপ ত্যাগ করে। জেমস বন্ডের স্কাইফল ছবিটি দেখলে শুধু দ্বীপটির বহিরাংশের ছবি দেখা যাবে।  ভেতরের দৃশ্যগুলো  ধারণ করা সম্ভব হয়নি তাদের।