ত্রিশালে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টা

ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক: ময়মনসিংহের ত্রিশালে ৫ম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষনের চেষ্টার অভিযোগে রোববার বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম প্রহরী আবু সাঈদ (৩০) কে আটক করেছে ত্রিশাল থানা পুলিশ।
ঘটনাস্থল সূত্র জানায়, উপজেলার আমিরাবাড়ী ইউনিয়নের গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী বিনা (ছদ্ম নাম) (১২) শনিবার সকাল ৮টার দিকে দুই বান্ধবিকে সাথে নিয়ে বিদ্যালয়ের সততা ষ্টোরে যায় কলম ক্রয় করতে। এ সময় কৌশলে দুই বান্ধবিকে বিদ্যারয়ের শ্রেণী কক্ষে পাঠিয়ে দিয়ে নরপশু আবু সাঈদ ৫ম শ্রেনীর শিক্ষার্থী (বিনা) ছদ্বনাম কে জোরপূর্বক ধর্ষনের চেষ্টা করে।

পরে ওই শিক্ষার্থী বাড়ি গিয়ে মা-বাবাকে বিষয়টি অবগত করে। একমাত্র ছোট বোনের সাথে নোংড়া ঘটনার খবর শুনে রোববার সকালে বিদ্যালয়ে যান বড় ভাই আল আমিন। দপ্তরিকে মারধরের চেষ্টা করলে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিয়া হেদায়েত হোসেন খাঁজা পরিস্থিতি সামলে সাঈদকে বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আটক করে রাখেন।

পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনিছুর রহমানকে খবর দিলে তিনি ঘটনাস্থলে পৌছে ওই শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে বিক্ষুদ্ধ এলাকাবাসি ভীড় জমায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। পরে পুলিশ সাঈদ কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থীর মা লাভলী আক্তার বাদী হয়ে ত্রিশাল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি জানান, শনিবার দুপুরে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে মেয়েটি কেঁদে কেঁদে ঘটনার বর্ণনা দেয়। আমি এই ন্যক্কারজনক ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই, যাতে এই ধরনের কোন ঘটনা আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে।

ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মিয়া হেদায়েত হোসেন খাঁজা বলেন, ওই শিক্ষার্থীর ভাইসহ কয়েকজন মিলে যখন দপ্তরিকে মারতে আসে তখনই আমি বিষয়টি জানতে পারি। আমিও চাই এ ধরনের অপরাধীদের কঠিন শাস্তি হউক।

ত্রিশাল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক দিদারুল আলম জানান, মেয়েটির সাথে কথা বলার পর সাঈদকে আটক করি। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ জানান, আমি শুনেছি, ঘটনার সত্যতা যাচাই করে আইনাণুগ ব্যবস্থা নিব।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুজাফর রিপন বলেন, মেয়েটির সাথে কথা বলে বুঝা গেছে তাকে ধর্ষনের চেষ্টা করা হয়েছিল।