ত্রিশালে হেলপারের সেচ্ছাচারিতায় প্রানকেড়ে নিল সাদিকুরের

ত্রিশাল প্রতিনিধি ::মহাসড়কে বেপরোয়া গতি আর অন্য গাড়ীর সাথে প্রতিযোগিতা করার প্রতিবাদ করায় ব্যবসায়ীকে প্রাণ দিতে হলো। গত সোমবার সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশালে এ ঘটনা ঘটলেও ওই দিন রাতেই ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় সাদিকুর রহমান(৩৫) নামের ওই ব্যবসায়ী যুবকের।

প্রত্যক্ষদর্শী বাস যাত্রী,ত্রিশাল থানা পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়,ত্রিশাল উপজেলার রায়মনি গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে ফার্নিচার ব্যবসায়ী সাদিকুর রহমান গত সোমবার গাজীপুর জেলার নয়নপুর গিয়েছিলেন ব্যবসায়ীক কাজে। সকাল ১০টার দিকে তিনি সৌখিন পরিবহনের একটি বাসে (ঢাকা মেট্রো-ব ১৪-৯৪২২) ত্রিশাল ফিরছিলেন। ঢাকা থেকেই বাসটি বেপরোয় গতিতে চালাচ্ছিলেন চালক সোহেল। ভালুকা আসার পর কয়েটি বাসের সাথে প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে এসে জোরে ব্রেক করেন চালক সোহেল। এতে বাসের ভেতর থাকা যাত্রীরাও ছিটকে পড়েন। এ সময় সাদিকুর চালককে ধীরে গাড়ী চালানোর পরামর্শ দেন। সীট থেকে উঠে এসে চালককের সাথে কথা বলায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন চালক সোহেল। এ সময় বাসের হেলপার (অজ্ঞাত ) ও যোগদেয় চালকের সাথে। তর্ক বির্তকের এক পর্যায়ে হেলপার ও বাসের সুপারভাইজার(অজ্ঞাত) মিলে সাদিকুরকে ধরে দরজার কাছে এনে ধাক্কা দিয়ে চলন্ত বাস থেকে ফেলে দেয়। এ সময় অন্য যাত্রীরা ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করলে কিছুদূর গিয়ে চালক বাস থামিয়ে নেমে যান। এ সময় হেলপার ও সুপারভাইজার বাসটি ফেলে পালিয়ে যায়। এ সময় স্থানীয় লোকজন এসে সাদিকুরকে প্রথমে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাদিকুরের মৃত্যু হয়। ত্রিশাল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বাসটি আটক করে নিয়ে আসে।

নিহতের বড় ভাই তাজুল ইসলাম জানান,আমার ভাইকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যা করা হয়েছে।বাসের যাত্রী আমিনুল ইসলাম জানান, জোরে গাড়ী চালানোর প্রতিবাদ করায় তাকে হত্যা করা হয়েছে।

ত্রিশাল থানার ওসি আজিজুর রহমান জানান,আমরা বাসটি আটক করেছি। নিহতের ভাই বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে।