চার লেন হচ্ছে জামালপুর – এলেঙ্গা সড়ক

প্রতীকী ছবি।

ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক: টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে জামালপুর পর্যন্ত ৭৭ দশমিক ৬০ কিলোমিটার সড়ক ফোর লেনে রূপ দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এলেঙ্গা হয়ে কালিহাতি, ঘাটাইল, মধুপুর, গোপালপুর, ধনবাড়ী, জামালপুর সদর হয়ে সরিষাবাড়ী পর্যন্ত ফোর লেন সড়ক নির্মিত হবে। সকল স্তরের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী ও কার্যকরী রুট হিসেবে এই সড়কটি গড়ে তোলা হবে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বেগম জাহিদা খানম বলেন, সড়কটি ফোর লেনে রুপ দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়ক। এটা একটা অংশে এশিয়ান হাইওয়ে এবং সাউথ এশিয়া সাব-রিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশনের(সাসেক) সঙ্গে যুক্ত হবে। এছাড়া এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নও বেগবান হবে।

এই সড়কজুড়ে নতুন প্রতিষ্ঠিত অর্থনৈতিক জোনের উন্নয়নসহ এলাকার জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ‘এলেঙ্গা-জামালপুর জাতীয় মহাসড়ক উন্নয়ন’ প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রকল্পে মোট ব্যয় করা হবে ৪৮৯ কোটি ৮২ লাখ টাকা। বর্তমান সময় থেকে জুন ২০২০ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হবে।

পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (০৩ এপ্রিল) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় প্রকল্পটি উপস্থাপন করা হবে। একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভা অনুষ্ঠিত হবে।

পরিকল্পনা কমিশনসূত্র জানায়, জাতীয় মহাসড়কের মানদণ্ড অনুসারে সড়কটির প্রস্থ ৭ দশমিক ৩০ মিটার। উভয় পার্শ্বে এক মিটার হার্ডসোল্ডার থাকা দরকার। কিন্তু টাঙ্গাইল থেকে জামালপুর সড়কের অংশ ৫ দশমিক ৫ মিটার প্রস্থে নির্মিত। টাঙ্গাইল থেকে জামালপুর পর্যন্ত জাতীয় মহাসড়কের মোট দৈর্ঘ্য ১৪৭ কিলোমিটার। এর মধ্যে ৭৭ দশমিক ৬০ কিলোমিটার সড়ক ফোর লেনে রূপ দেয়া হবে।

সড়কটির এলেঙ্গা-অংশে বঙ্গবন্ধু সেতু মিলিত হয়েছে। এই সড়কটি ব্যবহার করে এ অঞ্চলে উৎপাদিত কৃষি ও শিল্পপণ্য সারাদেশে পরিবহন ও বাজারজাত করার সুযোগ অবারিত হবে। ফলে এই অঞ্চলের শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবাসহ আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে মনে করে সরকার।-বাংলা নিউজ।