গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য যাত্রা সংস্কৃতিকে বাঁচাতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর প্রতি নায়ক খোরশেদের আহবান

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য যাত্রা সংস্কৃতিকে বাঁচানোর জন্য আহবান জানিয়েছেন নায়ক রাজ খোরশেদ রানা। মাননীন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি মহোদয়ের প্রতি এই আহবান জানান নায়ক খোরশেদ রানা।

যাত্রা নায়ক রাজ খোরশেদ রানা একান্ত সাক্ষাতকারে এই এই আহবান জানান। নায়ক খোরশেদ রানা যাত্রা দলের অভিনেতা অভিনেত্রীদের জীবন যাপনসহ নানা কষ্টের কথা গুলো তুলে ধরেন। তিনি বলেন আমরা যারা যাত্রা নাটকে অভিনয় করি বা করে আসছি তাদের জীবন এখন অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে অতিবাহিত হচ্ছে।

আমি ১৯৮৮ইং সালে যখন যাত্রা নাটকে অভিনয় শুরু করি তখন প্রতি বছর (শীতের ৬ মাসে) প্রায় ১৫০ টির অধিক যাত্রা নাটকে অভিনয় করতাম। বর্তমানে তা ১৫ থেকে ২০ টি যাত্রা নাটকে অভিনয় করতে পারি। আমরা যারা যাত্রা নাটকে অভিনয় করি বা করে আসছি তারা অন্য কোন পেশায় জড়িত নই এমনকি নিজেদের জমি চাষ করেও জীবিকা নির্বাহ করতে পারিনা তাই কতটা কষ্টের মধ্যে জীবন যাপন করে যাচ্ছি তা আপনারাই একটু ভাবুন।

নায়ক খোরশেদ রানা আরও জানান যাত্রা নাটকে বাংলাদেশে লক্ষাধিক শিল্পী অভিনয় করে জীবিকা নির্বাহ করে। আর এখন এই যাত্রা শিল্প প্রায় ধ্বংসের পথে, লক্ষাধিক শিল্পী অত্যান্ত মানবেতর করছেন।আর তাই যাত্রা শিল্প তথা শিল্পীগোষ্ঠীকে বাঁচাতে মাননীয় সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীকে আহবান জানান।এছাড়াও এই শিল্প এবং শিল্পগোষ্ঠীকে বাঁচাতে সংস্কৃতমনা সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান।

নায়ক খোরশেদ রানা ফুলবাড়িয়া উপজেলার ২নং পুটিজানা ইউনিয়নের তেজপাটুলী গ্রামে এক মুসলিম পরিবারে জম্মগ্রহন করেন।মৃত উসমান আলী শেখের ৩য় সন্তান। তার বড় ভাই প্রিন্সিপাল আব্দুর রশিদ। তিনি কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ থেকে সংসদীয় আসন ময়মনসিংহ ০৬( ফুলবাড়িয়া) থেকে গামছা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

নায়ক খোরশেদ রানা প্রায় ৪ শতাধিক যাত্রা নাটকে অভিনয় করেছেন। আর এই বর্ষীয়মান অভিনেতা সমাজের সর্বস্তরের মানুষের প্রতিও আহবান জানান যাত্রা শিল্প এবং শিল্পগোষ্ঠীকে বাঁচাতে এগিয়ে আসার। সবশেষে  তিনি বলেন – যাত্রা শিল্পকে বাঁচান, শিল্পগোষ্ঠীকে বাঁচান।