কোর্ট মার্শালের বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন লে.কর্নেল মাহমুদ

রাজশাহী-১ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দীন মাহমুদ

ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক:: রাজশাহী-১ ব্যাটালিয়ন বিজিবির অধিনায়ক লে.কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দীন মাহমুদকে নিয়ে অপপ্রচারে নেমেছে একটি চক্র। ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে, তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে তাকে শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।

ভারতের একটি গণমাধ্যমে তার বরখাস্তের খবর প্রচার করার পর সেটা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক ভাইরাল হয়ে যায়।

কোর্ট মার্শালের বিষয়ে ফোনে রাজশাহী ব্যাটালিয়ন বিজিবির-১ অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস জিয়া উদ্দীন মাহমুদের কাছে জানতে চাইলে তিনি ত্রিশাল প্রতিদিনকে জানান, আমাকে বরখাস্ত করা হয়নি। আমি স্বপদে স্বসম্মানে চাকরিতে বহাল আছি। আমাকে কোনো বিচারের মুখোমুখিও হতে হয়নি। আপনারা দয়া করে এসব অপপ্রচার করবেন না।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস জিয়া উদ্দীন মাহমুদ বলেন, শুধু আমিই না, আমার ব্যাটালিয়নের কোনো বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধেই কোন কোর্ট মার্শাল হচ্ছে না। কোর্ট মার্শাল হওয়ার মতোকোনো অপরাধ কেউ করেনি।

প্রসঙ্গত, গত ১৭ অক্টোবর ভারতের সীমান্তরেখা অতিক্রম করে কয়েকজন জেলে বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করে। তারা চারঘাটের ভেতরে পদ্মানদীতে ইলিশ মাছ শিকার করতে থাকে। ওই সময় বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী নদীতে মা ইলিশ রক্ষায় ইলিশ শিকারের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছিল। মা ইলিশ শিকারের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত ভারতের চার জেলেকে আটক করে।

এ সময় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ সদস্যরা এসে তিন জেলেকে ছিনিয়ে নেয়। অপর জেলে প্রণব মণ্ডলকে ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য বিএসএফ সদস্যরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এ সময় বিজিবি পাল্টা গুলি চালালে বিএসএফ সদস্য বিজয় ভান সিং নিহত এবং আহত হন আরেক বিএসএফ সদস্য রাজবীর সিং।এরপর রাজশাহী বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল ফেরদৌস জিয়াউদ্দীন মাহমুদ সংবাদ সম্মেলন করে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরলে বিভিন্ন মিডিয়ায় তার বক্তব্যের ভিডিও প্রচার এবং ভারাইল হতে থাকে।