ইউএনও এর উদ্যোগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংযোগ সড়ক  নির্মাণ

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলার বিসকা ইউনিয়নে চান্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ও জনসাধারনের যাতায়াতের সুবিধার্থে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের  উদ্যোগে ৫০ মিটারের একটি রাস্তা নির্মান কাজের উদ্বোধন  করা হয়েছে। এতে করে দূর্ভোগের হাত থেকে রক্ষা পেল শিক্ষার্থীসহ সকল শ্রেনী পেশার লোকজন। প্রধান সড়ক হতে স্কুলে যাওয়ার রাস্তাটি দীর্ঘদিন কাঁচা রাস্তা থাকায় শিক্ষার্থীদের চলাচলে অসুবিধা ও দুর্ভোগের শিকার হতে হতো। অবশেষে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘবে এই রাস্তাটি নির্মাণ কাজ শুরু করে উপজেলা প্রশাসন।

রবিবার (৬আগষ্ট) এলাকায় সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ইউপি চেয়ারম্যান সাকির আহমেদ  বাবুল এর সহযোগিতায় চান্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংযোগ সড়ক এইচবিবিকরণ রাস্তা নির্মান কাজের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত।  একই দিনে তিনি বিসকা ইউনিয়নে টিসিবি পণ্য বিক্রি কর্মসূচি উদ্বোধন ও ইউনিয়নবাসী কোথায় কি সমস্যা আছে তা নিরসনে পরিদর্শনসহ দিনব্যাপী ব্যাপক কর্মতৎপরতা দেখিয়েছেন। এসময় তার সাথে সহকারী কমিশনার ভূমি এসিল্যান্ড ফাহমিদা সুলতানা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাকির আহমেদ বাবুলসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।

সুত্র জানিয়েছে-উপজেলার বিসকা এলাকার মেইন রোড থেকে চান্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংযোগ সড়ক বিদ্যালয় পর্যন্ত  কোন রাস্তা না থাকায় ওই স্কুলের শিক্ষার্থী ও জনসাধারনের দীর্ঘদিন ধরে চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। এমন কি ওই রাস্তা না থাকার কারনে এলাকাবাসী ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা কাঁদা পানি পার হয়ে স্কুলে যাতায়াত করতে হতো।

এ ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে বিসকা ইউপি চেয়ারম্যান সাকির আহমেদ বাবুলের সহযোগীতায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের  উদ্যোগে প্রায় ৫০ মিটার রাস্তা  নির্মান করা হয়। এতে করে ওই স্কুলের শিক্ষার্থী ও জনসাধারন দূর্ভোগের হাত থেকে রেহাই পাবে।

স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, রাস্তা না থাকায় প্রতিদিন তাদের  পানি-কাঁদা পার হয়ে স্কুলে আসতে হত। কিন্তু এখন রাস্তা নির্মান করায় আমাদের ভোগান্তির দিন শেষ হলো।

এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান সাকির আহমেদ বাবুল বলেন, আমার নিজের স্বার্থে নয় এলাকাবাসী ও স্কুল-কলেজ শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে রাস্তাটি আমরা নির্মান কাজ শুরু করেছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিজাবে রহমত  জানান, উপজেলার সকল বেহাল সড়ক ও স্কুল প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান বাড়াতে  খোঁজ নেয়া হচ্ছে। অচিরেই এর জনদুর্ভোগময় এলাকাগুলোতে পর্যায়ক্রমে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড চালানো হবে  এবং উপজেলার মাটির গ্রামীন সড়ক পাকাকরনের আওতায় আনা হবে।