আকুয়া শীর্ষ সন্ত্রাসী নাবালিকা স্কুল  ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় কাজল গ্রেফতার


স্টাফ রিপোর্টার: আকুয়া দক্ষিণপাড়া এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ ও জোর করে নাবালিকা মেয়ে ধর্ষণকারী মাদক ব্যবসায়ী কাজলকে র‌্যাব -১৪ আজ গ্রেফতারে সক্ষম হয়েছে। গত ৩রা জুলাই বাসায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রির কাজের কথা বলে ৭ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে কাজল ও কাউছার নামে দুজন জোরপূর্বক ধর্ষণ করে ভিডিও করে। এই সময় ঐ ছাত্রীর বোন ও তার বোন জামাই ঘরে ছিলনা।পরে এই ভিডিও দেখিয়ে
৫লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। ঐ নাবালিকা মেয়ে আজ সকালে র‌্যাব -১৪ কার্যালয়ে অভিযোগ দিলে সহকারী পুলিশ সুপার মো: তফিকুল আলম এক অভিযান চালিয়ে কাজলকে গ্রেফতারে সক্ষম হন।

সুত্র আরো জানায়, ঐ নাবালিকা মেয়েকে জোর করে ধর্ষনের আগে তাদের কথা না মানলে খুনের হুমকী দেয়। ধৃত কাজল আকুয়া দক্ষিণপাড়ার (উলঙ্গপাড়া)মৃত আবু হানিফার ছেলে। ধৃত কাজলের বিরুদ্ধে ১১ই মার্চ গোলাম মোস্তফা বাদী হয়ে ৫লক্ষ টাকা চাঁদাবাজীর অভিযোগে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা করে। যার নং-৫৩(০৩)১৯। এই মামলায় গত ১০ই জুন কাজল গংরা জামিনে গিয়ে বাদী গোলাম মোস্তফার শ্বশুর সালেহা ফুড প্রডাক্টস এ হামলা ও ভাংচুর করে মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রচন্ড চাপ সৃষ্টি করে।

এ ঘটনা কোতোয়ালী থানা পুলিশকে জানালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এস আই আবুল কাশেম ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতের নির্দেশে তদন্দ শেষে ২৯০/১৯,তারিখ ২১/৬/১৯ইং একটি প্রশিকিউশন দাখিল করে। কাজল,সজল ও মালেক এই তিন ভাই আকুয়া দক্ষিণপাড়ায় এলাকায় সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলে এলাকায় মাদক ব্যবসা সহ চাঁদাবাজীঘটনায় জড়িত। এদের দাপটে এলাকায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পায়না। এর আগে ৩নং ফাঁড়ির পরিদর্শক মনিরুলের সাথে মাসিক টাকার বিনিময়ে অবাধে মাদক ব্যবসা করায় দৈনিক আজকের বাংলাদেশ পত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হলে তৎকালীন পুলিশ সুপার নুরুল ইসলাম ঐ পরিদর্শককে ৩নং ফাঁড়ির ইনচার্জ পদ থেকে প্রত্যাহার করে নেন।

ময়মনসিংহ বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিসেট্রট আদালতে মো: আবু তালেব বাদী হয়ে ৪৭৫/১৫ একটি ১০৭/১১৭ ধারায় একটি মামলা করে। কাজলের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করায় তাকেও নানাভাবে হুমকী দেয়। কাজল তার আপন চাচী জোবেদার জায়গা দখলের জন্য ঘরে তালা মারলে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর কোতোয়ালী থানার ওসি’র নির্দেশে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তালাবন্ধ ঘর খুলে দেয়। আজো জোবেদা কাজলের ভয়ে তার ছেলের বউ ফরিদাকে নিয়ে পালিয়ে থাকে। কোন সময় জোবেদা এলে কাজলের মা’ মালেকার অত্যাচারে পিত্রালয়ে থাকে।

কাজলের পুরো পরিবারের অত্যাচারে তার চাচী ও ছেলের বউ ভয়েই নিজ বাড়ীতে আসতে সাহস পায়না। ধৃত ধর্ষক কাজলের এক সন্ত্রাসী বাহিনী আছে,যাদের দ্বারা সে আকুয়া দক্ষিণপাড়া এলাকায় চাঁদাবাজী,মাদক ব্যবসা ও নাবালিকা নারী ধর্ষনের মত ঘটনায় জড়িত। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার বাহিনীর আরো তথ্য পাওয়া যেতো। কাজল গ্রেফতারের সংবাদে আকুয়া দক্ষিণপাড়া এলাকায় স্বস্থির নি:শ্বাস পড়েছে।