সরে জমিন প্রতিবেদনঃ ময়মনসিংহের ত্রিশাল পৌরসভার নন্দিত দু’বারের নির্বাচিত মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ বড় নেতা না হয়েও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করে নিভৃতে জনগনকে পাশে রেখে কাজ করে যাচ্ছেন। এ নেতা ১৯৮১সালে স্কুল কমিটির ছাত্রলীগের নেতৃত্ব নিয়েই পথচলা। উপজেলা ছাত্রলীগ উপজেলা যুবলীগের নেতৃত্ব দেওয়ার মধ্যদিয়ে তৃর্ণমূল পর্যন্ত আওয়ালীগের বিশাল একটি ঘাটি তৈরী করেন। চিন্তা চেতনা ছিল সারা উপজেলা জুড়েই আওয়ামী লীগের অঞ্চল সৃষ্টি করা। তার এই পরিশ্রম হয়ত স্বার্থক হয়েছে কিন্ত আজ তাকে দলের নেতৃত্ব থেকে দূরে থাকতে হচ্ছে। তার নিজ হাতে তৈরী করা বহু কর্মী আজ নেতা ও নীতি নির্ধারণকারী।
অনেকই আজ তাঁর হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত কিন্তু বাস্তবতা যাচাই করলে তাদের অতীত তাকালে দেখা যায় মেয়র আনিছের অনেক কর্মী আজ ত্রিশাল আওয়ামীলীগের বিভিন্ন স্তরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। মেয়র আনিছ হাতের পরশে যারা ধন্য হয়েছেন তারা সময়ের প্রয়োজনে, ক্ষমতার প্রয়োজনে দলের নেতৃত্বের প্রয়োজনে মেয়র আনিছকে এড়িয়ে চলছেন তবে মন থেকে তারা মেয়রকে হয়ত শ্রদ্ধা করেন এবং আগামী যে কোন সময় তার পরশ নিতে গোপন সন্ধি করে আবারো একসাথে চলার সিদ্ধান্তে আসাটাই স্বাভাবিক।
মেয়র আনিছ একমাত্র বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বিশ্বাসী, জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের বিশ্বাসী, মানুষকে ভালোবাসার বিশ্বাসী জনপ্রিয়তার বিশ্বাসী। অনেক নেতা রয়েছেন অনেক বড় পদে রয়েছেন তবে জনপ্রিয়তার সাথে তাদের কোন সম্পর্ক নেই সেটা মেয়র আনিছের রয়েছে। মেয়র আনিছ ২০১১সালে প্রথম নির্বাচনে দলের সমর্থনে মেয়র হয়েছিল।
এরপর দ্বিতীয়বার দল থেকে মনোনয়ন না পেলে জনগন বাধ্য করেন তাকে মেয়র পদে নির্বাচন করাতে এবং মেয়র বানান আজ যারা নৌকার সমর্থন নিয়ে মাঠে কাজ করছেন তাদের মাঝে সিংহভাগ নেতা কর্মী ঐ নির্বাচনে মেয়রের পক্ষে কাজ করেছিল যা সর্বজন স্বাক্ষী। দ্বিতীয়বারের মেয়র আনিছ নির্বাচিত হয়ে আওয়ামীলীগের বাহিরে একটি কাজও করেননি সব আওয়ামীলীগের কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন এমনকি ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের প্রতিটি কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ ও কর্মসূচীগুলো সফল হতে সব ধরনের সহযোগতা করেছেন।
তেমনি মেয়র আনিছের প্রতি জেলা আওয়ামীলীগ সন্তুষ্ট হয়ে ২০১৮সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সম্মেলনে কাউন্সিলর করেছিল। এই মেয়র আনিছ জয় বাংলার লোক।
যদিও গত নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর মেয়র ছিলেন তবে আওয়ামীগের মুখ উজ্জল রাখতে রাতদিন পরিশ্রম করে ত্রিশাল পৌরসভায় যে কাজের সফলতা দেখিয়েছেন তা জননেত্রী শেখ হাসিনার এগিয়ে নেওয়া বাংলাদেশ উন্নয়নের একটি অংশ হিসেবে উপস্থাপন করা যায় যা সহজেই উচ্চপদের জনপ্রতিনিধিরা করতে পারবে কিনা সন্দেহ রয়েছে।
মেয়র আনিছ দ্বিতীয় মেয়াদে মেয়র নির্বাচিত হয়ে যেমন পৌরসভাকে আধুনিক পৌরসভা বানিয়েছেন তেমনি দলীয় নেতা কর্মীদের সুখে-দুখে সব সময় পাশে রয়েছেন।অনেকেই পদে গেলে তার অনেক কিছু পরির্বতন করে ফেলেন। চিনে না চেনার ভাব শুরু করে দেন কিন্তু মেয়র আনিছ যতবার দলীয় দায়িত্ব আর জনপ্রতিনিধি হয়েছেন ততবার পরিচিত লোকের পরেও আরো নতুন কারো সাথে পরিচয় হলে ভাই বন্ধু হিসেবে কাছে রেখেছেন। তার এই গুণ জনপ্রিয়তা বার বার শীর্ষে নিয়ে যায়।
তাই মেয়রকে জনগন জনপ্রতিনিধি থেকে দূরে রাখতে চান না। জোর করে নিয়ে যান নির্বাচনের মাঠে এবং জয়ের মালা গলায় দিয়ে জনগন ঘরে যান। মেয়রের এই নীতি আদর্শ অনেক সময় চক্রান্তের মুখোমুখি হতে হয়। তবুও জনগনের পাশে থেকে নিজেকে সামলিয়ে নেন। সফল জনপ্রতিনিধি হিসেবে জেলা শ্রেষ্ট মেয়র হিসেবে তাকে পুরস্কার প্রদান করেন জেলা প্রশাসক। জনতা যার কাছে নিরাপদ মনে করেন তাকে সমর্থন করেন। আগামী ৩০শে জানুয়ারী ত্রিশাল পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র আনিছকে জনগন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে নামিয়েছেন।
এখানে জনতার সমর্থনের যে এক বিশাল ঢেউ ত্রিশালের ইতিহাসে এই প্রথম কোন জনপ্রতিনিধির জন্য নারী পুরুষ সকলেই এক সাথে স্লোগান তুলেছে মেয়র আনিছকে আবারো চাই। এই যে জন সমর্থন অর্জন এটা সব মানুষের জীবনে ঘটে না।
জনগনের ভালোবাসায় সিক্ত মেয়র আনিছ তেমনি জনগন মেয়র আনিছকেই নিরাপদ মনে করে তাঁর ছায়ায় থাকতে চান। পদের চেয়ে জনগনের ভালোবাসাই বড় এটাই বিশ্বাস করে মেয়র আনিছ জনগনের নেতা হয়ে থাকতে চান।