মোঃ গোলাম কুদ্দুস,গফরগাঁওঃ মানুষ মানুষের জন্য এ কথাটির সত্যতা প্রমান করল দীঘা গাঁয়ের এই নয়ু পাগলা! বড়ই আবেগ প্রবণ হয়ে মানবতার এক উজ্জল দৃষ্টান্ত দেখিয়ে নয়ু আকৃষ্ট করল! সে পাগল হলেও তাঁর মানবিক আদর্শ সত্যিই আমাদের জন্য একটি শিক্ষনীয় বিষয়। নয়ু একজন পাগল তাঁর পেশা টুকাই সে বোতল,কাচ ঘাস,বাঁশ সবই কুড়িয়ে বেড়ায়।
সে এলাকার ছোট বাচ্চাদের ঘুম পাড়ানির ঔষধ হিসাবেও কাজ করে। বাচ্চা দুষ্টামি করলে নয়ুর নাম নিলে ঐ বাচ্চাদের কানে শোনাতে পারলে নির্শ্চুপ বল্লার টুপ চোখে ঘুম চলে আসে। দীঘা গ্রায়ের একজন রোগী মুমূর্ষু অবস্হায় আইসিইউতে আছেন আজ ৭-৮দিন ধরে। তাঁর জন্য প্রতি দিন খরচ হচ্ছে ২৫-৩০ হাজার টাকা! ঐ ভাইটির অর্থনৈতিক অবস্হাও তেমন একটা স্বচ্ছল না থাকায় আত্নীয় স্বজন মিলে তাঁর চিকিৎসা ব্যয় ভার বহন করছে।
গত রাতে গোলাম কুদ্দুস ভাইয়ের ঘরে প্রায় ২৫-৩০ জন একসাথে রোগীর সার্বিক বিষয়ে কথা বলেছিলো! তখন নয়ু জানালার পাশে দাড়িয়ে সব কথা শুনেছিল,তার পর চুপি চুপি কুদ্দুস ভাইয়ের ঘরে প্রবেশ করতে চাচ্ছিল! ঘরে অনেক ছোট বাচ্চারা ছিল ওরা নয়ুকে দেখতে পেয়ে এক ঝাঁকে চিৎকার করে উঠে তখন গোলাম কুদ্দুস ব্যপারটি বুঝতে না পেরে দরজার সামনে যায় তখন দেখলেন নয়ু ঘরে ঢুকতে চাচ্ছে।
তাঁকে জিজ্ঞেস করতেই বলল আমার কাছে দশ হাজার টাকা আছে আমি দিপুর আব্বার চিকিৎসার জন্য দিবো ওর কথা শোনে তো সবাই হতবাক!
একটা পাগল এতটা মানবিক কি করে হয়? কুদ্দুস ভাই নয়ুকে বললো তোর টাকা দেওয়া লাগবে না, তুই দোয়া করিছ। তখন সে কেঁদে ফেলল। সমাজে আমরা যাদেরকে ধনী বা বড় লোক বলি আসলে তারা কি বড় লোক? এই নয়ুর কাছে বার বছর শিক্ষা নিতে পারলেই আপনি আমি বড় লোক কিংবা মানবিক হতে পারবো।