স্টাফ রিপোর্টারঃ ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার কুমার গাতা ইউনিয়নের ছত্রাশিয়া গ্রামের মৃত ছফর আলীর ২৮ শতাংশ ভূমিকে কেন্দ্র করে উপজেলায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে বলে জানাগেছে। মৃত ছফর আলীর ১৬ শতাংশ ভূমি যার বিআরএস মূলে ৩৬৭ এবং মৌজা খতিয়ান ১১৩। কিন্তু জলিল গং উক্ত ভূমির পাশাপাশি ৩৬৯ দাগে সরকারী ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত জমিও তাদের দখলে রেখেছিল বলে জানাগেছে উপজেলা প্রশাসনসূত্রে।
আরো জানাযায়,গত ৮ অক্টোবর ২০২১ মুক্তাগাছা উপজেলা প্রশাসনের এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাসুদ রানার নেতৃত্বে একটি সার্ভেয়ার টিম গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়। তদন্তকালে সার্ভেয়ার টিম দেখতে পান উল্লেখিত ভূমি সরকারি এবং ১নং খাস খতিয়ানের ভূমি।এসিল্যান্ড মাসুদ রানা পরবর্তীতে গত ১২ অক্টোবর ২০২১ অভিযান পরিচালনা করেন। এর আগে উল্লেখিত জমির বর্তমান ভোগ দখলকারী জলিল গংকে ৩ দিনের মধ্যে ভূমি ছেড়ে দিতে আদেশ জারী করলেও জলিল গং চিন্হিত দখল না ছাড়ায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে সরকারী আওতায় নিয়ে আসে এবং ভ্রাম্যমাণ আদালতে ছফর আলীর ছেলে জলিলকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে।
এদিকে অনুসন্ধানে জানাগেছে,মৃত ছফর আলীর ২৮ শতাংশ জমির পুরোটাই হাতবদল বেচাকেনা ইত্যাদির মধ্যে দিয়ে গেছে এবং এখনো চলছে ফলে কেঁচো খুড়তে গিয়ে সাপ বের হয়ে যাবার মত অবস্হা হয়েছে। এতে করে ছফর আলীর ৩৬৯ দাগের জমিটুকু সরকারি এবং ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত, যা গত ৮ অক্টোবর ২০২১ উপজেলা প্রশাসনের সার্ভেয়ার টিম চিন্হিত করে।
রশি টানাটানির মত ভূমি নিয়ে হাতবদল, টানাটানি এবং হাওয়ার উপর বেচাকেনা করতে গিয়ে প্রকৃত সত্য দাড়ালো এই ভূমি ১ নং খাস খতিয়ান ভুক্ত সরকারি ভূমি। আর এইসব বেচাকেনা অব্যাহত রেখেছে ফজলুল হক, জাকির হোসেন, জিয়াউর রহমান সর্বশেষ আঃ জলিল। তারা কেউ ছফর আলীর পুত্র, আত্নীয় স্বজন কিংবা বহিরাগত বলে জানাগেছে। কিন্তু লক্ষ্য করা গেছে, এ সংক্রান্ত কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞ ম্যাজিষ্ট্রেট (এসিল্যান্ড)এর কাছে ফাইল আকারে যাওয়ার পর দালিলিক কাগজপত্রে বিভ্রান্তি থাকার কারণে খারিজ আবেদন বাতিল করেন বিজ্ঞ এসিল্যান্ড। ফলে অনেকেই এসিল্যান্ড মাসুদ রানার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এতে করে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থের জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গার মত মুক্তাগাছায় এসিল্যান্ড মাসুদ রানার সুনাম ক্ষুন্ন করতে কৌশল অবলম্বন করে সাংবাদিকদের ব্যবহার করে এবং বিভিন্ন কৌশলে প্রলোভিত করে অসত্য তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের ব্যবস্হা করতে উঠে পড়ে লাগে জলিল গংরা । সেক্ষেত্রে কিছু কিছু সাংবাদিক তাদের প্রলোভন পা দিয়ে সরকারী কর্মকর্তাদের সুনাম ক্ষুন্নের পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন। যা কিনা কিছু অনৈতিক সুবিধা কিংবা বন্ধুত্বের খাতিরে এসব সংবাদগুলো প্রকাশ করেছেন দু একজন। তাদের এহেন কর্মকান্ডে সাংবাদিকতাকে ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে বলে মনে করেন সচেতন মহল।
সচেতন মহল মনে এরূপ মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্যে এবং কারো পক্ষ অবলম্বন করে সংবাদ প্রকাশ করে তারা সাংবাদিকতার নৈতিকতা থেকে সরে এসেছেন। এরূপ কর্মকান্ডে তাদের মত সারাদেশে আরো এমন কিছু সাংবাদিকদের প্রতি দিন দিন সাধারণ মানুষ,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, প্রশাসনসহ সর্বমহলে সংবাদপত্রের প্রতি মানুষের বিশ্বাস হারিয়ে যাচ্ছে। আর তাই জাতির বিবেক এই পেশা এবং গণমাধ্যমকে মানুষের বিশ্বাসের জায়গায় ফিরিয়ে আনতে মূলধারার সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভূল পথে পরিচালিত হওয়া সাংবাদিকদের মূলধারার সাংবাদিকতায় ফেরাতে পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ সচেতন মহলের। আর ভূল পথে পরিচালিত সাংবাদিকদের পেশার সম্মান বাঁচাতে মূলধারায় ফিরে আসা উচিত বলেও মনে করছেন সচেতন মহল। কেননা ২১শে অক্টোবর প্রথমে সকালের সময় ও রূপান্তর বাংলা পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করে – ভ্রাম্যমাণ আদালত চলার সময় বাড়ি ঘর ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ শিরোনামে। উক্ত সংবাদে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করা হয়েছে যা সংবাদের শিরোনামের দিকে মনযোগ সহকারে তাকালেই প্রমাণিত হবে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত চলাকালে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে লুটপাটের ঘটনা বাংলাদেশে কেন বিশ্বের কোথাও ঘটেনি আর এটা কখনো ঘটতে পারে কিনা তা নিয়েও যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। আর সন্দেহটা আরো প্রবল হয়েছে প্রকাশিত সংবাদে ব্যবহৃত ছবি দেখে। যে ছবিতে ছিনতাই হচ্ছে এমন কোন প্রমাণও নেই। তাই এই সংবাদটি পরিবেশন করে শুধু একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সুনাম ক্ষুন্ন করা হয়নি, একই সাথে আদালতকে অবমাননাও করা হয়েছে। পরবর্তীতে ৩ অক্টোবর দৈনিক সমকাল পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন করা হয়” নিজ জমিতে ঢুকতে দেয়া হচ্ছেনা তাকে…… এভাবে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশ করে মুক্তাগাছা উপজেলা প্রশাসনের সুনাম ক্ষুন্ন করা হয়। পাশাপাশি উক্ত ঘটনায় এসিল্যান্ড মাসুদ রানা সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুকে প্রেস রিলিজের পোস্ট করার সাথে সাথে বিভিন্ন ধরণের কমেন্ট করেন ফেসবুক ব্যবহারকারীরা। ঐ সমস্ত কমেন্ট গুলোতে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে খুব বাজে কমেন্ট করা হয়। পরবর্তীতে মুক্তাগাছা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালনের সময় বক্তব্য রাখার সময় প্রেসক্লাবের সহসম্পাদক মাজহারুল আজাদ বুলবুল বলেছেন ২/১ টা সাংবাদিকের জন্য মুক্তাগাছা উপজেলার সংবাদ মাধ্যম প্রশ্নবিদ্ধ , এদের জন্য সাংবাদিকদের সুনাম ক্ষুন্ন হচ্ছে।
লক্ষ্য করা গেছে সংশ্লিষ্ট এসিল্যান্ড কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করতে গিয়ে স্পষ্টতাই বিভ্রান্তিকর দেখতে পান এবং ধারাবাহিক ভাবেই আইনের পক্ষে অবস্হান নেন। কিন্তু নিজস্বার্থ সিদ্দ না হওয়াতে বারবারই মিথ্যা ভিত্তিহীন বিভ্রান্তিকর সংবাদে একদিকে সাংবাদিকদের বিভ্রান্ত করা হয়েছে অন্যদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতকে অবমাননাও করা হয়েছে। স্হানীয় পর্যবেক্ষকদের অভিমত, মুক্তাগাছা উপজেলা প্রশাসন এব্যাপারে অনড় থাকবেন এবং প্রকৃত সত্য উদঘাটনে সচেষ্ট থাকবেন।