ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় যুবলীগের সভাপতি ও তার সহযোগীরা গ্রেফতার

মুক্তাগাছা প্রতিনিধিঃঃ  ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায়  স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের  চিকিৎসককে মারধরের অভিযোগে  উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মাহবুবুল হক মনি  সহ তার  চার সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন কামরুজ্জামান (৩৫), জুয়েল (২৭), রানা দে (২৬) ও শরীফ (২৫)।

মঙ্গলবার (০৬ই জুলাই) রাতে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ডা. এ এইচ এম সালেকিন মামুন  তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার। পরে রাতেই থানা ও ডিবি পুলিশ অভিযান চালিয়ে উপজেলা সদর থেকে আসামি মাহবুবুল হক মনিকে গ্রেফতার করে । বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল আকন্দ।

ভুক্তভোগী চিকিৎসক অভিযোগ করেন, মঙ্গলবার (০৬ই জুলাই) দুপুর ২ টার দিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইমার্জেন্সি হট নাম্বারে ফোন করেন মাহবুবুল হক মনি। এসময় তিনি তার মায়ের করোনা পরীক্ষার জন্য বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহের বিষয়ে জানতে চান। তখন তাকে বলা হয় বাসায় গিয়ে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ রয়েছে, তাই তার মাকে হাসপাতালে নিয়ে এসে নমুনা জমা দেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।

কিছুক্ষণ পরই মনি ও তার সহযোগীরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে মেডিকেল অফিসারের কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে গালিগালাজ ও মারধর করে। এ ঘটনায় ডা. এ এইচ এম সালেকিন মামুন শারীরিক বিপর্যস্ত বলেও জানান অভিযোগে।

ওসি দুলাল আকন্দ বলেন, এ ঘটনায় মামলার পরই মাহবুবুল হক মনিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিছুক্ষণ পর তাকে আদালতে পাঠানো হবে।

জেলা পুলিশ সুপার  আহমার উজ্জামান বলেন,  হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও ভুক্তভোগী ডাক্তারের পক্ষ থেকে তার কর্তব্যে বাধা সৃষ্টি, গালিগালাজ ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতের অভিযোগ পাই আমরা। এরপর যথাযথ ধারায় আমরা মামলা রেকর্ড করি ও রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। এ ব্যাপারে আমরা যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা নিচ্ছি।