স্টাফ রিপোর্টারঃ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ইতিহাসে ময়মনসিংহ জেলা অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ জেলা। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সৃষ্টির লগ্ন থেকেই অনেক আদর্শবান নেতার জন্ম হয়েছে এই বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চলে।আজকে অনেকেই প্রয়াত, অনেকেই জীবিত আবার অনেকেই ধরে রাখছেন নেতৃত্ব। জেলাটিতে অনেক ত্যাগী নেতা রয়েছেন যারা ছাত্র রাজনীতি করতে গিয়ে জেলার রাজনীতি পেরিয়ে সারা দেশের রাজনীতিতে অবদান রেখেছিল তাদের মাঝে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান অন্যতম ।
ইউসুফ খান পাঠান ১৯৬৮সালে ময়মনসিংহ জেলা স্কুলে ৮ম শ্রেণিতে লেখা পড়া করাবস্থায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ লালন করে ছাত্রলীগের যোগ দেন। ১৯৭৩সালে ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজে ছাত্র এবং ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। ১৯৭৫ সালে সৈয়দ নজরুলসহ জাতীয় ৪নেতাদের দাফনে দূঃসাহসিক ভূমিকা রেখেছিল। ১৯৭৮ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের ক্রীড়া সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশাল ভোটের ব্যবধানে ডাকসুর সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন ইউসুফ খান পাঠান।তৎকালীন সময় রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ বন্ধ করেদিয়েছিলেন এ নেতা।
এরপর ১৯৮৬/৮৭সালে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক পরে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন ও নান্দাইল উপজেলায় শহীদ স্মৃতি কলেজের অধ্যাপনা শুরু করেন।৯০দশকে জেলা যুবলীগ সভাপতির দায়িত্ব পালন করে জেলাতে যুব সংগঠন শক্তিশালী করে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে কঠিন অবস্থান সৃষ্টি করেছিলেন এই নেতা। রাজনৈতিক ধারাবাহিকতায় ত্যাগ আরও ধৈর্য মূল্যয়ন করে এই নেতাকে দল থেকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন দিলে বিশাল ভোটে নির্বাচিত হয়ে প্রমান করে দিয়েছিলেন জনপ্রিয়তার শ্রেষ্টত্ব।
আজ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সততার সাথে দায়িত্ব পালন করে প্রতিদিন ছুটে চলছেন জেলা প্রতিটা অঞ্চলে। দলের সিনিয়র নেতাদের সাথে সমন্বয়, নবীনদের উৎসাহ আর ত্যাগীদের খোঁজে বের করে তাদের প্রতি জানাচ্ছেন সহানুভূতি । প্রিয় দল আওয়ামীলীগ সরকারের ঐতিহাসিক সফলতা তুলে ধরে জনসাধারণকে করছেন সচেতন। এনেতা আগামীদিনে দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেলে ময়মনসিংহ অঞ্চলে দল ফিড়ে পাবে পুরনো ছন্দ।