নিজস্ব সংবাদদাতাঃ মুক্তাগাছায় মাদ্রাসায় অনুদানের টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম দুলাল উপজেলার ৮ নং দাওগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
জানাগেছে, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জাকারিয়া হারুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন কালীন সময়ে কাঠবাওলা খাদিজাতুল কোবরা মহিলা হাফেজী মাদ্রাসায় উন্নয়নের জন্য ১ লক্ষ টাকা অনুদান প্রদান করেন এবং প্রকল্প সভাপতি হিসেবে শহিদুল ইসলাম দুলালের হাতে অনুদানের টাকা তুলে দেন। উক্ত অনুদানের টাকা থেকে মাত্র ২৪ হাজার ৬ শত ৪০ টাকা খাদিজাতুল কোবরা মহিলা হাফেজি মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক ও ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক হামিদের কাছে তুলে দেন। বাকী ৭৫ হাজার ৩ শত ৬০ টাকা ২ বছরের অধিক সময় অতিবাহিত হলেও মাদ্রাসা কতৃপক্ষকে দেননি শহিদুল ইসলাম দুলাল। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় মাদ্রাসাটির অবস্থা খুব খারাপ এবং মাদ্রাসার বাউন্ডারির টিনের বেড়াগুলো ভেঙ্গে গেছে। আর্থিক সমস্যার কারণে সংস্কার করা সম্ভব হচ্ছে না বলেও জানান মাদ্রাসা কতৃপক্ষ। এমতবস্থায় অনুদানের টাকা গুলো পেলে মাদ্রাসার কাজগুলো সংস্কার করে ছাত্রীদের সুন্দর একটা পরিবেশে পাঠদান করানো সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন হাফেজ মোঃ আসাদুজ্জামান।
উপজেলা পরিষদের বরাদ্দকৃত অনুদানের টাকা আত্মসাৎ এর বিষয়ে জানতে দাওগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ আঃ লতিফ মাস্টারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি আমিও শুনেছি এবং আমার সামনেই শহিদুল ইসলাম দুলালকে মাদ্রাসার টাকাগুলো ফেরত দিতে বলা হয়েছে কিন্তু সে টাকাগুলো দিয়েছে কিনা আমি জানিনা। আর এবিষয়ে আমাদের কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। আর যদি কেউ লিখিত অভিযোগ করে তাহলে আমরা সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্হা গ্রহণ করবো।
এই বিষয়ে জানতে দাওগাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম দুলালের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আমি প্রকল্পের সভাপতি ছিলাম কিন্তু আমি টাকা গুলো পাইনি।টাকা গুলো মুক্তাগাছার আলমগীর মুন্সি নিয়েছে।
স্হানীয় সচেতন মহল ও মাদ্রাসা কতৃপক্ষ ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দের হস্তক্ষেপ কামনা করেন বলেন, মাদ্রাসায় অনুদানের টাকা গুলো মাদ্রাসা কতৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে যাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করেন।