নিজস্ব প্রতিবেদক:-বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় আগামী ১জুলাই সম্মেলনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়েছে। ১৯ বছর পর এই সম্মেলনটিতে সকলের অংশ গ্রহন থাকবে এটাই প্রত্যাশা করেছিল ত্রিশালের মুজিব আদর্শের লোকেরা। দেরীতে হলেও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ত্রিশাল উপজেলা আওয়ামীলীগের নতুন কমিটিকে সু-সংগঠন করা দলের জন্য অতীব জুরুরী হিসেবে মনে করছেন কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ত্রিশাল উপজেলা গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল হওয়ায়, উপজেলাটিতে বঙ্গবন্ধু প্রেমী এত পরিমান সমর্থন যা দলের দূ-সময় গুলোতেও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়।
গত ১৯ বছর আগের সম্মেলন হয়েছিল এই উপজেলায় সেই কমিটির অনেক নেতা কর্মী মৃত্যুবরণ করেছে, অনেকেই বয়সের ভারে অচল। এভাবেই চলছিল ত্রিশাল আওয়ামীলীগ এর মাঝে ২০১১ সালে ঐ কমিটিকে ৬৭ জন সদস্য অনাস্থা দিলে আহবায়ক কমিটি দিয়েছিল জেলা কমিটি। এখানে ১৯ বছর আগে সম্মেলনে নির্বাচিত কমিটি ও আহবায়ক কমিটির দু’টি প্লাটফরমে সংগঠনের আলাদা আলাদা কার্যক্রম চলছিল। দীর্ঘদিন ত্রিশালের কমিটির সম্মেলন না হওয়ায় ত্যাগী নেতারা তাদের সমর্থন নিয়ে আরো উপগ্রুপ সৃষ্টি করেন। ইউনিয়ন এবং কোন ওয়ার্ডে সাংগঠনিক কর্মকান্ড না থাকলেও ডিজিটাল যুগে পেনা পুস্টার আর ফেইজবুকের মাঠ জমজমাট হয়ে প্রচারের কোন কমতি ছিল না। এনিয়ে উপর মহল নেতারা কখনোই খোঁজ খবর নেয়নি তৃর্ণমূলে সাধারণ নেতা কর্মীদের সমর্থন কার কত? দীর্ঘদিন যাবৎ ত্রিশালের গ্রুপিং রাজনীতির আলাদা চিত্র আর এক নেতা আরেক নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে নালিশ আর দৌড়ঝাঁপ।
.আজ যারা নেতৃত্বের জন্য অনেকেই মরিয়া তারা ত্রিশালের প্রতিষ্ঠাকালীন আওয়ামীলীগের বাড়ি ঘর না চিনে, চিনেছে বিশেষ বিশেষ কিছু বাসা বাড়ির জানালা চৌকাঠ। ত্রিশাল আওয়ামীলীগের কোন বড় নেতার কবে মৃত্যুবার্ষিকী, জন্ম বার্ষিকী কোন নেতার কোন জায়গা কবরাস্থান তার কোন হদিস কেউ জানেনা। এ বিষয়টি ত্রিশালের বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান সাবেক এমপি আব্দুল মতিন সরকার, ত্রিশালের মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন আকন্দ, সাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক আবুল কালাম ওরফে গুরু কালাম, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ফজলে রাব্বীসহ কয়েকজন নেতা ছাড়া আর কেহ চিননা ও জানেনও না।এই ক’জন নেতা যদি কোন অঞ্চলে যায় তাহলে ঐ অঞ্চলের প্রয়াত নেতাদের ও তাদের পরিবারের খোঁজ খবর নেয়। এই নেতা গুলোর মাঝে রয়েছে রাজনৈতিক বৈশিষ্ট্য এবং আজো রয়েছে নেতা কর্মীদের মাঝে গভীর সম্পর্ক। গত উপজেলা নির্বাচন হয়েছে পৌর নির্বাচন হয়েছে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন হয়েছে দলীয় প্রতীক দেওয়া হয়েছে ত্রিশালে। উপজেলাটিতে দীর্ঘসময় সম্মেলন না হওয়ায় মনোনয়ন ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তার যাচাইয়ে হয়তো জনপ্রিয় নেতারা মনোনয়ন বঞ্চিত হলে জনতার চাপে জনপ্রিয় নেতারা ঘরে বসে থাকতে পারেননি বাধ্য হয়ে স্বতন্ত্রের পথ বেঁচে নিতে হয়েছে এবং জয় লাভ করেছে। তারা কিন্তু বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নেতা এবং জয় বাংলা তাদের প্রাণের স্লোগান। উপজেলা ও পৌরসভা নির্বাচনে একটা জিনিস লক্ষ করা গেছে ত্রিশালে সিনিয়র, জুনিয়র প্রায় নেতা স্বতন্ত্রের পক্ষে কাজ করছেন, কেউ সরাসরি মঞ্চে গিয়ে বক্তব্য রেখেছে কেউ, গোপনে স্বতন্ত্রের পক্ষে নির্বাচনে সমর্থন করে গিয়েছেন। ত্রিশালে এর আসল কারণ ছিল জনপ্রিয় নেতাদের কে জনপ্রতিনিধি হিসেবে ধরে রেখে দলকে শক্তিশালী করে রাখা।
পিছনের স্বতন্ত্রের খেলা গুলোতে ত্রিশালের যারা প্রকৃত আওয়ামীলীগকে ধরে রেখেছে, যারা দলের জন্য অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারাই স্বতন্ত্রের প্রার্থী হয়েছেন এবং জয় লাভও করেছেন।এখানে অনেক নেতা যারা বর্তমানে প্রার্থী হতে চলেছেন তারা অনেকই স্বতন্ত্রের মঞ্চে বক্তব্য দিয়েছেন, মিছিল করেছেন ও প্রাথীর পক্ষে ভোট চেয়ে জনগনের সাথে কথা বলেছেন এবং প্রার্থীকে নির্বাচনের মাঠে নামতে অনুপ্রেরণা দিয়েছে এদের সংখ্যা খোঁজলে ত্রিশাল আওয়ামীলীগের সিনিয়র ও জনপ্রিয় নেতাদের সংখ্যা বেশী আজ তাদের অনেকই প্রার্থী আবার অনেকেই অপেক্ষায় বসে আছেন গুরুত্বপূর্ণ পদে যাওয়ার ।
এখানে দল থেকে ঘোষণা রয়েছে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ গ্রহন, পরোক্ষ-প্রত্যক্ষ ভাবে সমর্থন করেছেন তাদেরকে নতুন কমিটিতে জায়গা দিবেন না এই যদি হয়, ত্রিশাল আওয়ামীলীগ স্বতন্ত্রের মঞ্চের নেতাদের সবাই বাদ যাবে? না মেয়র আনিছকে একা এই নিয়মে ফেলে সম্মেলন করা হবে। জনমনে প্রশ্ন।
বিস্তারিত চোখ রাখুন