আবেদন যৌক্তিক হলে সেবা মিলবে যথাসময়ে- রফিকুল ইসলাম 

ময়মনসিংহ জেলা শিক্ষা অফিসার (ডিইও)মো. রফিকুল ইসলাম

স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহ জেলা শিক্ষা অফিসার (ডিইও)মো. রফিকুল ইসলাম একজন আইসিটি প্রেমিক মানুষ। শিক্ষকদের কৌশলে আইসিটি জ্ঞানদানসহ দুর্বল শিক্ষককে দিয়েও পর্যাপ্ত কাজ করানোর দক্ষতা অর্জনের সফল মানুষ।

তার সাথে কাজ করতে সহকর্মী ও শিক্ষকরা স্বাচ্ছন্দবোধ করেন । নিজের টেবিলে ফাইল ছড়িয়ে ছিটিয়ে রাখা অপছন্দ করেন অপরকেও বোঝানোর চেষ্টা করে । অফিসিয়াল কাজ দ্রুত সম্পন্ন করেন । প্রশাসনিক কাজ সম্পর্কে ভাল ধারণা এবং অফিস টাইমে ব্যক্তিগত কাজ অপছন্দ করেন। অফিস শেষে বাসায় গিয়ে প্রয়োজনীয় কাজ করেন ।  টাইম শেষে দ্রুত বাসায় ফিরে আসাকে পছন্দ এবং ভুল করেন কম । সহকর্মীদের অনেক কাজ তাদের অজান্তেই করে দেন।

সকল শিক্ষকদের স্নেহ  শ্রদ্ধা ও ভালবাসার মানুষ তিনি । ময়মনসিংহ জেলা আইসিটি শিক্ষক ফোরাম ও সেন্টার ফর কোয়ালিটি এডুকেশন বাংলাদেশের উদ্যোগে শিক্ষকদের মানোন্নয়নে অনলাইন প্রশিক্ষণ হয়। জুম ক্লাসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় রাখা ও শিক্ষকদের অনলাইনে লাইভে ক্লাস নেয়ার পদ্ধতি শেখানোর প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

জানা যায়, মোঃ রফিকুল ইসলাম ময়মনসিংহ জেলা শিক্ষা অফিসে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা হিসাবে যোগদান করেন ২০১৫ সালের ৬ অক্টোবর। যোগদানের পর থেকেই শিক্ষকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন । তার অফিস দালাল ও দুর্নীতিমুক্ত । তার কাছে শতভাগ সেবা পান সংশ্লিষ্টরা । তার প্রচেষ্টায় ময়মনসিংহে পুরুষ শিক্ষকদের চাইতে নারী শিক্ষকরা এগিয়ে যাচ্ছেন । নারী শিক্ষকের সংখ্যা ৪ হাজার আর পুরুষ শিক্ষকের সংখ্যা ১২ হাজার । জেলার মোট ছাত্র- ছাত্রীর সংখ্যা সাড়ে ৬ লাখ । স্কুল আর মাদ্রাসা মিলিয়ে ১ হাজার ৯৮টি ।

ময়মনসিংহ জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলাম বিডি২৪লাইভকে  বলেন, আমার কাছে যেকোন আবেদন যৌক্তিক হলে, সেবা মিলবে যথাসময়ে। আমার অফিস দুর্নীতিমুক্ত । সংশ্লিষ্ট অপরাপর বিভাগ প্রতিষ্ঠানগুলিকেও দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে ।আমাকে ঘুষ দেয়ার চেষ্টা করবেন না । ঘুষ দিলে পুলিশে দিব । জালিয়াতি করার চেষ্টা করলে ব্যবস্থা নিব । মেধাবীরা শিক্ষকতায় এসেছেন । ময়মনসিংহ জেলার শিক্ষকরা সারাদেশে মেধায় এগিয়ে আছেন । তিনি শিক্ষকদের ভূয়াসি প্রসংশা করেন । তিনি ময়মনসিংহ জেলা শিক্ষা ব্যবস্থায় আমল পরিবর্তন এনেছেন । ধরা যাক ময়মনসিংহের ত্রিশাল সরকারি নজরুল একাডেমীর কথা । সেখানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সপ্তম / অষ্টম শ্রেনীতে পড়তেন । ছাত্র ছিলেন এই একাডেমীর । জেলা শিক্ষা অফিসার মো. রফিকুল ইসলামের নির্দেশনায় ও তত্বাবধানে সুনামের সাথে পরিচালিত হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি । ধরে রেখেছে ঐতিহ্য । নজরুল একাডেমী মঞ্চে অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাতীয় প্রোগ্রাম । স্কুলের শিক্ষদের সুমান ছড়িয়ে পড়েছে । নজরুল একাডেমীর মত জেলার সকল স্কুল মাদ্রাসায় সফলতা অর্জন করছেন শিক্ষকরা ।