গৌরীপুরের ভাংনামারী  ইউনিয়নে“নৌকা” পেতে চান আ’লীগ নেত্রী অধ্যাপক শুচি

মোঃ আরিফ রববানী, ময়মনসিংহ:: এবারো আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হবে জাতীয় প্রতীকের মাধ্যমে। যদিও জাতীয় প্রতীকে মাঠে নেই বিএনপি। আওয়ামী লীগ-জাতীয় পার্টি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতীক বরাদ্দ পেতে দ্বারে দ্বারে ধর্ণা দিয়ে ফিরছেন ক্ষমতাসীন  দল আওয়ামী লীগ সহ একাধিক  অন্যান্য দলের নেতাকর্মী। ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ  জেলার গৌরীপুর  উপজেলার ৯নং ভাংনামারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করতে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী ময়মনসিংহের সাবেক ছাত্রনেত্রী, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেতা,গৌরীপুর মহিলা আওয়ামীলীগের অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য সকলের পরিচিত মুখ অধ্যাপক নুরুন্নিছা খানম শুচি।

তিনি এরই মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ঘোষিত প্রায় প্রতিটি দলীয় প্রোগ্রাম সক্রিয়অংশগ্রহন ছাড়াও দলের দুঃসময় ও ১/১১তে দেশরত্ন শেখ হাসিনার মুক্তির দাবীতে তিনি ময়মনসিংহের যুব মহিলালীগ নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলেন। যা উপজেলা ও জেলা নেতাদের দৃষ্টি গোচর হয়।

নগরীর শম্ভুগঞ্জ জিকেপি ডিগ্রী কলেজে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে শুচি দায়িত্ব পালন করে মেধাবী জাতি গঠনে ভূমিকা পালন করে চলেছেন।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক ভাংনামারী  ইউনিয়নের জন্য প্রত্যাশা করছেনশুচি।বর্তমান সরকারের সফল প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা নারী নেতৃত্বের প্রতি বেশ গুরুত্ব দিয়েছেন সে হিসাবে তিনি আশাবাদী ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভাংনামারী  ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দলীয় প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে  মনোনয়ন পাবেন। আর মনোনয়ন পেলে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হওয়ার আশা ব্যক্ত করেন।

তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ভাংনামারী ইউনিয়ন কে মাদকমুক্ত, নারী নির্যাতনমুক্ত, উন্নত সমৃদ্ধ ও দৃশ্যমান ইউনিয়ন হিসাবে উপহার দিতে চান।এর আগে গত ২০০৩ সালের ইউপি  নির্বাচনে প্রথমবার নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে ভোটারদের  স্নেহ ভালবাসায় ইউনিয়নের শক্তিশালী ৩ বারের চেয়ারম্যান  ফজলুল হক সরকারের কাছে মাত্র কয়েক ভোটের ব্যবধানে পরাজয় মেনে নেন নুরুন্নিছা খানম শুচি।ভোটারদের সেই আন্তরিকতা ও ভালবাসা তাকে আসন্ন  নির্বাচনে আবারো প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার অনুপ্রেরণা  জুগিয়েছে বলে জানান।

অধ্যাপক নুরুন্নিছা খানম শুচি বলেন, আমি এবং আমার পরিবারের সদস্যরা পারিবারিক ভাবেই দীর্ঘদিন আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। আমি দলের কেন্দ্রীয় ঘোষিত সকল আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছি।বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারণ করে এগিয়ে যাচ্ছি। আমার প্রত্যাশা দল থেকে নৌকা প্রতীক আমাকেই দেওয়া হবে।  আওয়ামী লীগ একটি সুশৃঙ্খল দল। এই দলে বিশৃঙ্খলা করার কোন সুযোগ নেই। দল যাঁকে মনোনয়ন প্রদান করবে সবাই মিলে তাঁর হয়েই কাজ করবো এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে  নৌকাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবো।

ভাংনামারী ইউনিয়নের উজান কাশিয়ার চর,ভোলার আলগী,নাওভাঙ্গা,বারুয়ামারী,নাপ্তের আলগী সহ বেশ কিছু এলাকার সাধারন ভোটারারা জানান, আমরা বঙ্গবন্ধুর জাতীয় প্রতীক নৌকাকে ভালোবাসি। আমরা চাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য উত্তরসুরি জননেত্রী শেখ হাসিনা নারী নেতৃত্বকে এগিয়ে নিতে অধ্যাপক নূরুন্নেছা শুচিকেই নৌকা প্রতীক প্রদান করবেন এবং উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখবেন।

সমাজ সেবায় তিনি ছাত্রজীবন থেকেই নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। ইউনিয়ন পর্যায়ে তার রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা।এলাকাবাসী মনে করেন শুচি মনোনয়ন পেলে আওয়ামীলীগের জয় সুনিশ্চিৎ।

অধ্যাপক নুরুন্নিছা খানম শুচি একজন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান, তার এক ভাই এডভোকেট কায়সার আহমেদ গফরগাঁও পৌর সভার সাবেক মেয়র ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক হিসাবে দায়িত্বে ছিলেন,আরেক ভাই একেএম মাজহারুল ইসলাম প্রধান নির্বাচন কমিশনার মহোদয়ের একান্ত সচিব হিসাবে কর্মরত। একমাত্র ছেলে ফাহিম শাহরিয়ার অর্নব বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখার একজন পরিশ্রমী কর্মী। স্বামী মফিজুন নূর খোকা ময়মনসিংহ জেলা ছাত্রলীগ,যুবলীগ ও কৃষকলীগের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে দলের দুঃসময়ে বিএনপি-জোট সরকারের জুলুম অত্যাচারের বিরুদ্ধে একজন প্রতিবাদী কন্ঠ হিসাবে রাজপথে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে ব্যাপক ভূমিকা পালন করেন। বর্তমানে তিনি ময়মনসিংহের ঐতিহ্যবাহী শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম কলেজের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসাবে অধ্যাপনায় দায়িত্ব পালন করছেন। শুশুর মোসলেম উদ্দিন ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক,মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় তার বাসভবনটি মুজিব বাহিনীর ক্যাম্প হিসাবে থাকায় পরিবারটি পাক হানাদার বাহিনীর অত্যাচার-নির্যাতনের শিকার হয়েছে।