যৌতুক মামলা প্রত্যাহার না করায় স্বামীগৃহে আটক স্ত্রী খাদিজা আক্তার 

ষ্টাফ রিপোর্টারঃ স্ত্রীর দায়েরকৃত যৌতুক মামলা প্রত্যাহার না করায় স্বামীগৃহে জোরপূর্বক স্ত্রী খাদিজা আক্তার আটক রাখার অভিযোগ উঠেছে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার দত্তপাড়া গ্রামের মৃত সেকান্দর আলীর পুত্র মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে।

এব্যপারে জেলা ময়মনসিংহের বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট নন জি আর আদালতে খাদিজা আক্তারের পিতা-ফজলুল হক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ভিকটিমকে উদ্ধারে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক তাজুল ইসলাম সোহাগ। মামলা নং-১২১/২০২২।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদী পক্ষের বিজ্ঞ আইনজীবী এড. বিল্লাল হোসেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১২ বছর আগে ইসলামী সরিয়াহ মোতাবেক কাবিন রেজিষ্ট্রীমূলে ১নং বিবাদী মোহাম্মদ আলীর সাথে খাদিজা আক্তারের বিবাহ বন্ধন হয়। বিবাহের পর বাদীর গর্ভে দুইজন জন্ম হয়। বিবাহের কিছুদিন পর থেকে যৌতুকের জন্য প্রায়ই অমানুষিক নির্যাতন করত। তৎপ্রেক্ষিতে খাদিজা আক্তার বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট ঈশ্বরগঞ্জ আমলী আদালতে গত ১৩/১২/২০২১ইং তারিখে মামলা দায়ের করেন। যার নং-৪৯৯/২১। আদালতে চলমান মামলার যুক্তিতর্কের ধার্য্য তারিখ ছিল গত ২৯ নভেম্বর ২০২২ ইং তারিখ।

গত ১৩/১১/২০২২ ইং তারিখ যৌতুক মামলার বাদী খাদিজা আক্তার তার পিতার ফুফুর বাড়ীতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ী থেকে বের হয়। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে জানা যায় খাদিজা আক্তার সেখানে যায়নি। নিকট আত্মীয় স্বজনের বাড়ীতে খোঁজে পাওয়া না গেলে পরবর্তীতে খাদিজার পিতা জানতে পারেন তার মেয়েকে ১নং বিবাদী মোহাম্মদ আলী রাস্তা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে নিজ বাড়ীতে আটকে রেখেছে। ইহা শুনে খাদিজার আক্তারের পিতা ফজলুল হক তার পার্শ্ববর্তী শামছুন্নাহার, লিটন মিয়া, মজিদ মিয়াসহ আরও দুই-তিন জন নিয়ে বিবাদী মোহাম্মদ আলীর বাড়ীতে গিয়ে খাদিজা আক্তারকে ঘরে আটক অবস্থায় দেখতে পায়। তখন মামলার বাদী ফজলুল হক তার মেয়ে খাদিজা আক্তারকে বাড়ীতে নিয়ে আসতে চাইলে  ১নং বিবাদী মোহাম্মদ আলী ও তার ভাই ২নং বিবাদী সুলতান মামলা প্রত্যাহারের শর্তে বাধা প্রদান করে। এসময় খাদজিা আক্তার পিত্রালয়ে আসতে চাইলে ১ ও ২নং বিবাদী বলে তোর মেয়েকে দিয়ে যৌতুক মামলা প্রত্যাহার করাব, যদি প্রত্যাহার না করে তাহলে তাকে মেরে ফেলবে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ রয়েছে।

এব্যপারে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ জানিয়েছেন বিজ্ঞ আদালতের সার্চ ওয়ারেন্ট মূলে যেখানে তল্লাসি করার কথা সেখানে তল্লাশি করে ভিকটিমকে পাওয়া যায়নি, আমরা আদালতে রিপোর্ট প্রদান করব।