মোঃ কামাল হোসেনঃঃময়মনসিংহ ত্রিশালে করোনা মহামারী পরিস্থিতি উপেক্ষিত করে যত্রতত্র গড়ে উঠেছে জমজমাট গরুর হাট। পথ-প্রান্তরে, মসজিদ- মাদ্রাসা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাঠে কোন রকম সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই কোরবানির গরু বিক্রির লক্ষ্যে প্রতি ইউনিয়নে বসেছে অগনিত গরুর হাট।
এসব প্রতিষ্ঠানের মাঠকে গরু-ছাগলের হাট হিসাবে ব্যবহার করে শুধু প্রতিষ্ঠানিক ক্ষয় ক্ষতি নয় সাথে নষ্ট হচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ। ত্রিশাল উপজেলার “পোড়াবাড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের” প্রধান শিক্ষক ‘অবিনাশ চন্দ্র দাম বললে – দীর্ঘদিন যাবৎ বিদ্যালয়ের মাঠে গরু-ছাগলের হাটে স্থানীয়দের সুবিধাকে গুরুত্ব দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি অনুমোদন দিয়ে থাকেন। তিনি আরও বলেন- ঈদ পরবর্তী সময়ে ইজারাদারের পক্ষ থেকে বালি দিয়ে বিদ্যালয়ের মাঠের সংস্কার করা হয়।
এখানে প্রশ্ন হলো -“শিক্ষা প্রতিষ্ঠানর মাঠকে কেন গরু-ছাগলের হাট হিসাবে ব্যবহার হবে ? প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করে কারা ফায়দা লুটছে বিষয়টি জানা প্রয়োজন ?
বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে কথা বললে তিনি জানান- এবারে ঈদুল আজহা তথা কুরবানির ঈদের পশুর হাটের জন্য ৪২টি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ৩০টি আবেদনের চুড়ান্ত তালিকা করে পাটানো হয়। অনুমোদন হীন বাকী যেসব পশুর হাট- বাজার রয়েছে নিঃসন্দেহে তা অবৈধ। তিনি আরও বলেন- এধরনের কোন অভিযোগ পেলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সুশীল সমাজ ও অর্থনীতিবিদের মতে যত্রতত্র এসব হাট-বাজারে মধ্যসত্ত্ব ভোগীরা লাভবান হলেও সরকার হারাচ্ছে রাজস্ব তার পক্ষান্তরে প্রকৃত বৈধ ইজারাদাররা সরকারকে রাজস্ব দিয়ে তারা তাদের কাংখিত আদায়ে লক্ষ্য অর্জিত না হওয়া ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে। বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে দেখ বাল করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানায় স্থানীয়রা।