শীতে লেপ বা কম্বলে শরীর দ্রুত উষ্ণ হয় কিন্তু অনেককেই আছে যাদের ঘণ্টাখানেক ধরে কম্বলের নিচে থাকলেও হাত পা গরম হতে চায় না। ইন্ডিয়া টাইমসে একটি প্রতিবেদনে এর কারণ ও প্রতিকার তুলে ধরেছে।
আমাদের হাত’ পায়ে’র তালু’ বেশি’ ঠান্ডা’ হওয়া’র কারণ’ প্রয়োজনীয়’ অক্সিজেন’ এবং রক্ত’ চলা’ চলে’ বাধা । আবার’ অন্যান্য’ রোগের’ উপসর্গ’ হিসেবেই’ এমনটা’ হতে’ পারে।
অ্যামিনিয়া, পায়ের’ বিশ্রামে’র অভাব’, স্নায়ু’ দুর্বল’, ডায়াবেটিস’ এবং ‘হাইপোথার্মিয়া’র মতো’ স্বাস্থ্য’ সমস্যা’র উপসর্গ হিসেবে’ পা’ এবং হাতে’র তালু অধিক’ ঠান্ডা’ হতে’ পারে। অন্যদে’র চেয়ে’ বেশি’ শীত’ অনুভূত’ হলে’ এবং পর্যাপ্ত’ গরম ‘কাপড়’ পরলেও হাত-পা শীতল’ থাকলে’ চিকিৎসকের শরণাপন্ন’ হওয়া’ উচিত।
তবে’ মাঝেমধ্যে’ এই’ সমস্যা’ দেখা’ দিলে’ ঘরোয়া’ প্রতিকার’ হিসেবে’ এগুলো’ ট্রাই’ করতে’ পারেন।
গরম তেলের মালিশ : গরম তেল মালিশ করলে পা এবং হাতে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পাবে।
এপসোম সল্ট থেরাপি: এপসোম’ সল্ট’ (ম্যাগনেশিয়াম সালফেট) কুসুম’ গরম’ পানিতে’ মিশিয়ে’ পা’ ভিজিয়ে’ রাখুন’ কিছুক্ষণ”। গরম’পানি’ আপনার’ পা’ গরম’ করতে’ সাহায্য ‘করবে। এবং এপসোম’ লবণ’ শরীরে’ ম্যাগনেশিয়াম’ সরবরাহ’ করবে’।
আয়রন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ: আয়রনে’র ঘাটতি’র কারণে’ অ্যামিনিয়া’ হয়’। যার’ কারণে’ হাত-পা’ ঠান্ডা’ হয়’। অ্যামিনিয়া’ প্রতিরোধে’ আয়রন’ সমৃদ্ধ খাবার’ যেমন- “খেজুর”, “বাদাম”, “আপেল”, “জলপাই”, “বিটরুট” প্রভৃতি প্রতিদিন খেতে হবে।
কখন ডাক্তারের কাছে যাবেন: শীতে” হাত” পা” ঠান্ডা” হবে” এটাই” স্বাভাবিক। কিন্তু” এর” সঙ্গে’ অন্যান্য’ উপসর্গ’ দেখা’ দিলে’ ডাক্তারে’র কাছে যাওয়া’ জরুরি’। উপসর্গগুলো- শরীর’ অবসাদ’ লাগলে’, ওজন’ বাড়া’ বা’ কমে’ গেলে, জ্বর’ হলে, হাড়ের’ জয়েন্টে’ ব্যথা, সর্দি’ দীর্ঘদিনেও না’ সারলে।