ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয়ের সম্ভব কারণিক বিশ্লেষন

ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্কঃ  প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার জন্য এক অভিশাপের মত। ক্ষমতায় আসার পর থেকে নানা বিতর্কিত কাজের জন্ম দিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। এর আগে বুশ প্রশাসন ও বিতর্কিত কাজের জন্ম দিয়েছিল তারই পথ অনুস্বরণ করেছে ট্রাম্প। পরাজিত হলেও ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত ব্যক্তি হয়ে থাকবেন তার ব্যক্তিগত আচরণ, কথা বলার ধরন এবং উপর্যুপরি মিথ্যা তথ্যে, যোদ্ধামনোভাব , সাম্প্রদায়িক ও বর্ণবাদী মনোভাব সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পর্কের অবনতি ইসরাইলকে দিয়ে মুসলিম বিশ্বকে আলাদা করার পরিকল্পনা সহ আমেরিকার নির্বাচনকে বিশ্বের কাছে বিতর্কিত করার মত ঘৃনিত কাজে আদালতের আশ্রয় প্রত্যশা করা । অনেকের ধারণা ডোনাল্ড ট্রাম্প যতটা না রাজনৈতিক ব্যর্থতার কারণে জো বাইডেনের কাছে দৃশ্যত হারতে যাচ্ছেন, তার চেয়েও বড় কারণ তার ব্যক্তিগত ত্রুটি । ভোটে অনিয়ম নিয়ে তার করা মিথ্যা মামলাগুলো একের পর এক খারিজ করেছে আদালত।

অপরদিকে বাকি রাজ্যগুলোতে এগিয়ে যাওয়ায় বাইডেনের সফলতার তীর থেকে যেন পালিয়ে বাঁচারও সুযোগ পাচ্ছেন না ট্রাম্প – বিভিন্ন গণমাধ্যমে এভাবেই খবরের শিরোনাম করছে।দেশটির বিভিন্ন কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের মতে, করোনার প্রাদুর্ভাবের শুরুতে ট্রাম্পের ব্যাপক গাফিলতি তার পরাজয়ের বড় কারণ। করোনাকে গুরুত্ব না দিয়ে, মাস্ক পরিধানে অনীহা প্রকাশ। নিজেকে করোনা সংক্রমিত বলে নাটক। করোনা সংক্রান্ত তার অজস্র ভুল পরামর্শে অনেকে সংক্রমিত হয়েছেন।যারা মারা গেছেন তাদের পরিবার কখনো ট্রাম্পকে ক্ষমা করতে পারবে না।

ট্রাম্পের তিরিক্ষি মেজাজ, দুর্ব্যবহার,মিথ্যাচার, অশোভন অঙ্গভঙ্গি অনেক ভোটারদের মনে নেতিবাচক দাগ কেটেছে। মানুষকে অবমূল্যায়ন করাই ট্রাম্পের কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে এই নির্বাচনে। অভিবাসী নীতি সহ সকল প্রকার নীতিতে তার মনগড়া অবস্থানে অভিবাসী আগমন নানাভাবে রুদ্ধ করতে চেয়েছিলেন । ভোট যোদ্ধে সবচেয়ে বড় অবদান অধিকাংশ মার্কিন মিডিয়া। কারণ মিডিয়ার বিরুদ্ধে ভুয়া নিউজ আখ্যা দিয়ে ঢালাও অভিযোগ করতেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এমন একজন মানুষকে প্রত্যাখ্যান করারই কথা। ট্রাম্পের ম্যাক্সিকোবিরোধী মনোভাবের কারণে ৫ শতাধিক শিশু নিখোঁজ রয়েছে । তার নীতির কারণে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে পুলিশের মধ্যে দাম্ভিক ও নির্দয় আচরণ বেড়ে গেছিল বলে ডেমোক্র্যাট শিবির প্রচারণা করেছিল ভোটযুদ্ধে । পারিবারিক ভিসা বন্ধ করে দেয়ার চিন্তা করছিলেন তিনি। কিছু নির্দিষ্ট দেশকে নিষিদ্ধ করতে চেয়েছেন তিনি। ওবামা কেয়ার বন্ধ করা সহ নতুন রোগীদের ফ্রি চিকিৎসা সেবা (মেডিকেড) বন্ধ করে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সাদা চামড়ার ভোটারদের জোরালো সমর্থন অটুট ছিল ট্রাম্পের প্রতি। সাদা চামড়া ভোটারদের অঙ্গরাজ্যগুলোতে তার পক্ষেই ভোট পড়েছে।

এবার অনেক প্রত্যাশা নিয়ে বাইডেনকে সমর্থন দিয়েছে ভোটারা। আমেরিকার মানুষের অনেক আশা এখন প্রিসিডেন্ট জো বাইডেনের কাছে। দেখা যাক তিনি কী করে খুশি রাখেন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষকে। বিশ্ববাসীরও চোখ এখন বাইডেনের দিকে।