নিজস্ব প্রতিবেদক, ত্রিশাল প্রতিদিন:: ভালুকা থেকে নবী হযরত দাউদ (আঃ) ও মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্যের মধ্য দিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে শরিয়ত বয়াতিকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। (১২ জানুয়ারি) তাকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। বাউলশিল্পীর নাম বয়াতি শরিয়ত সরকার সে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার জামুর্কী ইউনিয়নের আগধল্যা গ্রামের পবন মিয়ার ছেলে। শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকালে ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার বাশিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বয়াতি শরিয়ত সরকার গত ২৪ ডিসেম্বর ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার রৌহাট্রেকে হেলাল শাহ’র ১০ম বাৎসরিক ‘মিলন মেলা’য় পালা গানের অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করে। এসময় সে বলে, গান বাজনা হারাম এ কথা কোরআনে কোথাও লেখা নেই। এ ছাড়া সে বলে, হজরত দাউদ (আঃ) কোনো নবী না, তিনি বয়াতি ছিলেন আর রাসুল (সাঃ) গান না শুনে নাকি রাতে ঘুমাতেন না (নাউজুবিল্লাহ)। এ ছাড়া মসজিদের ইমাম ও ইসলাম ধর্ম নিয়েও ভুল ব্যাখ্যা দেয় সে।
পালাগানের ওই আসরে সে আরও বলে, যারা নামাজ পড়ে সেজদা দিয়ে কপালে কালো দাগ করে, তাদের কপাল থেকে ১১৩টি কিরা (এক ধরনের পোকা) বের হয়।
তার পালাগানটি পরবর্তীতে ইউটিউবের মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এবং গত ৯ জানুয়ারি উপজেলার আগধল্যা গ্রামের শওকত আলীর ছেলে মাওলানা মো. ফরিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মির্জাপুর থানায় মামলা করেন।
মাওলানা ফরিদুল বলেন, এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আমি বাদী হয়ে মামলা দায়ের করি। বয়াতি শরিয়ত মহানবী( সাঃ) ও ধর্মনিয়ে যে কুট্টক্তি করেছে তাতে আমরা মুসল্লিরা মারাত্মকভাবে আহত ও মর্মাহত হয়েছি। আমরা মুনাফিক বয়াতির কঠোর শাস্তি দাবি করছি, যেন আর কেউ মহানবী( সাঃ) ও ধর্মনিয়ে কুট্টক্তি করতে না পারে।
মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান তার গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আজ সকালে শরিয়ত বয়াতিকে গ্রেফতারের পর বিকেলে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আসলাম তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সায়েদুর রহমান বলেন, শরিয়ত বয়াতির বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। আদালত তাকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।