১৬ জানুয়ারি সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক : বিএনপি ও সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর গণঅবস্থান কমসূচি থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে। দলগুলো ১০ দফা দাবি আদায়ে ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে আগামী ১৬ জানুয়ারি সারাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে।

বিএনপির দপ্তর সূত্রে জানা যায়, দলটির দশটি সাংগঠনিক বিভাগীয় শহরে এ গণঅবস্থান কর্মসূচিতে ৮২ সাংগঠনিক জেলা ও মহানগর নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

নয়াপল্টনে গণঅবস্থান কর্মসূচি থেকে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আগামী ১৬ জানুয়ারি ১০ দফা দাবি আদায় ও বিদ্যুতের মূল্য কমানোর দাবিতে কেন্দ্রসহ দেশের সব মহানগর জেলা উপজেলা পৌর সদরে সমাবেশ ও মিছিল হবে। এ সময় নেতাকর্মীরা তুমুল করতালি দিয়ে এ কর্মসূচিকে সমর্থন জানায়।

সরকারের পদত্যাগ, সংসদ বিলুপ্ত, নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা দল এবং জোট গত ২৪ ডিসেম্বর ৯টি বিভাগীয় শহরে, ঢাকায় ৩০ ডিসেম্বর গণমিছিল কর্মসূচির মধ্য দিয়ে যুগপৎ আন্দোলন শুরু করে। গতকালের অনুষ্ঠিত গণঅবস্থান কর্মসূচি হচ্ছে যুগপৎ আন্দোলনের দ্বিতীয় কর্মসূচি।

গণঅবস্থান কর্মসূচি থেকে সরকার পতন আন্দোলনে জনগণকে জেগে ওঠার ডাক দেন মির্জা ফখরুল। এ সময় তিনি ফরিদপুর ও ময়মনসিংহের গণঅবস্থানের কর্মসূচিতে পুলিশ ও সরকারি দলের হামলার নিন্দা জানান। একই সঙ্গে কারাবন্দি বিএনপি নেতা আবদুস সালাম, রুহুল কবির রিজভী, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, এবিএম মোশাররফ হোসেন, খন্দকার আবু আশফাক, আবুল হোসেন, সেলিম রেজা হাবিব, যুবদলের সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, তাঁতি দলের আবুল কালাম আজাদ, ওলামা দলের শাহ নেছারুল হক, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাবসহ বন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন মির্জা ফখরুল।

নয়াপল্টনে গণঅবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সামনে একটিই চ্যালেঞ্জ, এ সরকারকে বিদায় করতে হবে। গণআন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে। এ সরকার শুধু বাংলাদেশের জনগণের কাছে নয়, আন্তর্জাতিকভাবেও ধিকৃত।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতি ইঙ্গিত করে স্থায়ী কমিটির সদ্য কারামুক্ত সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, ‘আমরা টোকা দিয়ে নয়, ধাক্কা দিয়ে নয়, একটা সঠিক সাচ্চা ভালো নির্বাচনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে চাই। আমরা শান্তিপূর্ণ মিছিল-মিটিং, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করে এ সরকারের পতন ঘটাতে চাই। কোনো উচ্ছৃঙ্খলতায় বিশ্বাস করি না। দয়া করে কোনো উসকানি দেবেন না। যদি কোনো উসকানি দেন এর ফলে কিন্তু ভালো হবে না।’