ত্রিশাল প্রতিদিন ডেস্ক:: স্ত্রীকে নানা অযুহাতে করেন নির্যাতন করে আসছিলো ঈশ্বরগঞ্জের রতন মিয়া। অতিষ্ট হয়ে থানায় অভিযোগ দেন স্ত্রী। স্ত্রীকে নির্যাতন করবেননা বলে মুচলেকা দিলে স্থানীয় ভাবে পারিবারিক এই কলহের মিটমাট হয়। এরপর আবারও সংসার শুরু করে রতন মিয়া। তবে এই অপমান ভুলতে পারেননি তিনি। প্রতিশোধের ছক আঁকেন বন্ধুদের নিয়ে।
গত শনিবার ওই নারী ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার ফায়ার স্টেশনের পাশে অবস্থিত একটি বাসায় কাজ করতে গেলে রতন মিয়া ওই বাসা থেকে তাকে নিয়ে বেড়াতে বের হয়। বিভিন্ন জায়গায় বেড়ানোর পর রাত নেমে আসে। স্বামী রতন মিয়া ঈশ্বরগঞ্জের শিবপুর এলাকায় স্থানীয় দরগায় গান শুনানোর কথা বলে স্ত্রীকে নিয়ে যায় উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বাবু মিয়ার একটি পরিত্যাক্ত বাড়িতে। আগে থেকে ওই বাড়িতে অবস্থান করছিল আরো কয়েকজন। সেখানে যাওয়ার পর তাকে আটকে গণধর্ষণ করা হয়। এসময় স্বামী রতন মিয়া নিজে সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
এ ঘটনায় রোববার ভুক্তভোগী গৃহবধূ চার জনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করেন। গ্রেফতার হয় স্বামী সহ দুইজন। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, ওই নারীর স্বামী মো: রতন মিয়া (৩৫) ও নজরুল ইসলাম (২৫)। এজাহারে থাকা হাকিম মিয়া (৩০) ও আক্তার হোসেন (৪০) নামে দুই অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে।
নির্যাতিত ঐ নারী জানান, তার মুখে ও চোখে আঘাত করে চালানো হয়েছে অমানুষিক নির্যাতন। নির্যাতন চালায় অন্তত আটজন। আর এসময় তাকে ধরে রেখে সহযোগিতা করে স্বয়ং স্বামী। তিনি বলেন, স্বামীর কাছে যদি স্ত্রী নিরাপদ না থাকে তাহলে আর কোথায় যাবো। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাখের হোসেন সিদ্দিকী জানান, ধর্ষণের ঘটনায় স্বামী সহ চারজনের নাম উল্লেখ করে ও বাকীদের অজ্ঞাত দেখিয়ে থানায় মামলা হয়েছে। দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বামী রতন মিয়া ঘটনা স্বীকার করেছে। বাকীদের গ্রেফতারে আভিযান চলছে।