ত্রিশালে সড়ক দূর্ঘটনায় পলাতক বাসচালক গ্রেফতার

মোঃ আসাদুল ইসলাম মিন্টুঃ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশাল উপজেলার চেলেরঘাট এলাকায় বিকল হয়ে দাঁড়িয়ে থাকা পাথর ভর্তি ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে বাসের ধাক্কায় সাতজন যাত্রী নিহতের ঘটনায় পলাতক ওই বাস চালককে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। আজ সোমবার সিআইডি হেডকোয়ার্টারে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সোমবার সকালে নরসিংদী জেলার মনোহরদী থানার গোতাশিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে স্যাপার এম. এ রহিম (ময়মনসিংহ-ব-১১-০১৪৮) বাসের চালক মো. আনসার আলীকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তাঁর বাড়ি শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায়। বাবার নাম মৃত লাল মামুন।

জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত বাসচালক সিআইডিকে বলেন, তাঁর বাসটি গত ১৬ অক্টোবর ঢাকার মহাখালী টার্মিনাল থেকে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ৪২ জন যাত্রী নিয়ে শেরপুরের ঝিনাইগাতী বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। একই সময়ে একই স্থান হতে সৌখিন পরিবহনের একটি বাস প্রায় ৫০ জন যাত্রী নিয়ে ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। তারা প্রতিযোগিতা করে গাড়ি চালাতে থাকে। বাস দুটি ত্রিশাল থানাধীন চেলেরঘাট এলাকায় পৌঁছালে সৌখিন পরিবহন ও স্যাপার এম. এ রহিম বাসের মধ্যে প্রতিযোগিতার একপর্যায়ে স্যাপার এম. এ রহিম পরিবহনের বাসটি রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা বিকল ড্রাম্প ট্রাকটিতে সজোরে ধাক্কা দেয়। মুহূর্তেই বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।

সিআইডি জানায়, এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজনের মৃত্যু হয়। আহত আরও ১০ থেকে ১২ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও দুজনসহ মোট সাতজন মারা যান। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গেই ঘাতক বাসচালক আনসার আলী পালিয়ে যান। এ ঘটনায় নিহতদের মধ্যে দুজন শিশু, দুজন নারী ও তিনজন পুরুষ রয়েছেন।

নিহতরা হলেন, আজমল মণ্ডল (হজু) (৩০), তাঁর স্ত্রী ফাতেমা বেগম (২৮), ছেলে আব্দুল্লাহ মণ্ডল (৬) ও মেয়ে মারিয়া বেগম (০৮)। তারা সবাই একই পরিবারের। এ ছাড়া অপর নিহতেরা হলেন, ভালুকা উপজেলার নিশিন্দা এলাকার হেলেনা আক্তার (৪০), শেরপুরের নকলা উপজেলার নজরুল (৫৫) ও মিরাজ (৩৫)। এ ঘটনায় গত ১৭ অক্টোবর নিহতদের পক্ষে মো. তাজ উদ্দিন (৪৮) নামের এক ব্যক্তি ত্রিশাল থানায় সড়ক পরিবহন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।