ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলা ও পৌর বিএনপির কমিটি বাতিলের দাবীতে বুধবার (১৬ জুন) বিকেলে জুতা,ঝাড়ু নিয়ে এক বিক্ষোভ মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।মিছিলে ময়মনসিংহ জেলা বিএনপি’র আহবায়ক ডাঃ মাহবুবুর রহমান লিটন টাকার বিনিময়ে এবং ব্যক্তিগত লোক দিয়ে কমিটি গঠন করায় কমিটি বাতিলের দাবি জানানো হয়।সিনিয়র নেতৃবৃন্দ এবং ত্যাগী নেতাদের কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত না রাখাই এ বিক্ষোভের প্রধান কারণ বলে মিছিলসূত্রে জানা যায়।
পদবঞ্চিত নেতাদের সূত্রে জানা যায় অনুমোদিত কমিটিতে ত্রিশাল থানা বিএনপি’র সাবেক সাধারন সম্পাদক,ত্রিশাল উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জয়নাল আবেদিন(বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের মনোনীত প্রার্থী কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকায় আইনগত বাধ্যবাধকতার কারণে নির্বাচন করতে পারেন নাই),ত্রিশাল থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক,সাবেক যুব নেতা আব্দুল কাদির,ত্রিশাল থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি,থানা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ন-আহবায়ক মোশারফ হোসেন,ত্রিশাল থানা বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র যুগ্ন-আহ্বায়ক,সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক,সাবেক ছাত্রনেতা, ত্রিশাল ইউনিয়ন পরিষদের দুই বারের চেয়ারম্যান (বর্তমান)জাহিদ আমীন, ত্রিশাল থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আতাউর রহমান (প্রধান শিক্ষক), সাবেক সফল এমপি মরহুম আব্দুল খালেক এমপি সাহেব এর ভাই থানা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আব্দুল বারেক চেয়ারম্যান, সাবেক সহ-সভাপতি জামাল উদ্দিন চেয়ারম্যান,সাবেক সহ-সভাপতি আইয়ুব আলী চেয়ারম্যান,ত্রিশাল থানা ছাত্রদল ও যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক,ত্রিশাল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার শাহজাহান কবীর,ত্রিশাল থানা বিএনপি’র অন্যতম নেতা মঠবাড়ি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শিল্পপতি সাইফুল ইসলাম,ত্রিশাল পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র সাবেক ছাত্রনেতা,ত্রিশাল পৌর বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি আমিনুল ইসলাম খোকন,ত্রিশাল পৌরসভার বিগত দুই বারের নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী এবং বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষ মনোনীত প্রার্থী (প্রাথমিকভাবে)আমিনুল ইসলাম আমিন সরকার,সর্বশেষ পৌরসভা নির্বাচনে ধানের শীষ মনোনীত প্রার্থী রুবাইয়াত হোসেন শামীম,ওলামা দল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম- আহবায়ক (ধানের শীষের মননোয়ন চেয়েছিলেন)মাহমুদুল হাসান শামীম,ওলামা দল ময়মনসিংহ জেলার সদস্য সচিব সাহাদাত হোসেন শামীম,প্রফেসর গোলাম ফারুক স্বপন,কামরুল ইসলাম বিএসসি,হারুন-অর রশিদ,ত্রিশাল থানা কৃষক দলের সাবেক সভাপতি হাসান জামান,সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন, ত্রিশাল থানা ছাত্রদলের দুই বারের নির্বাচিত সভাপতি মাসুদ মুর্শেদ,সাবেক সভাপতি একেএম কেরামত হোসেন আকন্দ,সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন স্বপন,(সাবেক যুগ্ন-আহবায়ক ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল) হামিদুর রহমান হামিদ,শওকত হোসেন,ত্রিশাল থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি,সরকারি নজরুল কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস,নজরুল কলেজ শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য আনোয়ার সাদত জাহাঙ্গীর,সাবেক ছাত্র নেতা রমজান আলী রবিন,মহিউদ্দিন খান,হুমায়ুন কবির সিকদার,আবু সাঈদ,কামরুজ্জামান সজল সহ থানা ছাত্রদলের প্রায় সকল সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক,অনেক বিএনপির ত্যাগীদের বাদ দিয়ে পকেট কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। টাকার বিনিময়ে ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকাহীন লোকজনকে কমিটিতে স্থান দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বঞ্চিতদের।
পদ বঞ্চিত নেতাদের সূত্রে জানা যায়,ডাক্তার মাহবুবুর রহমান লিটন ব্যক্তিগত কর্মচারী এবং পছন্দের লোক দিয়ে কমিটি গঠন করেছেন।যারা তার ব্যক্তিগত লোক নয় তাদেরকে তিনি জায়গা দেননি।অভিযোগ রয়েছে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিরোধিতাকারী পরিবারের সন্তান কে ত্রিশাল থানা বিএনপি’র আহ্বায়ক মনোনীত করা হয়েছে।
এর প্রতিবাদে সোমবার (১৪ জুন) বিকালে ত্রিশাল পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে পদ বঞ্চিতরা। দরগা মহল্লা রোড থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চকবাজারে এসে শেষ হয়।এতে পদবঞ্চিত কর্মীরা অংশ নেয়।মিছিল শেষে ডাঃ মাহবুবুর রহমান লিটনের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়। ঝাড়ু,জুতো নিয়ে বিক্ষোভে মিছিলে অংশ গ্রহণ করেন ত্রিশাল থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শওকত হোসেন,থানা বিএনপি’র সাবেক সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম,থানা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি শফিকুল ইসলাম শুভা,থানা যুবদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম চান,থানা বিএনপি’র সাবেক সহ প্রচার সম্পাদক মহিউদ্দিন খান,থানা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আবুল কালাম,সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুল হক,জেলা ছাত্রদল সহ-সভাপতি হুমায়ুন কবির,স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক রাজরুল ওয়াহাব রাজু,ত্রিশাল ইউনিয়ন ছাত্রদল সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম,যুবনেতা মনিরুজ্জামান ফকির শুভ্র,মাহবুবুল আলম পল্টন,বাছির মন্ডল,ইমরান হোসেন,সেলিম তরফদার,সাজ্জাদ মন্ডল,মোরাদ,জাকারিয়া,রাহাত প্রমূখ। তারা বলেন,জেলা কমিটির অধীনে সম্প্রতি ঘোষিত ত্রিশাল শাখার উপজেলা ও পৌর আহ্বায়ক কমিটিতে ৮০ শতাংশ বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে ছিল না এবং কোন সময় পার্টি অফিসে দেখা যায়নি এমন লোককেও রাখা হয়েছে। অধিকাংশই আওয়ামী লীগের ছত্র ছায়ায় বসবাসকারী অসাংগঠনিক লোক।